অ্যাপশহর

লাদেন ঘনিষ্ঠ গোয়েন্দাকর্তাকে মন্ত্রী করলেন ইমরান

অ্যাবটাবাদে আল কায়দা সুপ্রিমোর গোপন ডেরায় মার্কিন নেভি সিলের পরেই 'খবরে' এসেছিল তাঁর নাম। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে 'গোপন যোগাযোগে'র অভিযোগে পাক তদন্ত কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও পড়তে হয়েছিল সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার (ইনটেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি) আধিকারিক ইজাজ শাহকে।

EiSamay.Com 4 Apr 2019, 9:46 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবার লাদেন-সখ্যে অভিযুক্ত সেই প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে তাঁর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিলেন। মঙ্গলবার সে দেশের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি পাক পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান ইজাজকে।
EiSamay.Com imran khan appointed izaz shah to his cabinet of ministers
লাদেন ঘনিষ্ঠ গোয়েন্দাকর্তাকে মন্ত্রী করলেন ইমরান


২০১১ সালের ২ মে ভোররাতে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার সওয়ারি মার্কিন কম্যান্ডোদের 'অপারেশন নেপচুন স্ফিয়ারে' নিহত হয়েছিলেন লাদেন। এর পরেই একাধিক পাক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, গোয়েন্দা-প্রধান ইজাজ আগে থেকেই অ্যাবটাবাদে লাদেনের গোপন ডেরার খবর জানতেন। আল কায়দার পাশাপাশি তালিবান নেতাদের সঙ্গেও তাঁর গোপন যোগাযোগের নানা খবর সামনে এসেছিল। বস্তুত, ওই ঘটনার কয়েক বছর আগেই 'পাকিস্তান পিপলস পার্টি'র (পিপিপি) তরফে বেনজির ভুট্টো হত্যার নেপথ্যে তৎকালীন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের ঘনিষ্ঠ ইজাজের 'ভূমিকা' নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ২০১২ সালে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই'য়ের বরখাস্ত প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউদ্দিন বাট অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমার বিশ্বাস, মুশারফকে জানিয়েই ইজাজ অ্যাবটাবাদের ওই বাড়িতে লাদেনের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।' আইএসআই'য়ের প্রাক্তন অফিসার ইজাজের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগেরও অভিযোগ করেছিলেন জিয়াউদ্দিন।

লাদেনের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হলেও ইজাজের পদোন্নতিতে তা বাধা হয়নি। মুশারফ জমানায় ২০০৪ সালে আইবি'র ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে অবসর গ্রহণের পরে পাক সেনার প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার ইজাজ রাজনীতির জগতের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। তবে দ্রুত জনপ্রিয়তা হারানো মুশারফের পরিবর্তে নেতা হিসেবে বেছে নেন প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খানকে। গত বছর পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী হিসেবে নানকানা সাহিব-২ আসনে জয়ী হন তিনি। বিতর্কিত প্রাক্তন গোয়েন্দাকর্তাকে মন্ত্রী করায় বুধবার ইমরানের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দল পিপিপি। দলের নেতা সৈয়দ খুরশিদ শাহ এদিন বলেন, 'এক দাগি ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর কোনও আস্থা নেই।'

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল