এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ পড়ছে পাকিস্তানি টাকার (Pakistan Currency) দাম। আমেরিকান ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির এই পতন ইমরান খান (Imran Khan) সরকারের আমলে সর্বকালে সর্বনিম্ন হয়ে দাঁড়াল এ বছর।
সূত্রের খবর, ইমরান জমানায় গত তিন বছর চার মাসে আমেরিকান ডলারের তুলনায় ৩০.৫ শতাংশ হারে দাম পড়েছে পাকিস্তানি টাকার। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে এক মার্কিন ডলারের দর ছিল ১২৩ পাকিস্তানি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে সেই দর নেমেছে ১৭৭ টাকায়। অর্থাৎ, গত ৪০ মাসে টাকার পতন ৩০.৫ শতাংশ হারে। দেশের ইতিহাসে টাকার এতখানি অবমূল্যায়ন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বলেই জানাচ্ছে সংশ্লীষ্ট মহল। এই মুহূর্তে এক ভারতীয় টাকায় পাকস্তানি মুদ্রায় দর মাত্র ৪৩ পয়সা।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তান তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবস্থার সূচনা করে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান’ এই মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালনা করে। ইতিহাস বলছে, এত বেশি হারে টাকার অবমূল্যায়ন এর আগে একবারই দেখেছে পাকিস্তান। সেটা ১৯৭১-৭২ সালের কথা। সদ্য স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান, তাদের নতুন নাম হয়েছে বাংলাদেশে। সে সময় পাকিস্তানি টাকার দাম পড়েছিল ৫৮ শতাংশ হারে। মার্কিন ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি টাকার দর সে বছর ৪.৬০ থেকে নেমে হয়েছিল ১১.১০।
সে দেশের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আশফাক হাসান খান বলেন, অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের বিষটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় রাজস্ব নীতি এই মুহূর্তে বিনিময় হারের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। আর এর ফলে দেশ বিরাট মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন। ক্রমশ বাড়ছে ঋণের পরিমাণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইমরান খানের আমলে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা। যত অবমূল্যায়ন হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার ততই ক্রমশ চেপে বসছে মুদ্রাস্ফীতির বোঝা। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর এই মাসে যে পরিস্থিতিতে চোখে পড়েছে তাতে প্রমাদ গুণছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে ৩০.৫ শতাংশ হারে মুদ্রার অবমূল্যায়ন দেশকে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে।
২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের বাজার অগ্নিমূল্য। মুদ্রাস্ফীতি দেশকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন সে দেশের সাধারণ মানুষও। সে বছর ডিসেম্বর থেকেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লাহোরের বাজারে এক একটি মুরগির ডিমের ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ একটি পরিবার এক ডজন ডিম কিনতে চাইলে তাদের খরচ হচ্ছিল সাড়ে তিনশো টাকা। সে বছর আদা বিক্রি হয়েছিল ১০০০ টাকা প্রতি কিলো দরে। হিসেব বলছে পাকিস্তানে ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন। করোনা আবহে সেই সংখ্যা বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্রের খবর, ইমরান জমানায় গত তিন বছর চার মাসে আমেরিকান ডলারের তুলনায় ৩০.৫ শতাংশ হারে দাম পড়েছে পাকিস্তানি টাকার। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে এক মার্কিন ডলারের দর ছিল ১২৩ পাকিস্তানি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে সেই দর নেমেছে ১৭৭ টাকায়। অর্থাৎ, গত ৪০ মাসে টাকার পতন ৩০.৫ শতাংশ হারে। দেশের ইতিহাসে টাকার এতখানি অবমূল্যায়ন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বলেই জানাচ্ছে সংশ্লীষ্ট মহল। এই মুহূর্তে এক ভারতীয় টাকায় পাকস্তানি মুদ্রায় দর মাত্র ৪৩ পয়সা।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তান তাদের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবস্থার সূচনা করে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান’ এই মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালনা করে। ইতিহাস বলছে, এত বেশি হারে টাকার অবমূল্যায়ন এর আগে একবারই দেখেছে পাকিস্তান। সেটা ১৯৭১-৭২ সালের কথা। সদ্য স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে পূর্ব পাকিস্তান, তাদের নতুন নাম হয়েছে বাংলাদেশে। সে সময় পাকিস্তানি টাকার দাম পড়েছিল ৫৮ শতাংশ হারে। মার্কিন ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি টাকার দর সে বছর ৪.৬০ থেকে নেমে হয়েছিল ১১.১০।
সে দেশের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আশফাক হাসান খান বলেন, অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের বিষটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় রাজস্ব নীতি এই মুহূর্তে বিনিময় হারের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। আর এর ফলে দেশ বিরাট মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন। ক্রমশ বাড়ছে ঋণের পরিমাণ।
২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের বাজার অগ্নিমূল্য। মুদ্রাস্ফীতি দেশকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন সে দেশের সাধারণ মানুষও। সে বছর ডিসেম্বর থেকেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লাহোরের বাজারে এক একটি মুরগির ডিমের ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ একটি পরিবার এক ডজন ডিম কিনতে চাইলে তাদের খরচ হচ্ছিল সাড়ে তিনশো টাকা। সে বছর আদা বিক্রি হয়েছিল ১০০০ টাকা প্রতি কিলো দরে। হিসেব বলছে পাকিস্তানে ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন। করোনা আবহে সেই সংখ্যা বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।