এইসময় ডিজিটাল ডেস্ক: চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নয়া মোড়। শুক্রবার ব্যাপক সাইবার হানায় বন্ধ হয়ে গেল ইউক্রেনের একাধিক সরকারি ওয়েবসাইট। যার মধ্যে সেদেশের বিদেশমন্ত্রক সহ অন্যান্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট ও রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। স্বাভাবিকভাবেই এই ভয়ঙ্কর সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলেই মনে করছে ইউক্রেন প্রশাসন। ইউক্রেনে সাইবার হামলার ঘটনাটিকে 'গ্লোবাল সাইবার অ্যাটাক' বলে নিজের ফেসবুকে দাবি করেন সেদেশের শিক্ষামন্ত্রী। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কিয়েভে।
যদিও এই হামলার পেছনে কারা রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়া ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও এই হামলার পেছনে মস্কোর হাত রয়েছে বলে অনুমান কিয়েভের। কারন অতীতে একাধিকবার রাশিয়ান হ্যাকারদের হামলা মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিকে।
সাইবার হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটগুলি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ এমনটাই জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার আচমকা হানায় বন্ধ হয়ে যায় বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইট।তারপর সেখানে রাশিয়ান পোলিশ ও ইউক্রেনিয়ান ভাষায় একটি বার্তা ফুটে ওঠে। যেখানে স্পষ্ট লেখা ছিল, " ইউক্রেনিয়ান! তোমাদের সমস্ত ব্যক্তিগত ডাটা ডিলিট হয়ে গেছে। তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য এবার জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। ভয় পাও, আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করো। "
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই অবনতি হয়েছে রাশিয়া- ইউক্রেন সম্পর্কের। ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া কমপক্ষে এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ করে কিয়েভ। ইউক্রেনের দাবিকে জোরালো সমর্থন আমেরিকাসহ পশ্চিমী জোট। পশ্চিমে জোটের তোপের মুখে পড়তে হয় পুতিনকে। ইউক্রেন দখলের কোনও অভিসন্ধি মস্কোর নেই বলে স্পষ্ট জানায় রাশিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে এই সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে জেনিভা ব্রাসেলস এবং ভিয়েনায় কয়েক দফা বৈঠকে বসে আমেরিকা ও ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলি। যদিও তিনটি বৈঠক অসফল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ডেপুটি বিদেশ মন্ত্রী সার্গেই রায়াবকভ জানান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমের সঙ্গে আর আলোচনা চালানোর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেনা রাশিয়া।
পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতি হলে আগামী দিনে কিউবা-ভেনেজুয়েলাতেও রুশ সেনা মোতায়েন করার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি রুশ বিদেশমন্ত্রক।
ইউক্রেনের সাইবার হানায় প্রথম নয়। এর আগে ২০২০ সালে মার্কিন মুলুকে সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছিল ট্রাম্প। এছাড়াও ২০১৭ ফ্রান্সের নির্বাচনে ও ২০১৮ শীতকালীন অলিম্পিকেও রুশ হ্যাকারদের তান্ডব দেখেছিল ইউরোপ।
যদিও এই হামলার পেছনে কারা রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়া ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও এই হামলার পেছনে মস্কোর হাত রয়েছে বলে অনুমান কিয়েভের। কারন অতীতে একাধিকবার রাশিয়ান হ্যাকারদের হামলা মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিকে।
সাইবার হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটগুলি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ এমনটাই জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার আচমকা হানায় বন্ধ হয়ে যায় বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইট।তারপর সেখানে রাশিয়ান পোলিশ ও ইউক্রেনিয়ান ভাষায় একটি বার্তা ফুটে ওঠে। যেখানে স্পষ্ট লেখা ছিল, " ইউক্রেনিয়ান! তোমাদের সমস্ত ব্যক্তিগত ডাটা ডিলিট হয়ে গেছে। তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য এবার জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। ভয় পাও, আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করো। "
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই অবনতি হয়েছে রাশিয়া- ইউক্রেন সম্পর্কের। ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া কমপক্ষে এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ করে কিয়েভ। ইউক্রেনের দাবিকে জোরালো সমর্থন আমেরিকাসহ পশ্চিমী জোট। পশ্চিমে জোটের তোপের মুখে পড়তে হয় পুতিনকে। ইউক্রেন দখলের কোনও অভিসন্ধি মস্কোর নেই বলে স্পষ্ট জানায় রাশিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে এই সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে জেনিভা ব্রাসেলস এবং ভিয়েনায় কয়েক দফা বৈঠকে বসে আমেরিকা ও ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলি। যদিও তিনটি বৈঠক অসফল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ডেপুটি বিদেশ মন্ত্রী সার্গেই রায়াবকভ জানান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমের সঙ্গে আর আলোচনা চালানোর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেনা রাশিয়া।
পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতি হলে আগামী দিনে কিউবা-ভেনেজুয়েলাতেও রুশ সেনা মোতায়েন করার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি রুশ বিদেশমন্ত্রক।
ইউক্রেনের সাইবার হানায় প্রথম নয়। এর আগে ২০২০ সালে মার্কিন মুলুকে সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছিল ট্রাম্প। এছাড়াও ২০১৭ ফ্রান্সের নির্বাচনে ও ২০১৮ শীতকালীন অলিম্পিকেও রুশ হ্যাকারদের তান্ডব দেখেছিল ইউরোপ।