ওয়াশিংটন: বিরতির পরে কি ফের লাদাখে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন? কার্যত এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা। মার্কিন সেনার কম্যান্ডিং জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনের দাবি, ''চিন যে ভাবে লাদাখে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক।'' দীর্ঘ সময় ধরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখভালের দায়িত্বে থাকা জেনারেল ফ্লিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ''লাদাখে চিনা নির্মাণ যে কোনও সময়ে ভারতের জন্য ঝুঁকির হয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি চিন ওই এলাকায় যে হারে গতিবিধি বাড়িয়েছে, তা চোখ খুলে দেওয়ার মতো। তাই আমার মতে, এখন থেকেই সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত নয়াদিল্লির।'' অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মত ফ্লিনের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জোট বেঁধে চিনকে জবাব দেওয়ার বার্তাও দেন জেনারেল ফ্লিং।
কোথায় ফের নতুন করে ঘাঁটি গাড়ছে চিন? আমেরিকার দাবি, ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডে গতিবিধি লক্ষ্য করা হয়েছে। বেজিংয়ের এই আগ্রাসনকে এলাকার নিরাপত্তা এবং সার্বিক স্থিতাবস্থার পক্ষে 'ক্ষতিকারক' বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল ফ্লিন। যখন লাদাখে শান্তি বজায় রাখা নিয়ে দু'দেশের শীর্ষ কর্তাদের ধারাবাহিক আলোচনা চলছে, সেই সময়ে চিনের এই আচরণ উস্কানিমূলক তো বটেই, বেজিংয়ের দ্বিচারিতার পরিচয় দেয় বলেও তোপ দাগেন তিনি।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ এখনও পুরোপুরি শান্ত নয়। সূত্রের খবর, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত মার্চেই ১৫তম বৈঠকে বসে বেজিং ও নয়াদিল্লি। কিন্তু একাধিক সূত্রের খবর, হটস্প্রিং এলাকার ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে এখনও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করেনি চিন। গোয়েন্দাদের দাবি, কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমতো ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করেছে চিনা সেনা। এ দিকে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, প্যাংগং সো হ্রদের চিনা অংশে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে বেজিং। এই সেতুটি যে হেতু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে, তাই সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। কয়েক মাস আগেই নির্মীয়মাণ এই সেতুর একাধিক উপগ্রহচিত্র প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। চিন স্বীকার না-করলেও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, চিন-ভারত সীমান্তের একেবারে দোরগো়ডায় ভারী কামান, ট্যাঙ্ক-সহ আরও নানাবিধ সামরিক যান পৌঁছে দিতে এই সেতুই ব্যবহার করবে বেজিং।
এই আবহে ভারতের সঙ্গে জোট বেঁধে চিনকে জবাব দেওয়া মার্কিন বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরে হিমালয়ে ৯ থেকে ১০ হাজাপ ফুট উচ্চতায় শীতকালীন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যৌথ মহড়ায় নামছে ভারতীয় ও মার্কিন সেনা। কোথায় এই মহড়া হবে তা এখনও বলা হয়নি। জানা দিয়েছে, আলাস্কাতেও একই রকম প্রতিকূল আবহাওয়ায় প্রশিক্ষণ নেবে ভারতীয় সেনা।
কোথায় ফের নতুন করে ঘাঁটি গাড়ছে চিন? আমেরিকার দাবি, ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডে গতিবিধি লক্ষ্য করা হয়েছে। বেজিংয়ের এই আগ্রাসনকে এলাকার নিরাপত্তা এবং সার্বিক স্থিতাবস্থার পক্ষে 'ক্ষতিকারক' বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল ফ্লিন। যখন লাদাখে শান্তি বজায় রাখা নিয়ে দু'দেশের শীর্ষ কর্তাদের ধারাবাহিক আলোচনা চলছে, সেই সময়ে চিনের এই আচরণ উস্কানিমূলক তো বটেই, বেজিংয়ের দ্বিচারিতার পরিচয় দেয় বলেও তোপ দাগেন তিনি।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ এখনও পুরোপুরি শান্ত নয়। সূত্রের খবর, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত মার্চেই ১৫তম বৈঠকে বসে বেজিং ও নয়াদিল্লি। কিন্তু একাধিক সূত্রের খবর, হটস্প্রিং এলাকার ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে এখনও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করেনি চিন। গোয়েন্দাদের দাবি, কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমতো ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করেছে চিনা সেনা। এ দিকে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, প্যাংগং সো হ্রদের চিনা অংশে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে বেজিং। এই সেতুটি যে হেতু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে, তাই সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। কয়েক মাস আগেই নির্মীয়মাণ এই সেতুর একাধিক উপগ্রহচিত্র প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। চিন স্বীকার না-করলেও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, চিন-ভারত সীমান্তের একেবারে দোরগো়ডায় ভারী কামান, ট্যাঙ্ক-সহ আরও নানাবিধ সামরিক যান পৌঁছে দিতে এই সেতুই ব্যবহার করবে বেজিং।
এই আবহে ভারতের সঙ্গে জোট বেঁধে চিনকে জবাব দেওয়া মার্কিন বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরে হিমালয়ে ৯ থেকে ১০ হাজাপ ফুট উচ্চতায় শীতকালীন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যৌথ মহড়ায় নামছে ভারতীয় ও মার্কিন সেনা। কোথায় এই মহড়া হবে তা এখনও বলা হয়নি। জানা দিয়েছে, আলাস্কাতেও একই রকম প্রতিকূল আবহাওয়ায় প্রশিক্ষণ নেবে ভারতীয় সেনা।