এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অজ্ঞাতবাস থেকে ফিরে একাধিক বিতর্কিত নির্দেশ জারি করেছেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) দাপুটে শাসক কিম জং উন (Kim Jong Un)। ৩৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসকের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে নাভিশ্বাস পিয়ংইয়ংয়ের বাসিন্দাদের। এবার আরও এক সিদ্ধান্তে বিতর্ক বাড়ালেন কিম জং উন। করোনাভাইরাসের জেরে নিষেধাজ্ঞায় রাজস্ব ক্ষতি পোষাতে এবার দেশের ধনীদের নিশানা করলেন উত্তর কোরিয়ার 'সুপ্রিম নেতা'। বাজেটের প্রায় ৬০% নিশ্চিত করতে দেশের ধনীদের বেছে নিয়েছেন কিম জং উন। সেইমতো বিশেষ বন্ড ডনজু (Donju) চালু করেছে পিয়ংইয়ং। এরমাধ্যমে রাজস্ব ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি দেশে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন কোরিয়ার কিমের পরামর্শদাতারা। রাষ্ট্রীয় চাপে সরকারি বন্ড কিনতে বাধ্য হলেও তা বিক্রি করে টাকা ফেরত যে পাওয়া যাবে, তা সম্পর্কে নিশ্চিত নন উত্তর কোরিয়ার ধনীরা। কোরিয়ান নিউজে (NK News) প্রকাশিত ভবিষ্যতে ডনজুর পরিবর্তে যে সরকার অর্থ ফেরত দিতে সক্ষম তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
'আর্থিক অবস্থা ভালো এমন যে কাউকেই স্বেচ্ছায় সরকারি বন্ড কিনতে হবে। এটা এক ধরনের তোলাবাজিই বটে।' কিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য আন্তর্জাতিক বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন সিলবার্স্টেইনের।
করোনাভাইরাস ও তার জেরে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিক ধাক্কা খেয়েছে উত্তর কোরিয়া। যার জেরে তাদের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬% পড়েছে বলে রিপোর্ট করেছে বেসরকারি সংস্থা ফিচ (Fitch)। যা গত ২৩ বছরে সর্বনিম্ন বলেও জানা গেছে। মূল বাণিজ্যিক সঙ্গী চিনের সঙ্গে ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনের (China) সঙ্গে ১৪২০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।
১৯৯৭ সালের পর এই ধরনের আর্থিক ক্ষতি উত্তর কোরিয়া (North Korea) দেখেনি বলে দাবি কোরিয়ান বিশেষজ্ঞদের। শুধুমাত্র ধনীদের জন্য ইস্যু করা এই বন্ড এর আগে ২০০৩ সালে ইস্যু করা হয়েছিল বলে দাবি দৈনিক কোরিয়ান নিউজের।
আরও পড়ুন: সীমান্ত পেরিয়ে পালানোর চেষ্টা, কোরিয়ার কিমের নির্দেশে নিষ্ঠুর শাস্তি পরিবারকে!
পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জোর করে বন্ড চাপানোর এই সিদ্ধান্তে কিমের প্রশাসনে অশান্তি দেখা দিতে পারে। প্রসঙ্গত করোনা মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক ক্ষতি হলেও সামরিক বরাদ্দ কমায়নি উত্তর কোরিয়া (North Korea)।
'আর্থিক অবস্থা ভালো এমন যে কাউকেই স্বেচ্ছায় সরকারি বন্ড কিনতে হবে। এটা এক ধরনের তোলাবাজিই বটে।' কিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য আন্তর্জাতিক বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন সিলবার্স্টেইনের।
করোনাভাইরাস ও তার জেরে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিক ধাক্কা খেয়েছে উত্তর কোরিয়া। যার জেরে তাদের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬% পড়েছে বলে রিপোর্ট করেছে বেসরকারি সংস্থা ফিচ (Fitch)। যা গত ২৩ বছরে সর্বনিম্ন বলেও জানা গেছে। মূল বাণিজ্যিক সঙ্গী চিনের সঙ্গে ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনের (China) সঙ্গে ১৪২০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।
১৯৯৭ সালের পর এই ধরনের আর্থিক ক্ষতি উত্তর কোরিয়া (North Korea) দেখেনি বলে দাবি কোরিয়ান বিশেষজ্ঞদের। শুধুমাত্র ধনীদের জন্য ইস্যু করা এই বন্ড এর আগে ২০০৩ সালে ইস্যু করা হয়েছিল বলে দাবি দৈনিক কোরিয়ান নিউজের।
আরও পড়ুন: সীমান্ত পেরিয়ে পালানোর চেষ্টা, কোরিয়ার কিমের নির্দেশে নিষ্ঠুর শাস্তি পরিবারকে!
পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জোর করে বন্ড চাপানোর এই সিদ্ধান্তে কিমের প্রশাসনে অশান্তি দেখা দিতে পারে। প্রসঙ্গত করোনা মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক ক্ষতি হলেও সামরিক বরাদ্দ কমায়নি উত্তর কোরিয়া (North Korea)।