এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসার আক্রান্ত মেয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন চিকিৎসক মা। হত্যামামলার শুনানিতে স্ত্রীকে 'মিথ্যাবাদী' বললেন মৃত কিশোরীর বাবা। ক্যানসার রোগী বছর চোদ্দোর মেয়ে এলিনকে হত্যা করা সত্ত্বেও জেলে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পেলেন বেলজিয়ামের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ মেহরনাজ ডিডগার (৫১)। তাঁকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বেলজিয়ামের আদালত। বিচারকের মতে, পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে মেয়েকে খুন করেছিলেন মেহরনাজ।
মাত্র সাত বছর বয়সে এলিনের শরীরে থাইরয়েড ক্যানসারের উপসর্গ ধরা পড়ে। কৈশোরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তার রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এই কারণে এলিন ও তার মা মেহরনাজ চরম অবসাদের শিকার হন।
লিউভান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে কর্মরত মেহনরাজ বেশ কিছু কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ জোগাড় করেন। এলিনকে তা খাইয়ে বেহুঁশ করে ফেলে তার পর প্লাস্টিক ব্যাগ তার মুখে চেপে ধরেন। টানা ১৫ মিনিট ধরে এই ভাবে শ্বাসরোধ করার পরে নিস্তেজ হয়ে মারা যায় মেয়ে।
মেয়েকে খুনের কথা এর পর এক বন্ধুকে ফোন করে জানান মেহরনাজ। ওই বন্ধু এর পরে পুলিশে খবর দিলে নিজের বিএমডব্লিউ নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এক ঘণ্টা পরে রাস্তার ধারে পাংচার হওয়া টায়ার এবং দুই পাশ তোবড়ানো গাড়ি-সহ ওই চিকিৎসকের নাগাল পায় পুলিশ। জেরায় তিনি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে জানান, গাড়ি নিয়ে ব্রিজ থেকে নীচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
মেহরনাজ আদালতে জানিয়েছেন, তাঁকে প্রায়ই মৃত্যুর কথা বলত এলিন। ক্যানসারের যন্ত্রণা সহ্য করার চেয়ে দ্রুত মৃত্যুই শ্রেয় মনে করেছিল সে। মেয়ের যন্ত্রণা দেখে ভেঙে পড়েন মা-ও। শেষ পর্যন্ত ঠিক করেন, এলিনের ইচ্ছে-পূরণ করে নিজেও আত্মঘাতী হবেন।
তবে মেহরনাজের বক্তব্য মানতে রাজি নন এলিনের বাবা স্টিভেন প্যানস। তাঁর দাবি, বয়স বাড়ার পরে ক্যানসারের সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছিল এলিন। তার মধ্যে মৃত্যুর প্রতি কোনও আকর্ষণও লক্ষ্য করা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
আদালত অবশ্য কন্যা হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত মেহরনাজকে কারাদণ্ড দেয়নি।
মাত্র সাত বছর বয়সে এলিনের শরীরে থাইরয়েড ক্যানসারের উপসর্গ ধরা পড়ে। কৈশোরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তার রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এই কারণে এলিন ও তার মা মেহরনাজ চরম অবসাদের শিকার হন।
লিউভান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে কর্মরত মেহনরাজ বেশ কিছু কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ জোগাড় করেন। এলিনকে তা খাইয়ে বেহুঁশ করে ফেলে তার পর প্লাস্টিক ব্যাগ তার মুখে চেপে ধরেন। টানা ১৫ মিনিট ধরে এই ভাবে শ্বাসরোধ করার পরে নিস্তেজ হয়ে মারা যায় মেয়ে।
মেয়েকে খুনের কথা এর পর এক বন্ধুকে ফোন করে জানান মেহরনাজ। ওই বন্ধু এর পরে পুলিশে খবর দিলে নিজের বিএমডব্লিউ নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এক ঘণ্টা পরে রাস্তার ধারে পাংচার হওয়া টায়ার এবং দুই পাশ তোবড়ানো গাড়ি-সহ ওই চিকিৎসকের নাগাল পায় পুলিশ। জেরায় তিনি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে জানান, গাড়ি নিয়ে ব্রিজ থেকে নীচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
মেহরনাজ আদালতে জানিয়েছেন, তাঁকে প্রায়ই মৃত্যুর কথা বলত এলিন। ক্যানসারের যন্ত্রণা সহ্য করার চেয়ে দ্রুত মৃত্যুই শ্রেয় মনে করেছিল সে। মেয়ের যন্ত্রণা দেখে ভেঙে পড়েন মা-ও। শেষ পর্যন্ত ঠিক করেন, এলিনের ইচ্ছে-পূরণ করে নিজেও আত্মঘাতী হবেন।
তবে মেহরনাজের বক্তব্য মানতে রাজি নন এলিনের বাবা স্টিভেন প্যানস। তাঁর দাবি, বয়স বাড়ার পরে ক্যানসারের সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছিল এলিন। তার মধ্যে মৃত্যুর প্রতি কোনও আকর্ষণও লক্ষ্য করা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
আদালত অবশ্য কন্যা হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত মেহরনাজকে কারাদণ্ড দেয়নি।