অ্যাপশহর

করোনায় পুড়েছিল ত্বক, শেষমেশ মারাই গেলেন উহানের চিকিত্‍‌সক!

করোনা আক্রান্তদের চিকিত্‍‌সা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। একটু সুস্থ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আঁতকে উঠেছিলেন। গায়ের পোড়া রং দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অবশেষে মারা গেলেন উহানের অন্যতম করোনা যোদ্ধা।

EiSamay.Com 3 Jun 2020, 4:21 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হু ওয়েইফেংকে মনে পড়ে? করোনার গর্ভগৃহ চিনের উহানে যে চিকিত্‍‌সক সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন, সেই লি ওয়েনলিয়াংয়ের দুই সহকর্মীর একজন।
EiSamay.Com Doctors
উহানের দুই করোনা যোদ্ধা।


করোনা আক্রান্তদের চিকিত্‍‌সা করতে গিয়ে উহান কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চিকিত্‍‌সক লি তো বেশ কিছু দিন হল মারা গিয়েছেন। তাঁর দুই সহকর্মী চিকিত্‍‌সক হু ওয়েইফেং এবং ই ফানকেও জোর থাবা মেরেছিল করোনা। চিকিত্‍‌সা চলাকালীন দু-জনেরই গোটা শরীর গাঢ় কালো হয়ে গিয়েছিল।

চিনের মিডিয়ার দৌলতে গত এপ্রিলে সেই ছবি অনেকেই আবাক করেছিল। চিকিত্‍‌সক-জুটির নাম ভুলে গেলেও অমন পোড়া ত্বকের ছবি কারও স্মৃতি থেকে সহজে হারানোর নয়। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবারই হু ওয়েইফেং মারা গিয়েছেন।

চিনের রাষ্ট্রীয় সিসিটিভি মঙ্গলবার উহান হাসপাতালের ওই চিকিত্‍‌সকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ই ফান অবশ্য সংকট কাটিয়ে এখন সুস্থ। একই উপসর্গ তাঁরও দেখা দিয়েছিল। সুস্থ হয়ে ওঠার পর, ধীরে ধীরে ত্বকের রংও স্বাভাবিক হয়ে আসে।

চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, এই দু'জনের চিকিৎসা শুরু হওয়ার সময় তাঁদের যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তার জেরেই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ত্বককে গাঢ় কালো কোরে তোলে। যকৃতের অবস্থার উন্নতি হলে, ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, হু ওয়েইফেং করোনার হাত থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও ক্ষতিগ্রস্ত লিভারের কারণে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার মারা যান উহান হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের বছর বিয়াল্লিশের ওই চিকিত্‍‌সক।

গত এপ্রিলে করোনা চিকিৎসা করতে নেমে নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনার কথা প্রকাশ্যে আনায় লিকে শাস্তি পেতে হয় বলে অভিযোগ। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। গত জানুয়ারিতে উহানের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সময় গুরুতর আক্রান্ত হন লি'র এই দুই সঙ্গী ডাক্তার।

ই ফানের শারীরিক অবস্থা একসময় অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়েছিল। একটানা ৩৯ দিন জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখতে হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে দু-জনেই শিউরে উঠেছিলেন নিজেদের গায়ের রং দেখে। জানা যায়, হরমোন সংক্রান্ত সমস্যার জেরে অস্বাভাবিক কালো হয়ে যায় তাঁদের ত্বক। ই ফান আবার একা হাঁটাচলা করার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না।

আর ওয়েইফেংয়ের শারীরিক অবস্থা হয়ে পড়েছিল আরও খারাপ। ৯৯ দিনের বেশি আইসিইউতে রেখেও তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা যায়নি । অবশেষে গত শুক্রবার মারা যান ওই চিনা চিকিত্‍‌সক।

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল