দেখা হলেই হেসে কথা। কুশল বিনিময়। শান্তি বজায় রাখার বড় বড় আশ্বাস। অন্যদিকে সীমান্ত সমস্যার কথা উঠলেই চোখরাঙানি। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে সৈন্য-সামন্ত নিয়ে এলাকা দখলের চেষ্টা। দীর্ঘদিন ধরে এই দু’মুখী নীতি নিয়ে চলছিল চালবাজ চিন। এবার সেই অস্ত্রেই বেজিংকে মাত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতেই সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা LAC-তে তৈরি নতুন বজ্র-কঠিন থ্রিডি বাঙ্কারের ছবি সামনে আনে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর মাধ্যমে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সীমান্ত সমস্যা পুরোপুরি না মিটলে যে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত।
সম্প্রতি G-20 সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাষ্ট্রনেতারদের বিশেষ নৈশভোজ বা গালা ডিনারে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। এরপরই কোনও কোনও মহল থেকে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা। দু’বছর পেরিয়েও পূর্ব লাদাখের LAC-র সমস্ত সংঘর্ষ বিন্দু থেকে পুরোপুরি সরে যায়নি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা PLA। এই আবহে জিনপিংয়ের সঙ্গে কেন সৌজন্য বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা।
যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুচতুরভাবেই এই পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে দেশের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি। ‘এটা যে যুদ্ধের যুগ নয়’ এবং ভারত শান্তি চায় – তাঁর এই আচরণে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে যুদ্ধ শুরু হলে কূটনৈতিকভাবে চিনকে বিচ্ছিন্ন করতে এই চাল কাজে লাগবে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। কূটনীতির পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতির দিক থেকেও খামতি রাখছে না সরকার। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাসের কথায়, “২০২০-র গালওয়ান সংঘর্ষের পর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে ভারত। আঘাত এলে মুখের মতো জবাব দিতে আমরা কিন্তু তৈরি। তবে কূটনীতির জায়গাটা আলাদা। সেখানে কথা চলবে, আলোচনা হবে। তার পরও যদি সরাসরি যুদ্ধে চিন নেমে পড়ে, তখন নিশ্চয়ই কথা বন্ধ রাখব আমরা।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা SCO ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নৈশাহারে যোগ দিতে যাননি তিনি। বৈঠক চলাকালীন জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি কথাও তাঁকে বলতে দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, SCO সঙ্গে G-20 অনেক অমিল রয়েছে। G-20তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা রাশিয়ার মতো দেশগুলি রয়েছে। নৈশাহারে না গেলে বাইডেন-সুনক বা রুশ বিদেশমন্ত্রী লেভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারতেন না মোদী। সেক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের কাছে ভারত সম্পর্কে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গালা ডিনারে গিয়ে সেই সুযোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সম্প্রতি G-20 সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাষ্ট্রনেতারদের বিশেষ নৈশভোজ বা গালা ডিনারে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। এরপরই কোনও কোনও মহল থেকে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা। দু’বছর পেরিয়েও পূর্ব লাদাখের LAC-র সমস্ত সংঘর্ষ বিন্দু থেকে পুরোপুরি সরে যায়নি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা PLA। এই আবহে জিনপিংয়ের সঙ্গে কেন সৌজন্য বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা।
যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুচতুরভাবেই এই পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে দেশের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি। ‘এটা যে যুদ্ধের যুগ নয়’ এবং ভারত শান্তি চায় – তাঁর এই আচরণে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে যুদ্ধ শুরু হলে কূটনৈতিকভাবে চিনকে বিচ্ছিন্ন করতে এই চাল কাজে লাগবে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। কূটনীতির পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতির দিক থেকেও খামতি রাখছে না সরকার। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাসের কথায়, “২০২০-র গালওয়ান সংঘর্ষের পর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে ভারত। আঘাত এলে মুখের মতো জবাব দিতে আমরা কিন্তু তৈরি। তবে কূটনীতির জায়গাটা আলাদা। সেখানে কথা চলবে, আলোচনা হবে। তার পরও যদি সরাসরি যুদ্ধে চিন নেমে পড়ে, তখন নিশ্চয়ই কথা বন্ধ রাখব আমরা।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা SCO ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নৈশাহারে যোগ দিতে যাননি তিনি। বৈঠক চলাকালীন জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি কথাও তাঁকে বলতে দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, SCO সঙ্গে G-20 অনেক অমিল রয়েছে। G-20তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা রাশিয়ার মতো দেশগুলি রয়েছে। নৈশাহারে না গেলে বাইডেন-সুনক বা রুশ বিদেশমন্ত্রী লেভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারতেন না মোদী। সেক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের কাছে ভারত সম্পর্কে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গালা ডিনারে গিয়ে সেই সুযোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী।