আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে পার্লামেন্ট উড়িয়ে দেওয়ার ছক। পরিকল্পনা মতোই বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরে পার্লামেন্টের সামনের রাস্তায় ঘোরাঘুরি। বিষয়টি নজরে আসতেই স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা শহর। কয়েক ঘণ্টার জন্য রাজধানীর রাস্তায় বন্ধ থাকল যান চলাচল। আতঙ্কে জানালা-দরজায় খিল তুলে দিলেন বাসিন্দা। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে। দুঃসাহসিক এই আত্মঘাতী-হামলার পরিকল্পনা কোন্ জঙ্গি গোষ্ঠী করেছিল, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সুইস পুলিশ।
New Zealand Earthquake: কেঁপে উঠল ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড, তুর্কির মতো অবস্থা হবে এই দেশের?কী ভাবে পার্লামেন্ট হামলার ছক?
তদন্তকারীদের দাবি, মঙ্গলবার সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে পার্লামেন্ট হাউসের সামনে একটি গাড়ি রেখে চলে যেতে দেখা যায়। তাঁর গায়ে অদ্ভুত ধরনের একটি জ্য়াকেট ছিল। বার্ন পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণ সুইস নাগরিক বা পর্যটকদের এই ধরনের জ্যাকেট পড়েন না। ফলে গাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়েন তিনি। ওই পুলিশ কর্তার কথায়, গাড়ি রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে ফিরে আসেন তিনি। তবে গাড়ির কাছে না গিয়ে এবার পার্লামেন্ট হাউসের সামনে ঘোরাঘুরি শুরু করেন ওই ব্যক্তি। এর পরও আর কোনও রকমের ঝুঁকি না নিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বার্ন পুলিশ।
Marburg Virus : প্রাণঘাতী ‘মারবার্গ’ ভাইরাস নিয়ে সতর্কবার্তা WHO-র, সংক্রমণে ৯ জনের মৃত্যু গিনি-তে উদ্ধার বিস্ফোরক জাত পদার্থ
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতের জ্যাকেটে বিস্ফোরক জাত পদার্থ মিলেছে। এছাড়াও তাঁর কাছে পাওয়া গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার একটি খাপ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করার পর তাঁর গাড়িও তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করে বার্ন পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডের পাশাপাশি তল্লাশি ব্যবহার করা হয় রোবটও। তবে গাড়িতে কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ওই সময় পার্লামেন্টের সামনের ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আতঙ্ক এতোটাই ছড়িয়েছিল যে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বার্ন শহর পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
Turkey-Syria Earthquake : ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুর্কি ও সিরিয়ার পাশে প্রবাসী ভারতীয় শিল্পপতি, দান ১১ কোটি নাশকতার আগে রেকি?
সুইস প্রশাসন সূত্রে খবর, ধৃতের জ্যাকেটে মেলা পদার্থ পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, বছর ২৭-র ওই ব্যক্তি এলাকা রেকি করতে এসেছিলেন। পার্লামেন্ট হাউসে নাশকতাই যে তার লক্ষ্য ছিল, তা নিয়ে নিশ্চিত সুইস পুলিশ। ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। কোন্ জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে ওই ব্যক্তি কাজ করছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ধৃতের মানসিক স্বাস্থ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুইস পুলিশের দাবি, গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ বা আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।