আতঙ্কের 'মৃত্যুপুরী' ছেড়ে সিম্বা-লুলা চলল জর্ডন
প্রতীক্ষা শেষ। দূর হল প্রশাসনিক জটিলতাও। মৃত্যুপুরী মসুলের আতঙ্ক কাটিয়ে জর্ডনে মুক্তির ঠিকানা পেল সিম্বা-লুলা।
EiSamay.Com 12 Apr 2017, 1:23 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরের মৃত্যু প্রার্থনা-র মতোই হয়তো প্রবল ভাবে একটা সময় নিজের মৃত্যু কামনা করতে হয়েছে চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দি 'বনের রাজা' সিংকে। যার সঙ্গী ভালুক, গোটা চিড়িয়াখানার আর এক জীবিত সদস্য, তারও পরিণতি বা গন্তব্য ছিল, একই ঠিকানায়। হ্যাঁ, চিড়িয়াখানার বাকিদের মতো মৃত্যুই ছিল তাদের ভবিতব্য...।
কিন্তু, ওই যে, কথায় বলে না রাখে হরি মারে কে! মৃত্যুর অন্তিম অপেক্ষায় হঠাত্ই 'হরি' হয়ে আবির্ভূত হওয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দৌলতে নবজীবন পেল সিংহ সিম্বা আর লুলা নামের ভালুকটি। লালফিতের নানা ফাঁস কাটিয়ে উঠে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের মসুল ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে তারা রওনা দিল জর্ডনের নিরাপদ ঠিকানায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা দুনিয়া কয়েক মাস আগেই জেনে ফেলেছে লুলা আর সিম্বার দুর্দশার কাহিনি। আইসিসের কব্জায় থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুলের এক চিড়িয়াখানায় সিম্বা ও লুলাকে হঠাত্ই খুঁজে পান 'ফোর পাউস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি' নামে এক সংস্থার পশুচিকিত্সকরা।
বীভত্স, শিউরে ওঠার মতোই সেই ছবি। শীর্ণকায়, হাড় জিরজিরে সিম্বা ও লুলা। দীর্ঘ অভুক্ত শরীরে নড়াচড়ার ক্ষমতাটুকুও হারিয়ে ফেলেছিল সবেধণ নীলমণির মতো তখনও ধুকপুকিয়ে বেঁচে থাকা চিড়িয়াখানার এই দুই সদস্য। পাশে, অদূরে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে সারিসারি কঙ্কালের স্তূপ। কেউ মরেছে যুদ্ধের গোলায়। কারও মৃত্যু হয়েছে উপোসী পেটে, একটানা অনাহারে। আবার বুভুক্ষু সহবন্দির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে কেউ। মসুল চিড়িয়াখানার কোনও প্রাণী মরল, কে বাঁচল কী-ই বা এসে গেল আইসিসের! আর ইরাক সরকার আইসিস খতম করবে না ওই পশুগুলোকে উদ্ধার করবে? তাই বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে একসময় খাঁচায় পোড়া কয়েক'শো পশুপাখি। সেই 'মৃত্যুপুরী' বরাত জোরই হয়তো টিকে গিয়েছিল এই সিংহ-ভালুক জুটি।
উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক পশুচিকিত্সক আমির খলিল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দেরি হলেও শেষমেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুল থেকে সিম্বা ও লুলাকে নিয়ে আমরা জর্ডন উড়ে গেলাম। দুটো নিরীহ প্রাণীকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচাতে পারায়, যেন স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ওই প্রাণী চিকিত্সক।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সেবাযত্নে গত দু-মাসে অনেকটাই সুস্থ সিংহ-ভালুক জুড়ি। আশা করা যায়, জর্ডনের নতুন ঠিকানা তাদের বাঁচার অফুরন্ত রসদের সঙ্গেই দেবে আতঙ্কমুক্ত অনাবিল আনন্দময় এক পরিবেশ।
কিন্তু, ওই যে, কথায় বলে না রাখে হরি মারে কে! মৃত্যুর অন্তিম অপেক্ষায় হঠাত্ই 'হরি' হয়ে আবির্ভূত হওয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দৌলতে নবজীবন পেল সিংহ সিম্বা আর লুলা নামের ভালুকটি। লালফিতের নানা ফাঁস কাটিয়ে উঠে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের মসুল ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে তারা রওনা দিল জর্ডনের নিরাপদ ঠিকানায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা দুনিয়া কয়েক মাস আগেই জেনে ফেলেছে লুলা আর সিম্বার দুর্দশার কাহিনি। আইসিসের কব্জায় থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুলের এক চিড়িয়াখানায় সিম্বা ও লুলাকে হঠাত্ই খুঁজে পান 'ফোর পাউস ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি' নামে এক সংস্থার পশুচিকিত্সকরা।
বীভত্স, শিউরে ওঠার মতোই সেই ছবি। শীর্ণকায়, হাড় জিরজিরে সিম্বা ও লুলা। দীর্ঘ অভুক্ত শরীরে নড়াচড়ার ক্ষমতাটুকুও হারিয়ে ফেলেছিল সবেধণ নীলমণির মতো তখনও ধুকপুকিয়ে বেঁচে থাকা চিড়িয়াখানার এই দুই সদস্য। পাশে, অদূরে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে সারিসারি কঙ্কালের স্তূপ। কেউ মরেছে যুদ্ধের গোলায়। কারও মৃত্যু হয়েছে উপোসী পেটে, একটানা অনাহারে। আবার বুভুক্ষু সহবন্দির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে কেউ। মসুল চিড়িয়াখানার কোনও প্রাণী মরল, কে বাঁচল কী-ই বা এসে গেল আইসিসের! আর ইরাক সরকার আইসিস খতম করবে না ওই পশুগুলোকে উদ্ধার করবে? তাই বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে একসময় খাঁচায় পোড়া কয়েক'শো পশুপাখি। সেই 'মৃত্যুপুরী' বরাত জোরই হয়তো টিকে গিয়েছিল এই সিংহ-ভালুক জুটি।
উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক পশুচিকিত্সক আমির খলিল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দেরি হলেও শেষমেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুল থেকে সিম্বা ও লুলাকে নিয়ে আমরা জর্ডন উড়ে গেলাম। দুটো নিরীহ প্রাণীকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচাতে পারায়, যেন স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ওই প্রাণী চিকিত্সক।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সেবাযত্নে গত দু-মাসে অনেকটাই সুস্থ সিংহ-ভালুক জুড়ি। আশা করা যায়, জর্ডনের নতুন ঠিকানা তাদের বাঁচার অফুরন্ত রসদের সঙ্গেই দেবে আতঙ্কমুক্ত অনাবিল আনন্দময় এক পরিবেশ।