এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছর আগের ঘটনা। ২০০৮ সালের নভেম্বরের অভিশপ্ত সেই রাত। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি হামলায় রক্তে ভিজে গিয়েছিল মুম্বইয়ের মাটি। ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১৬৪ জনের। আহত হন অন্তত ৩০৮ জন। এখনও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন নিহতর পরিজনেরা ও আহতরা। আর সেই ঘটনার ১২ বছর পর পাকিস্তান মেনে নিল মুম্বই হামলার সঙ্গে জড়িত ১১ জন জঙ্গি তাঁদের দেশেই রয়েছে। বুধবার শীর্ষ পাক গোয়েন্দা সংস্থা FIA দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের ১২১০ জনের নাম প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় আছে সেই ১১ জঙ্গি, যারা মুম্বই হামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিল। ওই জঙ্গিদের সন্ধান দিলে পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয়েছে। পাকিস্তানের তালিকায় নাম রয়েছে মুলতানের মহম্মদ আমজাদ খানের। এই মহম্মদই জঙ্গিদের মুম্বই আনার বোট কেনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। একটি মোটর বোট ইঞ্জিন, লাইফ জ্যাকেটের কেনার দায়িত্ব ছিল তার উপরই। আবার শাহিদ গফুর ছিল বোটের চালক। এছাড়াও রয়েছে আরও ৯ জনের নাম। প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, পাকিস্তানের তরফে প্রকাশ করা জঙ্গি তালিকায় হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিম কারও নামই নেই। এই হাফিজই ২৬/১১ হামলার মাস্টার মাইন্ড। আর মাসুদ আজহার পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রান্তকারী। কিন্তু তাঁদের নাম রাখেনি পাকিস্তান। আর দাউদকে নিয়ে কখনই কোনও তথ্য স্বীকার করেনি পাকিস্তান। যদিও দাউদের পাকিস্তান থাকা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। তবে, রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায় পাকিস্তানের বাসিন্দা হিসেবে দাউদের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন অর্ণব গোস্বামীর, জেল থেকে দ্রুত ছাড়ার নির্দেশ
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই জঙ্গি হামলা ২৬/১১ নামেই পরিচিত৷ পাকিস্তান থেকে জলপথে মুম্বইয়ে ঢুকে ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসীরা করাচি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। তারা গভীর সাগর পর্যন্ত একই জাহাজে ছিল। সাগরে একটি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ছিনতাই করে এবং মুম্বাই উপকূলে এসে তার নাবিককে হত্যা করে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা৷ ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল, নরিম্যান হাউস, ইহুদি কমিউনিটি সেন্টার, টাইমস অফ ইন্ডিয়া ভবন ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনের একটি গলি, মাজাগাঁও ও ভিলে পার্লের একটি ট্যাক্সির মধ্যেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, পাকিস্তানের তরফে প্রকাশ করা জঙ্গি তালিকায় হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিম কারও নামই নেই। এই হাফিজই ২৬/১১ হামলার মাস্টার মাইন্ড। আর মাসুদ আজহার পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রান্তকারী। কিন্তু তাঁদের নাম রাখেনি পাকিস্তান। আর দাউদকে নিয়ে কখনই কোনও তথ্য স্বীকার করেনি পাকিস্তান। যদিও দাউদের পাকিস্তান থাকা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। তবে, রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায় পাকিস্তানের বাসিন্দা হিসেবে দাউদের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন অর্ণব গোস্বামীর, জেল থেকে দ্রুত ছাড়ার নির্দেশ
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই জঙ্গি হামলা ২৬/১১ নামেই পরিচিত৷ পাকিস্তান থেকে জলপথে মুম্বইয়ে ঢুকে ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসীরা করাচি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। তারা গভীর সাগর পর্যন্ত একই জাহাজে ছিল। সাগরে একটি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ছিনতাই করে এবং মুম্বাই উপকূলে এসে তার নাবিককে হত্যা করে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা৷ ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল, নরিম্যান হাউস, ইহুদি কমিউনিটি সেন্টার, টাইমস অফ ইন্ডিয়া ভবন ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনের একটি গলি, মাজাগাঁও ও ভিলে পার্লের একটি ট্যাক্সির মধ্যেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।