অ্যাপশহর

'ঘোষণা হোক সংঘর্ষ বিরতি', আফগানিস্তান প্রসঙ্গে গর্জে উঠলেন মালালা

গোটা বিশ্বের দাবি ছিল, আফগানিস্তানের উপর তালিবানের এই হামলা নিয়ে malala yousafzai অনেক আগেই মুখ খোলা দরকার ছিল। কারণ তিনি নিজে এই তালিবানি হিংসার শিকার হয়েছিলেন।

EiSamay.Com 15 Aug 2021, 11:59 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় ছিল, যখন তালিবানি আক্রমণের শিকার হওয়া নোবেল পদকজয়ী মালালা ইউসুফজাইকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট ট্রোলিং হয়েছিল। কারণ শুধুমাত্র এটাই ছিল যে তিনি তালিবান এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি প্রথমে কোনও কথা বলেননি। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কোনও টুইটও করেননি। কিন্তু, এবার প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। তালিবানি হিংস্রতার কাছে মাথা নত করে নিয়েছে আফগান সরকার। অবশেষে মুখ খুললেন মালালা ইউসুফজাই এবং তিনি একটি টুইট করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করেন।
EiSamay.Com malala yousafzai
মালালা ইউসুফজাই, ছবি সৌজন্য - টুইটার


তালিবানের বিরুদ্ধে কী বললেন মালালা?

ওই টুইটে মালালা লিখেছেন, 'আমরা সকলেই যথেষ্ট হয়রানির শিকার হচ্ছি। তালিবান যেভাবে আফগানিস্তানকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে আসছে, এটা দেখে আমি রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি। দেশের মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের জন্য আমার যারপরনাই চিন্তা হচ্ছে। বিশ্বের প্রত্যেকটা ছোট-বড় দেশের কাছে আমার একটাই আবেদন, আফগানিস্তানে যত দ্রুত সম্ভব সিজফায়ার লাগু করা হোক। পাশাপাশি শরণার্থী এবং সাধারণ জনগণকে নিরাপদে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করছি।' আজ এই টুইটটা মালালা যে নেট নাগরিকদের চাপেই করেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ গতকাল থেকেই হ্যাশট্যাগ মালালা স্পিকআউট ট্রেন্ডিং হতে শুরু করেছিল।

মালালা'র নীরবতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন

গোটা বিশ্বের দাবি ছিল, আফগানিস্তানের উপর তালিবানের এই হামলা নিয়ে মালালার অনেক আগেই মুখ খোলা দরকার ছিল। কারণ তিনি নিজে এই তালিবানি হিংসার শিকার হয়েছিলেন। ফলে তালিবান জঙ্গিদের এই আতঙ্ক সম্পর্কে তিনি নিজে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কিন্তু, মালালার নীরবতা দেখার পর অনেকেই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভিতু' বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেন। অনেকে আবার মনে করেন, তিনি দ্বিমুখী নীতিতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু, এবার মালালা তালিবানের বিরুদ্ধে মন খুলে কথা বললেন। নিজের দৃষ্টিভঙ্গিও স্পষ্ট করে দেন। আর সেইসঙ্গে তিনি সমালোচকদেরও চুপ করিয়ে দেন।

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই পাকিস্তানে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম হয়েছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। গোটা বিশ্বে সর্বকনিষ্ঠ নোবেল পদকজয়ী তিনি।

তবে মালালা যে আফগানিস্তানের পাশেই রয়েছেন, সেটা এবার তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এদিন কাবুলের দখল নিল তালিবান। আফগানিস্তানে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সে দেশের সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে রাষ্ট্র। রবিবার দুপুরে কাবুলে ঢুকতে শুরু করেছিল তালিবান। ময়দান ওয়ারদাকের দখল নেওয়ার পর একেবারে ঝড়ের গতিতে কাবুলের সীমান্তে পৌঁছে যায় তালিবান। সূত্রের খবর, আতঙ্কিত প্রশাসনিক কর্তারা ইতিমধ্যেই কাবুল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সমস্ত বর্ডার ক্রসিংয়ের দখলও তালিবানের হাতে। শুধুমাত্র একটাই 'ওয়ে আউট'। কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তা ব্যবহার করেই কূটনীতিকরা পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন।

পরের খবর