বাসে জ্যান্ত সাপ দিয়ে মাস্কের কাজ চালাচ্ছেন যাত্রী! লন্ডনে তুলকালাম...
এক ব্যক্তি গলায় সাপ পেচিয়ে সেটিকেই মুখের 'মাস্ক' করে চলেছেন। লোকটি একটি বিষধর সাপ গলায় পেচিয়ে রেখে সেটিকে আবার মুখ পর্যন্ত তুলে মাস্কের মতো করে রেখেছেন? কিন্তু কিছু সময় পরেই ভুল ভাঙে সহযাত্রীদের।
EiSamay.Com 16 Sep 2020, 8:58 pm
হাইলাইটস
- এই ব্যক্তি মাস্ক পরতে গিয়ে যা কাণ্ড করেছেন তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অন্যদের।
- প্রথমে লোকজন ভেবেছিলেন দারুণ দেখতে একেবারে স্টাইলিশ মাস্ক পরেছেন ওই ব্যক্তি।
- সেখানেই এক ব্যক্তি মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে রাখেন। এবং পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার কালবেলায় জনসমক্ষে মাস্ক পরা এখন বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই ব্যক্তি মাস্ক পরতে গিয়ে যা কাণ্ড করেছেন তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অন্যদের। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বাসে সুইনটন থেকে ম্যানচেস্টারগামী এক ব্যক্তি গলায় সাপ পেচিয়ে সেটিকেই মুখের 'মাস্ক' করে চলেছেন। বাসের অন্য যাত্রীদের রীতিমতো আতঙ্কের অবস্থা। এ কী কাণ্ড? মাস্ক পরেছেন সাপ পেচিয়ে? বাসের অন্য যাত্রীরা তাঁকে দেখে হতবাক। লোকটি একটি বিষধর সাপ গলায় পেচিয়ে রেখে সেটিকে আবার মুখ পর্যন্ত তুলে মাস্কের মতো করে রেখেছেন? এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, 'দেখতে অসাধারণ লাগছিল, কিন্তু খুবই ভয়ের বিষয়টা'। বাসে মাস্ক ছাড়াই উঠে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তার পর অন্য লোকেদের ভয়ে নিজের সঙ্গে থাকা সাপটিকে বের করে শরীরে পেচিয়ে ফেলেন তিনি। প্রথমে লোকজন ভেবেছিলেন দারুণ দেখতে একেবারে স্টাইলিশ মাস্ক পরেছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কিছু সময় পরেই ভুল ভাঙে সহযাত্রীদের।
সেখানেই এক ব্যক্তি মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে রাখেন। এবং পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তির এমন কাণ্ড ভালো ভাবে নেয়নি ম্যানচেস্টার প্রশাসন। মানুষের নিরাপত্তা সবার আগে তাদের কাছে। এভাবে একটি বিষধর সাপ নিয়ে এক ব্যক্তি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ঘোরাফেরা করছেন, তা থেকে যে কোনও সময়ই বিপদ হতে পারে। ওই ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে। বাস ও রাস্তার সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চায়।
যে কোনও চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞই করোনাভাইরাসের থেকে রক্ষা পেতে আপাতত ঘরে বানানো মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা বলে সাপের চামড়া দিয়ে মাস্ক? এই করোনা কালে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরানোই যে সবথেকে বড় ঝক্কি, তা বহু দেশের প্রশাসনই স্বীকার করে নিয়েছে। মাস্ক না পরলে নানা দেশে নানা ধরনের শাস্তি বা জরিমানা চালু করা হয়েছে। কিন্তু, ইন্দোনেশিয়ার জাভায় স্থানীয় প্রশাসন যা করেছে, তা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
সেখানে মাস্ক না পরলে সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কবরস্থানে! দিনে যতবার করোনা আক্রান্তের দেহ আসবে, ততবার সেই ব্যক্তিকেই কবর খুঁড়তে হবে। এটাই মাস্ক না পরার শাস্তি! দ্য জাকার্তা পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে এই শান্তি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে কবরস্থানের দারোয়ানের কাজ দেওয়া হয়েছে, বাকিদের কবর খোঁড়ার। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, 'এমনিতেই এখন কবর খোঁড়ার লোকের অভাব। এঁরা যে ভাবে বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাতে তো সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। তাই এঁদেরই এই কাজে লাগানো হয়েছে।' প্রশাসনের আশা, সারাটা দিন কবরস্থানে কাটালে যদি এঁদের মধ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। পাশাপাশি এঁদের দেখে বাকিরাও সতর্ক হবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় পুলিশকর্তারা।
আরও পড়ুন: শ্মশানে করোনা রোগীর লাশের পাহাড়, সৎকারের জন্য অপেক্ষা প্রায় ৩০ ঘণ্টা!
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট undefined
সেখানেই এক ব্যক্তি মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে রাখেন। এবং পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তির এমন কাণ্ড ভালো ভাবে নেয়নি ম্যানচেস্টার প্রশাসন। মানুষের নিরাপত্তা সবার আগে তাদের কাছে। এভাবে একটি বিষধর সাপ নিয়ে এক ব্যক্তি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ঘোরাফেরা করছেন, তা থেকে যে কোনও সময়ই বিপদ হতে পারে। ওই ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে। বাস ও রাস্তার সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চায়।
যে কোনও চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞই করোনাভাইরাসের থেকে রক্ষা পেতে আপাতত ঘরে বানানো মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা বলে সাপের চামড়া দিয়ে মাস্ক? এই করোনা কালে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরানোই যে সবথেকে বড় ঝক্কি, তা বহু দেশের প্রশাসনই স্বীকার করে নিয়েছে। মাস্ক না পরলে নানা দেশে নানা ধরনের শাস্তি বা জরিমানা চালু করা হয়েছে। কিন্তু, ইন্দোনেশিয়ার জাভায় স্থানীয় প্রশাসন যা করেছে, তা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
সেখানে মাস্ক না পরলে সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কবরস্থানে! দিনে যতবার করোনা আক্রান্তের দেহ আসবে, ততবার সেই ব্যক্তিকেই কবর খুঁড়তে হবে। এটাই মাস্ক না পরার শাস্তি! দ্য জাকার্তা পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে এই শান্তি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে কবরস্থানের দারোয়ানের কাজ দেওয়া হয়েছে, বাকিদের কবর খোঁড়ার। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, 'এমনিতেই এখন কবর খোঁড়ার লোকের অভাব। এঁরা যে ভাবে বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাতে তো সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। তাই এঁদেরই এই কাজে লাগানো হয়েছে।' প্রশাসনের আশা, সারাটা দিন কবরস্থানে কাটালে যদি এঁদের মধ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। পাশাপাশি এঁদের দেখে বাকিরাও সতর্ক হবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় পুলিশকর্তারা।
আরও পড়ুন: শ্মশানে করোনা রোগীর লাশের পাহাড়, সৎকারের জন্য অপেক্ষা প্রায় ৩০ ঘণ্টা!
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট undefined