এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাত তখন ৯টা, প্রথম গুলির শব্দটা শোনা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিটকে আসে মুহুর্মুহু গুলি। প্রাণ বাঁচাতে রেস্তোরাঁ ভিতরে তখন হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সন্ত্রস্ত মুখচোখ। ভিতরে তখন বেশ কয়েক জন বন্দুকবাজ, যারা আইসিসের কায়দাতেই তাণ্ডব চালাচ্ছে। সংখ্যায় তারা কত জন, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
যাঁরা প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে এসেছেন, তাঁদের দাবি ভিতরে অনেক জনকেই পণবন্দি করে ফেলেছে মুখ ঢেকে রাখা ওই বন্দুকবাজরা। শুক্রবার রাতের এই অকস্মাত্ হামলায় মুহূর্তে বদলে যায় ঢাকার গুলশানের ওই রেস্তারাঁর ভিতরের চিত্র। এলাকাটি কূটনৈতিক চত্বর হওয়ায়, উত্তেজনা দ্রুত ছড়াতে থাকে। কারণ, গুলশানে রয়েছে একাধিক দূতাবাস।
হামলার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে চলে আসে বিরাট পুলিশ ফোর্স। আসেন বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB)-এর জওয়ানরাও। হোলি আর্টিসান বেকারি নামে ওই রেস্তোরাঁটিকে ঘিরে ফেলে, চলছে অভিযান।
বিবিসি সূত্রে খবর, দুই পুলিশ অফিসার সহ মোট ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বেসরকারি আর একটি সূত্রে খবর, ২জন মারাও গিয়েছেন। তবে, সরকারি ভাবে এখনও হতাহতের খবর মেলেনি।
দ্য ঢাকা ট্রিবিউন-এর দাবি, ওই রেস্তোরাঁর ভিতরে অন্তত ২০জন পণবন্দি হয়ে রয়েছেন। অন্যান্য মিডিয়ারও আশঙ্কা, রেস্তোরাঁর ভিতরে বেশ কয়েক জন বিদেশিকে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে সয়েদুর রহমান নামে এক পুলিশ আধিকারিক নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, রেস্তোরাঁর ভিতরে কয়েক জন পণবন্দি হয়ে রয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হোলি আর্টিসান বেকারি নামে ওই রেস্তোরাঁয় ঢুকেই ওপেন ফায়ার করতে থাকে ওই বন্দুকবাজরা। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে দু-জন বন্দুকবাজ ঢোকে। তার পিছনে পিছনে আরও ছ-জন। একজনের হাতে তরোয়ালও ছিল। আল্লা হু আকবর বলেই তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
হামলার জন্য যে রেস্তোরাঁটিকে বন্দুকবাজরা বেছে নেয়, জানা গিয়েছে, গুলশান এলাকার সেটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। কূটনীতিকরা ছাড়াও বিদেশি ও মধ্যবিত্তদের আনাগোনা ওই রেস্তোরাঁয়।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় নেয়নি। পুলিশও নিশ্চিত নয়। তবে, হামলার ধরন দেখে বাংলাদেশ পুলিশের অনুমান, কোনও ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীই রয়েছে এই হামলার পিছনে।
এদিকে, ঢাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত।
যাঁরা প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে এসেছেন, তাঁদের দাবি ভিতরে অনেক জনকেই পণবন্দি করে ফেলেছে মুখ ঢেকে রাখা ওই বন্দুকবাজরা। শুক্রবার রাতের এই অকস্মাত্ হামলায় মুহূর্তে বদলে যায় ঢাকার গুলশানের ওই রেস্তারাঁর ভিতরের চিত্র। এলাকাটি কূটনৈতিক চত্বর হওয়ায়, উত্তেজনা দ্রুত ছড়াতে থাকে। কারণ, গুলশানে রয়েছে একাধিক দূতাবাস।
হামলার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে চলে আসে বিরাট পুলিশ ফোর্স। আসেন বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB)-এর জওয়ানরাও। হোলি আর্টিসান বেকারি নামে ওই রেস্তোরাঁটিকে ঘিরে ফেলে, চলছে অভিযান।
বিবিসি সূত্রে খবর, দুই পুলিশ অফিসার সহ মোট ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বেসরকারি আর একটি সূত্রে খবর, ২জন মারাও গিয়েছেন। তবে, সরকারি ভাবে এখনও হতাহতের খবর মেলেনি।
দ্য ঢাকা ট্রিবিউন-এর দাবি, ওই রেস্তোরাঁর ভিতরে অন্তত ২০জন পণবন্দি হয়ে রয়েছেন। অন্যান্য মিডিয়ারও আশঙ্কা, রেস্তোরাঁর ভিতরে বেশ কয়েক জন বিদেশিকে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে সয়েদুর রহমান নামে এক পুলিশ আধিকারিক নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, রেস্তোরাঁর ভিতরে কয়েক জন পণবন্দি হয়ে রয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হোলি আর্টিসান বেকারি নামে ওই রেস্তোরাঁয় ঢুকেই ওপেন ফায়ার করতে থাকে ওই বন্দুকবাজরা। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে দু-জন বন্দুকবাজ ঢোকে। তার পিছনে পিছনে আরও ছ-জন। একজনের হাতে তরোয়ালও ছিল। আল্লা হু আকবর বলেই তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
হামলার জন্য যে রেস্তোরাঁটিকে বন্দুকবাজরা বেছে নেয়, জানা গিয়েছে, গুলশান এলাকার সেটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। কূটনীতিকরা ছাড়াও বিদেশি ও মধ্যবিত্তদের আনাগোনা ওই রেস্তোরাঁয়।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় নেয়নি। পুলিশও নিশ্চিত নয়। তবে, হামলার ধরন দেখে বাংলাদেশ পুলিশের অনুমান, কোনও ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীই রয়েছে এই হামলার পিছনে।
এদিকে, ঢাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত।