অ্যাপশহর

OMG! এই বাড়িতেই সিরীয় মহিলাদের যৌনদাসী করে রাখা হতো

অবশেষে লেবাননে ধরা পড়ল মধ্য-প্রাচ্যের একটি সবচেয়ে বড় মহিলা পাচারকারিদের দল ।

EiSamay.Com 2 May 2016, 4:32 pm
এই সময়, ডিজিটাল ডেস্ক : অবশেষে লেবাননে ধরা পড়ল মধ্য-প্রাচ্যের একটি সবচেয়ে বড় মহিলা পাচারকারিদের দল । উদ্ধার হল প্রায় ৭৫ জন মহিলা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে তাদের উড়িয়ে আনা হয়ছিল। ভালো চাকরির টোপটাই ওই মহিলাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করে। কিন্তু লেবাননে পৌঁছানোর পর বদলে যায় চিত্রটা। তাদের তোলা হয় লেবাননের চেজ-মারুসি বলে একটি হোটেলে। এর পর মাত্র দুহাজার ডলারে তাদের বেচে দেওয়া হয়। বাধ্য় করা হয় যৌন দাসত্ব করতে। শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার।
EiSamay.Com house of horrors where syrian refugees were kept as sex slaves is uncovered by police in lebanon
OMG! এই বাড়িতেই সিরীয় মহিলাদের যৌনদাসী করে রাখা হতো


দিনে কুড়ি ঘণ্টা করে কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় সারাদিনে অনন্ত দশটি বার তাদেরকে শারিরীক সম্পর্কে যেতে বাধ্য করা হত।মারধরের সঙ্গে মহিলাদের ইলেক্ট্রিক শকও দেওয়া হত। কাস্টমাররা খুশি হয়ে উপরি না দিলেও চলত অত্যাচার । কাস্টমারের ইচ্ছে মত অসুরক্ষিত শারিরীক সম্পর্ক করতে হত এই সকল মহিলাদের। এরফলে প্রায় ২০০টির মতো গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটে।এই দলটির সঙ্গে বেশ কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদেরও উঠিয়ে আনা হয়েছিল একই সময়ে।



দু-তলা এই বাড়িটির জানালা দিয়ে সূর্যের আলো ঢোকার কোনও উপায় ছিলনা। কারণ জানলা আর ব্যালকনি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে এই সকল মহিলারা পালাতে না পারেন । গুমোট বদ্ধ ঘরে থাকতে থাকতে আর লোহার বিছানায় ক্রমাগত শোয়ার ফলে তাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা শুরু হয়। নানা রকম যৌন রোগের স্বীকার হন তারা। অবশ্য এসব ক্ষেত্রেই একমাত্র বাইেরে বেরোনোর সুযোগ পেতেন এই সব আক্রান্ত মহিলারা। অবশ্যই কড়া নজরদারিতে। বাড়ির বাইরে এবং ভিতরে পুরুষ এবং মহিলাদের কড়া পাহাড়ায় রাখা হত এই ৭৫ জন মহিলাকে।




এই ভাবে বেশ চলছিল। কিন্তু ইস্টারের সময় সুরক্ষার ঢিলেমির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই বাড়িটি থেকে পালাতে সক্ষম হন কয়েকজন মহিলা। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তারা কেউ দৌড়ে, কেউ বা বাসে আবার জনা তিনেক একটি মিনি ভ্যানে চড়ে পালাতে সক্ষম হন। মিনি ভ্যানের চালক তাদের সব কথা শুনে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়েই প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। এরপর বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশেরা ওই তিন মহিলার সঙ্গে কথা বলে পুরো এই দলটিকে ধরার পরিকল্পনা তৈরি করেন ।

পুলিশ দীর্ঘদিন এই চক্রটির সন্ধানে ছিল। এরপর সমস্ত পরিকল্পনা মতো ওই বাড়িটিকে ঘিরে ফেলা হয়। অতন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রায় ২৩ জন কালপ্রিট কে গ্রেপ্তার করে ফেলে পুলিশ। একজন ডাক্তারকেও গ্রেপ্তার করা হয়। যিনি প্রত্যেকটি গর্ভপাতের জন্য ২০০-৩০০ ডলার নিতেন। বাদবাকি মহিলাদের উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই দলটির অন্যতম দুই কালপ্রিট ফওয়াজ-আলি-হাসান ও ইমাদ-অল-রিহোয়াই কে ধরতে পারেনি লেবানন পুলিশ। এই ঘটনার পর লেবানন পুলিশের মুখপাত্র জানান '' শরীর এবং মনে সমস্ত দিক থেকেই এই মহিলারা তাদের স্বাধীনতা খুইয়ে ছিল। এটা এক ভয়ানক দাসত্ব"।

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল