অ্যাপশহর

ভারতের সঙ্গে শত্রুতার জন্য পাকিস্তানকে ঘেন্না করে পাকিস্তানিরাই! পড়ুন ৫ ঘটনা...

তাঁরা ভারতে এসে কতটা ভালোবাসা, আতিথেয়তা ও অভ্যর্থনা পেয়েছেন। শেয়ার করেছেন ইন্টারনেটে।

EiSamay.Com 28 Jun 2017, 5:06 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান মানেই শত্রুরাষ্ট্র। তীব্র ঘৃণা উগরে দেন অনেকেই। মাঠে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে কুত্‍‌সিত মন্তব্য। অনেক ভারতীয়ের যেমন ধারণা, পাকিস্তানিরা ভারতীয়দের ঘৃণা করে, তেমন অনেক পাকিস্তানিও মনে করেন, ভারতীয়রা তাঁদের ঘৃণা করেন। আসুন ঘৃণার গল্প ভুলে, কিছু ঘটনা শোনা যাক পাকিস্তানিদের মুখ থেকে। তাঁরা ভারতে এসে কতটা ভালোবাসা, আতিথেয়তা ও অভ্যর্থনা পেয়েছেন। শেয়ার করেছেন ইন্টারনেটে।
EiSamay.Com how pakistanis are angry on pakistan for hating india
ভারতের সঙ্গে শত্রুতার জন্য পাকিস্তানকে ঘেন্না করে পাকিস্তানিরাই! পড়ুন ৫ ঘটনা...


কন্যাকে বাঁচানোর চেষ্টায় পাকিস্তানের এক বাবা

পাকিস্তানের বাসিন্দা ইমরান ও সজ্জাদা মেয়ের দ্বিতীয়বার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য দিল্লি এসেছিলেন। মেয়ে আবিহার প্রথম অস্ত্রোপচার হয়েছিল সৌদি আরবে। পাকিস্তানে সর্দার চেত সিংয়ের তৈরি করা স্কুলে পড়ত আবিহা। সর্দার চেত সিং দেশভাগের পর ভারতে চলে আসেন। স্কুলটির ১০০তম প্রতিষ্ঠা দিবসে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সর্দারের নাতি রতনদীপ সিং কোহলি। সেই সময় রতনদীপের সঙ্গে দেখা করে আবিহা। আবিহা ও তাঁর পরিবার যখন ভারতে আসেন, সরাসরি রতনদীপ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অস্ত্রোপচারের পরেই মৃত্যু হয় ১৩ বছরের আবিহার।

মেয়ের মৃতদেহ নিয়েই পাকিস্তান ফিরতে হয়েছিল ইমরান ও সজ্জাদাকে। কিন্তু ভারতে তাঁরা যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন, তা আজও ভোলেননি ইমরান। ভারতীয় সেনা তাঁর মেয়ের দেহের উপর সবুজ চাদর বিছিয়ে দিয়েছিল। যাতে রোদের তাপ না লাগে। ইমরানের কথায়, 'আমার মেয়ে শেষ নিঃশ্বাস তো ভারতের মাটিতেই ত্যাগ করেছে।'


নমাজের জায়গা করে দিয়েছিলেন এক হিন্দু্

মনি এহসন ২০০৪ সালে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে ভারতে এসেছিলেন। তি্নি জানিয়েছেন, ফেরার পথে একটি জিপে সব মালপত্র তুলে খুব ক্লান্ত। সূর্য ডোবার মুখে। রমজান মাস, তাই খাওয়াও হয়নি। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মনি এহসন। তখনই একটি হোটেলের যুবক তাঁদের বলেন, আপনারা মুসলিম। রোজা চলছে বলে খাওয়া হয়নি। আপনারা কিছু খেয়ে নিন। নমাজ পড়ার জন্য হোটেলের ভিতরেই একটি জায়গা পরিস্কার করে দেন। সেদিনের আনারসের জ্যুস ও খাবারের কথা আজও ভোলেননি তিনি। আর ভোলেননি ভারতীয়দের ভালোবাসা।

পাকিস্তানের বাড়ি ছেড়ে ভারতে বসবাসের খোঁজে

পাকিস্তানের তরুণী সিমল জামান ভারতকে এতটাই ভালোবাসেন যে, ৫ বার ভারতে এসেছেন। না, ভারতে তাঁর কোনও আত্মীয় থাকেন না। সিমল যতবার ভারতে আসেন, অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে যান। তিনি বলেন, 'ওই আধ্যাত্মিক পরিবেশ আমায় মুগ্ধ করে।'

এক পুলিশের ভালোবাসার আলিঙ্গন

পাকিস্তানের বাসিন্দা উসমান কাজির পৈতৃক ভিটে ছিল ভারতের পাঞ্জাবে। ভারতের 'অতিথি দেব ভব' তাঁকে মুগ্ধ করে। পাতিয়ালায় এক পুলিশ ইন্সপেক্টর তাঁকে দুধ ও জিলিপি খাইয়ে ছিলেন। ভালোবাসার আলিঙ্গনে ভরিয়ে দিয়েছিলেন।

অন্য মায়ের হাতে খাওয়া

পারভেস মহেশ্বরী পাকিস্তানি। ভারতে পড়ার সূত্রে রয়েছেন। তিনি বলছেন, ক্রিকেট ম্যাচের সময় আমার এক বন্ধু সব সময় ঝগড়া করত। আমি ওর সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওর মা রোজ আমার জন্য খাবার পাঠান। এই ভালোবাসা আমায় মুগ্ধ করে।

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল