এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় ফের বৈষম্যের শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত। দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হওয়ার পরে পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়েও নাজেহাল হলেন মালয়ালি ট্যাক্সি চালক লি ম্যাক্স জয়।
শনিবার টাসমানিয়ার হোবার্ট শহরে একদল অস্ট্রেলীয় যাত্রী মারধর করে বছর তেত্রিশের জয়কে। কিন্তু তার জেরে অভিযোগ জানাতে গেলে তা কিছুতেই নথিভুক্ত করতে রাজি হয়নি স্থানীয় পুলিশ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে ফোনে কথপোকথনে মালয়ালি যুবক জানিয়েছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী ওরা যতক্ষণ না শাস্তি পাচ্ছে, শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত তার জন্য লড়াই করব।'
আদতে কোট্টায়মের পুথুপল্লীর বাসিন্দা জয় কর্মসূত্রে গত ৮ বছর যাবত স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে হোবার্ট শহরের বাসিন্দা। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি তিনি প্রতি সপ্তাহে নার্সিং পড়ছেন। অভিযোগ, গত ২৫ মার্চ শহরের ম্যাকডোনাল্ড'স রেস্তোরাঁ চত্বরে তাঁর উপর চড়াও হয় ৩ অস্ট্রেলীয় তরুণ। জয়ের কথায়, 'সেদিন বাড়ি ফেরার সময় ওই রেস্তোরাঁর শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়েছিলাম। বের হওয়ার সময় দেখতে পাই, রেস্তোরাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে চার জন তরুণ ও এক তরুণী বচসা করছে। পার্কিং এলাকায় গাড়ি তেকে জ্যাকেট বের করে পরার সময় দেখতে পাই, উত্তেজিত হয়ে রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের উদ্দেশে গালাগালি দিতে দিতে ওই পাঁচ জন বেরিয়ে আসছে। আমায় দেখেই, এই কালো ভারতীয়! নিজের দেশে ফিরে যা.. চীত্কার করে একজন ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার মুখে পর পর দু' বার ঘুষি মারে। বাকিরাও এলোপাথারি হাত-পা চালাতে থাকে। সঙ্গে চলতে থাকে অকথ্য গালিগালাজ। দৌড়ে রেস্তোরাঁর ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করতেই জামার কলার টেনে ধরে আরও মারধর করতে থাকে।'
এই সময় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ফোনে চেঁচিয়ে পুলিশের সাহায্য চাইলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জয়ের বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রয়্যাল হোবার্ট হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর পরে রবিবার সকাল ৬-৪৫ মিনিট নাগাদ থানা থেকে জয়কে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়। বলা হয়, অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্যের জন্য তাঁর উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে থানায় পৌঁছেও তাঁকে এক ঘণ্টা অহেতুক বসিয়ে রাখা হয়। প্রশ্ন করলেও কোনও জবাব না পেয়ে শেষে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন জয়। জানান, নিগৃহীত হওয়া সত্ত্বেও একজন অপরাধীর মতো তাঁকে বিনা কারণে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। এর পরে একজন পুলিশ আধিকারিক এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। জয়ের দাবি, প্রকারান্তরে তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহাক করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাকডোনাল্ড'স রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে শনিবার রাতের ঘটনার বিস্তারিত দৃশ্য রেকর্ড হয়েছে। সেই ফুটেজ পুলিশের হাতে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহারের পরামর্শ দেওয়ার অর্থ, স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের মদতেই বৈষম্যের আগুনে হাওয়া দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক মাসে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু অংশে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং তার জেরে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা।
# Li Max Joy is pursuing a nursing course and working as a part time taxi driver in Australia.
# Five people including a girl hurled racial abused at him and assaulted him.
# Joy said that the police too discouraged him for pursuing with a case.
শনিবার টাসমানিয়ার হোবার্ট শহরে একদল অস্ট্রেলীয় যাত্রী মারধর করে বছর তেত্রিশের জয়কে। কিন্তু তার জেরে অভিযোগ জানাতে গেলে তা কিছুতেই নথিভুক্ত করতে রাজি হয়নি স্থানীয় পুলিশ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে ফোনে কথপোকথনে মালয়ালি যুবক জানিয়েছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী ওরা যতক্ষণ না শাস্তি পাচ্ছে, শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত তার জন্য লড়াই করব।'
আদতে কোট্টায়মের পুথুপল্লীর বাসিন্দা জয় কর্মসূত্রে গত ৮ বছর যাবত স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে হোবার্ট শহরের বাসিন্দা। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি তিনি প্রতি সপ্তাহে নার্সিং পড়ছেন। অভিযোগ, গত ২৫ মার্চ শহরের ম্যাকডোনাল্ড'স রেস্তোরাঁ চত্বরে তাঁর উপর চড়াও হয় ৩ অস্ট্রেলীয় তরুণ। জয়ের কথায়, 'সেদিন বাড়ি ফেরার সময় ওই রেস্তোরাঁর শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়েছিলাম। বের হওয়ার সময় দেখতে পাই, রেস্তোরাঁর ম্যানেজারের সঙ্গে চার জন তরুণ ও এক তরুণী বচসা করছে। পার্কিং এলাকায় গাড়ি তেকে জ্যাকেট বের করে পরার সময় দেখতে পাই, উত্তেজিত হয়ে রেস্তোরাঁ ম্যানেজারের উদ্দেশে গালাগালি দিতে দিতে ওই পাঁচ জন বেরিয়ে আসছে। আমায় দেখেই, এই কালো ভারতীয়! নিজের দেশে ফিরে যা.. চীত্কার করে একজন ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার মুখে পর পর দু' বার ঘুষি মারে। বাকিরাও এলোপাথারি হাত-পা চালাতে থাকে। সঙ্গে চলতে থাকে অকথ্য গালিগালাজ। দৌড়ে রেস্তোরাঁর ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করতেই জামার কলার টেনে ধরে আরও মারধর করতে থাকে।'
এই সময় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ফোনে চেঁচিয়ে পুলিশের সাহায্য চাইলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জয়ের বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রয়্যাল হোবার্ট হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর পরে রবিবার সকাল ৬-৪৫ মিনিট নাগাদ থানা থেকে জয়কে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়। বলা হয়, অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্যের জন্য তাঁর উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে থানায় পৌঁছেও তাঁকে এক ঘণ্টা অহেতুক বসিয়ে রাখা হয়। প্রশ্ন করলেও কোনও জবাব না পেয়ে শেষে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন জয়। জানান, নিগৃহীত হওয়া সত্ত্বেও একজন অপরাধীর মতো তাঁকে বিনা কারণে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। এর পরে একজন পুলিশ আধিকারিক এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। জয়ের দাবি, প্রকারান্তরে তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহাক করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাকডোনাল্ড'স রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে শনিবার রাতের ঘটনার বিস্তারিত দৃশ্য রেকর্ড হয়েছে। সেই ফুটেজ পুলিশের হাতে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহারের পরামর্শ দেওয়ার অর্থ, স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের মদতেই বৈষম্যের আগুনে হাওয়া দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক মাসে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু অংশে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং তার জেরে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা।
# Li Max Joy is pursuing a nursing course and working as a part time taxi driver in Australia.
# Five people including a girl hurled racial abused at him and assaulted him.
# Joy said that the police too discouraged him for pursuing with a case.