এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার ১৩ বছর পূর্ণ হল। অথচ এখনও এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা শাস্তি পেল না। এখনও পাকিস্তানের আদালতে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তানকে ‘দু-নৌকায় পা দিয়ে চলা’ বন্ধ করার কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে মুম্বই হামলার ১৩ তম বর্ষপূর্তিতে পাক কূটনীতিককে তলব করে এই হামলায় অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পন্ন করার আবেদন জানাল বিদেশমন্ত্রক। মুম্বইয়ের ২৬/১১ জঙ্গি হামলা শুক্রবার ১৩ বছরে পড়ল। তাই এদিনই নয়াদিল্লিতে কর্মরত পাকিস্তান হাই কমিশনের এক সিনিয়ার আধিকারিককে তলব করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তাঁর হাতে পাকিস্তানের আদালতে চলা মুম্বই হামলার অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পন্ন করার দাবি সম্বলিত একটি বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ওই হামলায় শহিদ ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সামান্য আন্তরিকতা দেখানোর আবেদন জানানো হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে, ‘এটা অত্যন্ত বেদনার বিষয় যে, ২৬/১১ মুম্বই হামলার ১৩ বছর পর এখনও নিহত ১৬৬ জনের পরিবার সুবিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।’ এই পরিবারগুলিকে ‘নূন্যতম আন্তরিকতা’ দেখানোর ব্যাপারে পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্টত বলা হয়েছে, ‘২৬/১১ জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা, সম্পাদনা এবং হামলা পাকিস্তান থেকেই করা হয়েছিল।’ তাই এই ভয়াবহ হামলার বিচারপ্রক্রিয়ার ব্যাপারে দু-নৌকায় পা দিয়ে না চলার কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘এটা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের কাছে নিরীহ নিহতদের পরিবারের প্রতি পাকিস্তানের জবাবদিহিতার বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেও পড়ে।’
উল্লেখ্য, ১৩ বছর আগে, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক জঙ্গিদের হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, তাজমহল প্যালেস হোটেল থেকে শুরু করে নারিম্যান প্যালেস, লিওপোল্ড ক্যাফে সহ মুম্বইয়ের জনবহুল স্থানগুলিতে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এই হামলার মূল চক্রী। ওই হামলায় ভারত সহ আরও ১৪টি দেশের নাগরিকের প্রাণ গিয়েছিল। ওই হামলায় মূল ১০ অভিযুক্তের মধ্যে কেবল আজমল কাসভকে জীবিত গ্রেফতার করা হয় এবং পরে ফাঁসি দেওয়া হয়। তারপর আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে পাকিস্তান এই হামলার মূল চক্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার উদ্যোগ নিলেও আজও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্টত বলা হয়েছে, ‘২৬/১১ জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা, সম্পাদনা এবং হামলা পাকিস্তান থেকেই করা হয়েছিল।’ তাই এই ভয়াবহ হামলার বিচারপ্রক্রিয়ার ব্যাপারে দু-নৌকায় পা দিয়ে না চলার কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘এটা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের কাছে নিরীহ নিহতদের পরিবারের প্রতি পাকিস্তানের জবাবদিহিতার বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেও পড়ে।’
উল্লেখ্য, ১৩ বছর আগে, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক জঙ্গিদের হামলায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, তাজমহল প্যালেস হোটেল থেকে শুরু করে নারিম্যান প্যালেস, লিওপোল্ড ক্যাফে সহ মুম্বইয়ের জনবহুল স্থানগুলিতে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এই হামলার মূল চক্রী। ওই হামলায় ভারত সহ আরও ১৪টি দেশের নাগরিকের প্রাণ গিয়েছিল। ওই হামলায় মূল ১০ অভিযুক্তের মধ্যে কেবল আজমল কাসভকে জীবিত গ্রেফতার করা হয় এবং পরে ফাঁসি দেওয়া হয়। তারপর আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে পাকিস্তান এই হামলার মূল চক্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার উদ্যোগ নিলেও আজও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।