এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির নাসা (NASA)। সে চ্যালেঞ্জের নাম 'লুনার লু চ্যালেঞ্জ' (Lunar Loo challenge)। মোদ্দা কথা, চাঁদের ব্যবহারযোগ্য শৌচালয় তৈরি করতে হবে। আর তার জন্যই আম আদমির সাজেশনই চাওয়া হচ্ছে নাসার তরফে। সমাধানের সূত্র বের করতে পারলে রয়েছে মোটা টাকার পুরস্কার। নাসার (NASA) তরফে পরিষ্কার ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, কঠিন এই কাজের উত্তর বাতলাতে পারলেই মিলবে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। তা-ও আবার নগদ। ভারতীয় মূল্যে যে হিসেবটা দাঁড়াচ্ছে ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি। টয়লেটের একটি মডেল তৈরি করতে হবে। মূলত প্রথম তিনটি টিমের মধ্যেই এই বিরাট পুরস্কারমূল্য ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে নাসার তরফে। তবে মাথায় রাখতে হবে, টয়লেটের এমনই মডেল তৈরি করতে হবে যা কেবল মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কাজ করবে এমনটা নয়। লুনার গ্র্যাভিটিতেও যেন কাজে আসে সেই শৌচালয়, তৈরি করতে হবে এমনই চমৎকার মডেল।
নাসার এই চ্যালেঞ্জের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে HeroX। যা আসলে নাসার আর্টেমিস মিশনের অন্তর্ভুক্ত। এই আর্টেমিস মিশনের (NASA’s Artemis mission) মাধ্যমেই ২০২৪ সালে প্রথম কোনও মহিলা এবং পরবর্তী পুরুষ নভোচারীকে চাঁদে পাঠাবে নাসা। তবে জেনে রাখা ভালো, স্পেসে টয়লেট (Space Toilet) রয়েছে। যদিও সে সব টয়লেট বহু পুরনো মডেলের। সেখানে মহিলা নভোচারীদের (Female Astronauts) মানিয়ে নিতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়। আমেরিকার স্পেস এজেন্সি নাসা আদতে আরও নিখুঁত শৌচালয়ের খোঁজে রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা এমনই এক শৌচালয়ের খোঁজে রয়েছে নাসা, যা আদপে চাঁদে এবং ভূপৃষ্ঠ-- দুই জায়গাতেই কাজ করবে।
কিন্তু কী ভাবছেন? টয়লেট এক প্রেমকথা! তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ এ আসলে টয়লেট এক স্পেস কথা! মহাকাশের জন্য টয়লেট তৈরি করা চাট্টিখানি কথা নয়! আর তাই-ই এত মোটা অঙ্কের পুরস্কার মূল্য ধার্য করেছে নাসা (Nasa)। যে কারণগুলোর জন্য মূলত মহাকাশের জন্য টয়লেট তৈরি করা দুঃসাধ্য ব্যাপার সেগুলি সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে?
প্রথমত, মহাকাশে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। দ্বিতীয়ত, চাঁদে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবার পৃথিবীর ৬ ভাগের এক ভাগ কমে যায়। ধরা যাক, পৃথিবীতে কারও ওজন ৬০ কেজি। চাঁদের সেই মানুষটিরই ওজন হবে মাত্র ১০ কেজি। আর এই কারণেই মহাকাশে রীতিমতো গোত্তা খেতে হয় নভোচারীদের। তাই বিষয়টা এক্কেবারে জলের মতো পরিষ্কার যে, মহাকাশের ব্যবহারযোগ্য টয়লেট বানানো মোটেই বাঁ হাতের খেল নয়!
আরও পড়ুন: টয়লেট-এক স্পেসকথা! মেয়ে ব্যোমযাত্রীদের জন্য ৬ বছরের চেষ্টায় ১৭৪ কোটি খরচে সফল NASAঠিক কীরকম টয়লেটের খোঁজে রয়েছে নাসা? এমনই শৌচালয় তৈরি করতে হবে যার ঘনত্ব হবে ৪.২ কিউবিক ফিট। একই সঙ্গে ৬০ ডেসিবেলের উপরে শব্দ অতিক্রম করবে না। সুতরাং একটা আঁচ করে নেওয়াই যায়, যে শৌচালয়টির আয়তন পৃথিবীতে সাধারণত যে ধরনের টয়লেট ব্যবহৃত হয়, তার ভেন্টিলেশন ফ্যানের মতো হতে হবে। এত সব দিক মাথায় রেখে এখন যদি সত্যিই চাঁদের জন্য টয়লেট বানিয়ে ফেলেন তাহলে লাখপতি হতে আর কে আটকায়!!
নাসার এই চ্যালেঞ্জের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে HeroX। যা আসলে নাসার আর্টেমিস মিশনের অন্তর্ভুক্ত। এই আর্টেমিস মিশনের (NASA’s Artemis mission) মাধ্যমেই ২০২৪ সালে প্রথম কোনও মহিলা এবং পরবর্তী পুরুষ নভোচারীকে চাঁদে পাঠাবে নাসা। তবে জেনে রাখা ভালো, স্পেসে টয়লেট (Space Toilet) রয়েছে। যদিও সে সব টয়লেট বহু পুরনো মডেলের। সেখানে মহিলা নভোচারীদের (Female Astronauts) মানিয়ে নিতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়। আমেরিকার স্পেস এজেন্সি নাসা আদতে আরও নিখুঁত শৌচালয়ের খোঁজে রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা এমনই এক শৌচালয়ের খোঁজে রয়েছে নাসা, যা আদপে চাঁদে এবং ভূপৃষ্ঠ-- দুই জায়গাতেই কাজ করবে।
কিন্তু কী ভাবছেন? টয়লেট এক প্রেমকথা! তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ এ আসলে টয়লেট এক স্পেস কথা! মহাকাশের জন্য টয়লেট তৈরি করা চাট্টিখানি কথা নয়! আর তাই-ই এত মোটা অঙ্কের পুরস্কার মূল্য ধার্য করেছে নাসা (Nasa)। যে কারণগুলোর জন্য মূলত মহাকাশের জন্য টয়লেট তৈরি করা দুঃসাধ্য ব্যাপার সেগুলি সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে?
প্রথমত, মহাকাশে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। দ্বিতীয়ত, চাঁদে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবার পৃথিবীর ৬ ভাগের এক ভাগ কমে যায়। ধরা যাক, পৃথিবীতে কারও ওজন ৬০ কেজি। চাঁদের সেই মানুষটিরই ওজন হবে মাত্র ১০ কেজি। আর এই কারণেই মহাকাশে রীতিমতো গোত্তা খেতে হয় নভোচারীদের। তাই বিষয়টা এক্কেবারে জলের মতো পরিষ্কার যে, মহাকাশের ব্যবহারযোগ্য টয়লেট বানানো মোটেই বাঁ হাতের খেল নয়!
আরও পড়ুন: টয়লেট-এক স্পেসকথা! মেয়ে ব্যোমযাত্রীদের জন্য ৬ বছরের চেষ্টায় ১৭৪ কোটি খরচে সফল NASAঠিক কীরকম টয়লেটের খোঁজে রয়েছে নাসা? এমনই শৌচালয় তৈরি করতে হবে যার ঘনত্ব হবে ৪.২ কিউবিক ফিট। একই সঙ্গে ৬০ ডেসিবেলের উপরে শব্দ অতিক্রম করবে না। সুতরাং একটা আঁচ করে নেওয়াই যায়, যে শৌচালয়টির আয়তন পৃথিবীতে সাধারণত যে ধরনের টয়লেট ব্যবহৃত হয়, তার ভেন্টিলেশন ফ্যানের মতো হতে হবে। এত সব দিক মাথায় রেখে এখন যদি সত্যিই চাঁদের জন্য টয়লেট বানিয়ে ফেলেন তাহলে লাখপতি হতে আর কে আটকায়!!