যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে (Russia Ukraine War) হামলাকারী রুশ সেনাবাহিনীর লালসার শিকার হতে হচ্ছে পুরুষদেরও! যুবক থেকে বৃদ্ধ, এমনকী নাবালকদেরও ছাড়ছে না রুশ সেনারা। নিজেদের দেশেই ভিনদেশি আক্রমণকারীদের হাতে ধর্ষিত হচ্ছেন ইউক্রেনীয় পুরুষরা! এই তথ্য প্রকাশ্যে এনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। তাদের দাবি, এত দিন শুধুমাত্র কিশোরী, তরুণী ও মহিলাদের উপরেই রুশ সেনার অত্যাচারে অভিযোগ সামনে আসছিল। কিন্তু, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সেদেশের পুরুষদেরও ধর্ষণ করছে রুশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে বুধবার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনা হয়। তাদের পক্ষ থেকে প্রমিলা প্যাটেন (Pramila Patten) জনান, "আমার কাছে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। সেগুলি সবই খতিয়ে দেখা হবে। ইউক্রেনে নাবালক এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে এই রিপোর্টগুলিতে অভিযোগ করা হয়েছে।"
প্রমিলার আশঙ্কা, এই ধরনের ঘটনা সবেমাত্র ঘটতে শুরু করেছে, এমনটা নাও হতে পারে। হয়তো যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বহু পুরুষ এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু, তাঁদের অধিকাংশই সম্ভবত এ নিয়ে মুখ খোলেননি। আজকের সমাজেও ধর্ষণ এমন একটি ঘটনা যা নিয়ে কথা বলতে আক্রান্ত ব্যক্তি কুণ্ঠা বোধ করেন। সমাজের ভয়ে অধিকাংশ নারীই এ নিয়ে মুখ খোলার সাহস পান না। একজন পুরুষের পক্ষে বিষয়টি আরও কঠিন। একজন পুরুষ ধর্ষিত হয়েছেন, এই সত্যিটা মানতেই তাঁকে প্রবল মানসিক চাপের মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়। হয়তো সেই কারণেই এত দিন এ নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রমিলা তাঁর হাতে আসা রিপোর্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, "আমি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের একাধিক শাখার সঙ্গে কাজ করেছি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে পুরুষ ও নাবালকদের ঠিক মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে কিনা, সেটা দেখা এবং নিশ্চিত করাই এই শাখাগুলির কাজ। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুদ্ধ ক্ষেত্রে আক্রান্ত পুরুষদের সমস্যা নিয়ে সেভাবে কথা বলা হয় না। সেগুলি সমাধান করার কথাও ভাবা হয় না।"
প্রমিলা জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে অভিযোগ আসার পরই তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিন্তু, তাঁর মতে, যে কয়েকটি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র! প্রমিলার আবেদন, যাঁরা এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁরা যেন চুপ করে সবকিছু সহ্য না করেন এবং এ নিয়ে সরব হন। একমাত্র তবেই দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক্ষেপ করা সম্ভব। প্রমিলার আশ্বাস, আন্তর্জাতিক আইন নিগৃহীতাদের সুবিচার দেবে।
রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে বুধবার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনা হয়। তাদের পক্ষ থেকে প্রমিলা প্যাটেন (Pramila Patten) জনান, "আমার কাছে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। সেগুলি সবই খতিয়ে দেখা হবে। ইউক্রেনে নাবালক এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে এই রিপোর্টগুলিতে অভিযোগ করা হয়েছে।"
প্রমিলার আশঙ্কা, এই ধরনের ঘটনা সবেমাত্র ঘটতে শুরু করেছে, এমনটা নাও হতে পারে। হয়তো যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বহু পুরুষ এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু, তাঁদের অধিকাংশই সম্ভবত এ নিয়ে মুখ খোলেননি। আজকের সমাজেও ধর্ষণ এমন একটি ঘটনা যা নিয়ে কথা বলতে আক্রান্ত ব্যক্তি কুণ্ঠা বোধ করেন। সমাজের ভয়ে অধিকাংশ নারীই এ নিয়ে মুখ খোলার সাহস পান না। একজন পুরুষের পক্ষে বিষয়টি আরও কঠিন। একজন পুরুষ ধর্ষিত হয়েছেন, এই সত্যিটা মানতেই তাঁকে প্রবল মানসিক চাপের মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়। হয়তো সেই কারণেই এত দিন এ নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রমিলা তাঁর হাতে আসা রিপোর্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, "আমি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের একাধিক শাখার সঙ্গে কাজ করেছি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে পুরুষ ও নাবালকদের ঠিক মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে কিনা, সেটা দেখা এবং নিশ্চিত করাই এই শাখাগুলির কাজ। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুদ্ধ ক্ষেত্রে আক্রান্ত পুরুষদের সমস্যা নিয়ে সেভাবে কথা বলা হয় না। সেগুলি সমাধান করার কথাও ভাবা হয় না।"
প্রমিলা জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে অভিযোগ আসার পরই তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিন্তু, তাঁর মতে, যে কয়েকটি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র! প্রমিলার আবেদন, যাঁরা এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁরা যেন চুপ করে সবকিছু সহ্য না করেন এবং এ নিয়ে সরব হন। একমাত্র তবেই দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক্ষেপ করা সম্ভব। প্রমিলার আশ্বাস, আন্তর্জাতিক আইন নিগৃহীতাদের সুবিচার দেবে।