অ্যাপশহর

বড় বিপদ বয়ে আনছে Omicron, শঙ্কিত WHO

আরও বিপদ বাড়াতে চলেছে Omicron। ৫০ টিরও বেশি মিউন্ট্যান্ট। Delta Variant-এর হানা সামলাতে না সামলাতেই হাজির করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি । প্রাথমিক রিপোর্টেই ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে WHO

Lipi 29 Nov 2021, 6:58 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: Omicron-এ প্রমাদ গুণছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সোমবার তারা সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, সারা বিশ্বের কাছে খুবই বড় বিপদ হিসেবে দেখা দিতে পারে করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতিটি। যদিও এই নতুন ধারার ভাইরাস ঠিক কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বা কতখানি তার মারণ ক্ষমতা, তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাননি চিকিৎসক, গবেষকেরা।
EiSamay.Com covid omicorn


বাংলায় যাকে বলে এক রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর। ঠিক তাই যেন ঘটে চলেছে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত ডেল্টা প্রজাতিকে খানিকটা কাবু করতে না করতেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসে উদয় হয়েছে Omicron। বিজ্ঞানীরা যাকে চিহ্নিত করছেন B.1.1.529 নামে। আর এই নতুন প্রজাতিই আপাতত মানবজাতির কাছে সব থেকে বড় মাথা ব্যথার কারণ।

এ দিন WHO একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘কোভিড অতিমারীর আবহে এই Omicron-এর দৌলতে যদি আবার একটি বড় ধাক্কা আসে, তবে তা সামলানো মুশকিল হতে পারে।’ যদিও একই সঙ্গে WHO জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত Omicron আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে।

গত শুক্রবারই WHO ঘোষণা করেছিল এই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। WHO জানিয়েছিল, এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার কথা। বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত যত প্রকারের করোনা ভাইরাসের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাদের মধ্যে সব থেকে সমস্যা সৃষ্টিকারী প্রজাতির হল Delta Varient। তারই সঙ্গে রয়েছে আলফা, বিটা, গামা। যারা গত দু’বছর ধরে গোটা পৃথিবীকে ত্রস্ত করে রেখেছে। ডেল্টার সঙ্গে একাসনেই বসতে চলেছে Omicron, এমনই মনে করছেন গবেষকেরা।

কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন Omicron আক্রান্ত, জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, Covid 19 অতিমারীর ক্ষেত্রে ভাইরাসের কিছু ক্ষতিকর পরিবর্তন ধরা পড়ছে পরীক্ষায়। যে পরিমাণ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা থেকেই একটি নতুন ভাইরাস চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারই নাম দেওয়া হয়েছে Omicron। কিন্তু, এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসের গতিবিধি বুঝতে আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। কতটা সংক্রামক এই নতুন প্রজাতি, কতটা প্রভাব পড়বে মানব শরীরে তা নিয়ে আরও পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা। অর্থাৎ নতুন প্রজাতির সঙ্গে লড়ার মতো চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করতেও সময় লাগবে বিস্তর।

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল