অ্যাপশহর

কিইভের শপিং মলে ক্ষেপণাস্ত্র

Russian Invation: শপিং মলে অন্তত হাজারখানেক মানুষ ছিলেন। কী হলো তাঁদের? একাধিক অসমর্থিত সূত্রে প্রাথমিক ভাবে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত অন্তত ৪০। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক ভিডিয়োতে জ্বলন্ত মলের যে ভয়াবহ ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা আরও বহুগুণ বলে দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের।

Produced byRupa Saha | Ei Samay 28 Jun 2022, 4:22 pm
কিইভ: আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে রাশিয়া কি কিছুটা সংযত! নাকি, পূর্ব ইউক্রেন ছেড়ে ফের নতুন করে খারকিভ আর কিইভে টার্গেট সেট করেছে মস্কোর সেনা? মনে ধন্দ নিয়েই সোমবার সকালে পূর্ব ইউক্রেনের ক্রেমেনচুক শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত শপিং মলে দৈনন্দিন রসদ সংগ্রহে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। সবে শুরু হয়েছে কেনাকাটা। আর ঠিক তখনই আছড়ে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল গোটা শপিং মল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে দেখা গেল মলের একের পর এক দেওয়াল। স্থানীয়দের দাবি, ওই সময়ে শপিং মলে অন্তত হাজারখানেক মানুষ ছিলেন। কী হলো তাঁদের? একাধিক অসমর্থিত সূত্রে প্রাথমিক ভাবে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত অন্তত ৪০। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক ভিডিয়োতে জ্বলন্ত মলের যে ভয়াবহ ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা আরও বহুগুণ বলে দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের। এ দিনই আবার মারিউপোলে রুশ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া একটি আবাসন থেকে ১০০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় প্রশাসনের দাবি।
EiSamay.Com kyiv
প্রতীকী ছবি


ক্রেমেনচুকের মলে হামলার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাশিয়াকে এ দিন কড়া ভাষায় নিন্দা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ''নিজেদের প্রাণের পরোয়া না-করেই মলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ভয়ঙ্কর এই রুশ হামলায় হতাহতের সংখ্যা যে কত হতে পারে, তা ভাবতেও পারছি না।'' অন্য একটি টুইটে শপিং মলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রেমেনচুক শহরের মেয়র ভিতালি মেতেলস্কিও। 'বহু প্রাণহানি'-র কথা বললেও, হতাহতের সংখ্যা তিনিও নিশ্চিত করতে পারেননি। হামলার আগে ও পরে শপিং মলটির জোড়া ছবি দিয়ে ইউক্রেনীয় মেয়র রোমান রিসচুক টুইট করেন, ''অন্তত চার বার বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন স্থানীয়রা। একে সন্ত্রাস হামলা বলব না তো, কোনটাকে বলব? এর পরেও আমাদের বলতে হবে রাশিয়া জঙ্গি দেশ নয়?''

হামলা শুরু হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিইভেও। জেলেনস্কি প্রশাসনের দাবি, রবিবার দূরপাল্লার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে কিইভের অন্তত দু'টি আবাসনে। যদিও মস্কো এ দিন পাল্টা দাবি করেছে, কিইভে ভুলবশত হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনাই। ক্রেমেনচুক শহরের মলে হামলা নিয়ে অবশ্য সোমবার রাত পর্যন্ত মুখ খোলেনি মস্কো।

কিন্তু কেন ফের হামলার ঝাঁঝ বাড়াল রাশিয়া? তা-ও কিনা জার্মানিতে যখন জি-৭ বৈঠকে বসেছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশ! বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, মস্কো আসলে জি-৭ বৈঠককেই চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের শাস্তিস্বরূপ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকার মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও। সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে সোনা আমদানির উপরেও আজ, মঙ্গলবার জি-৭ বৈঠকেই সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে আমেরিকা। একই সঙ্গে পুতিনের 'টাফ ম্যান ইমেজ' নিয়েও বৈঠকে দফায় দফায় মস্করা করে চলেছেন বরিস জনসন, জাস্টিন ট্রুডোরা। কিইভ, খারকিভের পরে এ দিন ক্রেমেনচুকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তারই পাল্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

এত দিন আড়ালে ইউক্রেনকে মদত দিচ্ছিল আমেরিকা। যুদ্ধের আঁচ বাড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এখন ইউক্রেনকে মিসাইল দেওয়ার কথা সরাসরি ঘোষণা করছে।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Rupa Saha

পরের খবর