দারুণ লজ্জার ব্যাপার! Imran Khan-কে 'শুঁটিয়ে লাল' করে দিয়েছিলেন ISI প্রধান!!

মসনদ হারালেও এখনও ইমরানকে নিয়ে সরগরম পাকিস্তানের রাজনীতি। এর মধ্যেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর খবর। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীনই হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। সংবাদমাধ্যম TIMES NOW নবভারত সূত্রে খবর, পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে থাপ্পড় মারা হয় এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।

ইনিংস শেষ! মধ্যরাতেই ইসলামাবাদ ছাড়লেন ইমরান খান

মধ্যরাতে চূড়ান্ত নাটকের মধ্যে দিয়ে ৯ তারিখ, শনিবার মধ্যরাতে পতন হয় ইমরান সরকারের। আস্থা ভোটে পরাজয় হয় ইমরানের। তাঁর বিরুদ্ধে এবং অনাস্থা প্রস্তাবের স্বপক্ষে ভোট দেন ১৭৪ জন। ফলত পাক প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি হারালেন প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ। অনাস্থা পেশকে কেন্দ্র করে শনিবার মধ্যরাতে চূড়ান্ত নাটকের সাক্ষী থাকে গোটা বিশ্ব।

পুরনো পাকিস্তান! ইমরান বিরোধী বিক্ষোভে মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী

রিপোর্টে দাবি, আস্থা ভোট পর্বের রাতেই ইমরানের বাংলোর লনে একটি হেলিকপ্টার নামে। তার থেকে দুই জন নেমে ইমরানের বাড়িতে প্রবেশ করেন বলে দাবি। সূত্রের খবর, বাড়ির মধ্যেই আলাদা ঘরে ডেকে তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধানকে (Tehreek-E-Insaf) ইস্তফা দিতে জোরজবরদস্তি করা হয়। উল্লেখ্য, তখনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ইমরান খান।

পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে রাশিয়া! চিন্তায় জেলেনস্কি

শোনা যায়, পাকিস্তানের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মুখে এমন প্রস্তাব শুনে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ইমরান খান। এমনকি গালিগালাজ দিতে শুরু করেন। সূত্রের দাবি, ইমরানের এমন অভব্যতা সহ্য করতে না পেরে ওই দুই জনের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁকে কষিয়ে এক থাপ্পড় মারেন। এরপর সেখানে কী হয়েছিল একদম পুঙ্খানুপুঙ্খ না জানা গেলেও এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গদিচ্যুত হন ইমরান। রিপোর্টে দাবি, ওই ব্যক্তি ছিলেন জেনারেল বাজওয়া।

সম্প্রতি পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে এই ঘটনার কথা জানা যায়। এছাড়া আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার উর্দু ভাষার চ্যানেলেও এই ঘটনার উল্লেখ করা হয়। পাকিস্তানের তিন বড় সাংবাদিকও তাদের রিপোর্টে এই ঘটনার উল্লেখ করেন। সবথেকে বড় প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয় ইমরানের গালে, চোখের নীচে থাকা গভীর ক্ষত। দাবি ওঠে, ওই আঘাত ঢাকতেই তারপর টানা দুদিন ইমরানকে সানগ্লাস ছাড়া কোথাও দেখা যায়নি।

অমিল বিদ্যুৎ, খাবার, পানীয় জল! দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় মৃত অন্তত ৩৯৫

অন্যদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির অধ্যক্ষ বিলাবল ভুট্টো জারদারিকে এই থাপ্পড়কাণ্ড প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কিঞ্চিৎ অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। এছাড়া এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে সাফাই দিতে দেখা যায় পাকিস্তানের আর্মি প্রধানকেও।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাকিস্তানের সংবিধান মেনে আস্থা ভোটে গদিচ্যুত হন ইমরান খান (Imran Khan)। পরবর্তীতে বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে (Shehbaz Sharif) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে সদ্য প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।