অ্যাপশহর

ওজন ১৯০ কেজি! অস্ত্রোপচারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরল বিশ্বের 'বিরাটতম' বালক

অতিরিক্ত খোরাকিই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। শেষে চিকিত্‍সকদের প্রচেষ্টায় পাকস্থলির একাংশ ছেঁটে নবজন্ম লাভ করল বিশ্বের সবচেয়ে মোটা বালক।

EiSamay.Com 31 May 2017, 8:33 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অতিরিক্ত খোরাকিই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। শেষে চিকিত্‍সকদের প্রচেষ্টায় পাকস্থলির একাংশ ছেঁটে নবজন্ম লাভ করল বিশ্বের সবচেয়ে মোটা বালক।
EiSamay.Com worlds fattest boy loses a sixth of his weight in a month following life saving surgery
ওজন ১৯০ কেজি! অস্ত্রোপচারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরল বিশ্বের 'বিরাটতম' বালক


বয়স মাত্র ১১ বছর। কিন্তু এখনই শরীরের ওজন ১৯০ কেজি। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার কারাওয়াং নিবাসী আর্য পের্মানার দেহের ওজন সমবয়সী অন্তত ৬টি ছেলের মোট ওজনের সমান। দিনে ৫ বার বিপুল পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের ফলে তার শারীরিক পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে চিকিত্‍সকরা জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে তার পাকস্থলীর খানিক অংশ বাদ না দিলে মৃত্যু আসন্ন। অস্ত্রোপচারের এক মাস পরে এক ধাক্কায় তার ওজন ৩১ কেজি কমেছে। চিকিত্‍সকদের আশা, আগামী ১২ মাসে আরও ১০০ কেজি ওজন কমবে আর্যর। আসলে অপারেশনের পরে অনেকটাই কমে গিয়েছে এই বিরাট বালকের খিদে।

জন্মের সময় আর্যর ওজন ছিল ৩.৭ কেজি, যা সুস্থ নবজাতকের পক্ষে স্বাভাবিক। কিন্তু ৫ বছর বয়স থেকে হু হু করে তার ওজন বাড়তে শুরু করে। মাত্র ৪ বছরে তার ওজন বাড়ে ১২৭ কেজি। পথেঘাটে তাকে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকেন অনেকে। কেউ আবার ক্যামেরা তাক করে শিশুটির ছবি তুলতে ব্যস্ত হন। শেষে স্কুলের এক অনুষ্ঠানে হঠাত্‍ অজ্ঞান হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। চিকিত্‍সকরা তার রক্ত পরীক্ষা করে দেহে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে বের করেন। আর্য ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার পরেও ধরা পড়ে বিস্তর গরমিল। বোঝা যায়, পরিবারের অপত্য স্নেহই তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ডেকে পাঠিয়ে বাবা-মা'কে সাবধান করা হলেও বিশেষ লাভ হয়নি।

আর্যর বাবা-মা স্বীকার করেছেন, ছোট থেকে তাকে দিনে ৫ বার ফ্রায়েড চিকেন, ভাত, নুড্‌লস ও চকোলেট আইসক্রিমের ভোজে অভ্যস্ত করার ফলেই এই পরিণতি। মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার পরে অবশ্য তাঁরা সেই খাদ্য তালিকায় কাট-ছাঁট করেন। তার জন্য ছকে ফেলেন ব্যায়ামের চার্টও। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া, তখনও রোজ তেলতেলে ঝোল আর প্রতিদিন বেশ কিছু সেদ্ধ ডিম তার খোরাকিতে ছিল। ফলে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরোলের মাত্রাও অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। শেষে যখন চলাফেরা করতে আর্যর অসুবিধা শুরু হয় এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, বাধ্য হয়ে তাঁরা চিকিত্‍সকের কাছে ছোটেন। অবশেষে শল্যচিকিত্‍সকদের সাহায্যে নবজন্ম লাভ করেছে এই বিস্ময়-বালক। বিশ্বের কনিষ্ঠতম রোগী হিসেবে তার দেহে গ্যাসট্রিক স্লিভ অপারেশন করা হয়েছে।

আশা করা যায়, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ভবিষ্যতে হুঁশিয়ার হবেন পরিবারের সকলেই।

(ছবি সৌজন্য: বারক্রফ্ট ইমেজেস, ডেইলি মেল)

# Arya Permana weighed the same as 6 boys his own age and struggled to walk.
# After years of eating 5 meals each day, his parents were warned he would die.
# He became the youngest person in the world to have a gastric sleeve operation.
# It helped him lose nearly 70lbs (31kg) - roughly a sixth of his weight - in a month.
# Surgeons expect him to lose a further 220lbs (100kg) within the next 12 months.

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল