অ্যাপশহর

‘৭ নম্বর রুমের দরজা খুলতেই দেখলাম ছেলেটা মেয়েটাকে কাঁচা ছিঁড়ে খাচ্ছে’

স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুবলে মেয়েটির মুখের একটা অংশ ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়েছে। যন্ত্রণায় প্রাণের ভয়ে চিত্কারর করছিলেন তিনি।

EiSamay.Com 17 Mar 2017, 8:32 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুবলে মেয়েটির মুখের একটা অংশ ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়েছে। যন্ত্রণায় প্রাণের ভয়ে চিত্কারর করছিলেন তিনি। তা শুনেই হোটেলের মালকিন বোর্ডারের ঘরে পৌঁছে এক বীভত্স্ দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন। সেই অবস্থায় মেয়েটির মাংস ছিঁড়ে খাচ্ছে ওই বোর্ডার। দ্রুত পুলিশে ফোন করেও বাঁচানো যায়নি সেই তরুণীকে। তবে গ্রেপ্তার হয়েছে সেই বোর্ডার। ইংল্যান্ডের সাউথ ওয়েলসের সিরহোয়ি আর্মস হোটেলে ঘটেছে এমন পৈশাচিক ঘটনা।
EiSamay.Com hes eating her uk hotel owner calls police about cannibal killer
‘৭ নম্বর রুমের দরজা খুলতেই দেখলাম ছেলেটা মেয়েটাকে কাঁচা ছিঁড়ে খাচ্ছে’


৫০ বছরের প্রৌঢ়া হোটেলের মালকিন ম্যান্ডি মাইল্স বলেন, ‘নীচ থেকেই মেয়েটির চিত্কারর শুনতে পাই। উপরে ৭ নম্বর রুমের দরজা তখন ভ্যাজানো ছিল। তার মধ্যে থেকেই মেয়েটির করুণ আর্তি শুনতে পাচ্ছিলাম। ‘আমায় মেরো না, আমায় মেরো না।’ দরজা সামান্য খুলতেই গা গুলিয়ে ওঠে। বোর্ডার উইলিয়াম একটি স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মেয়েটির মুখের এক দিক ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। আর সেখান থেকেই মাংস তুলে খাচ্ছে। আমি দ্রুত নীচে নেমে পুলিশে ফোন করি। তবে পুলিশ আসার আগেই তরুণীকে খুন করে ম্যাথিউ উইলিয়ামস।’

নিহত তরুণী সেরিস ইয়েম পেশায় একজন ওয়েট্রেস। হোটেলের পাশেই একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই উইলিয়ামসের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই তাঁদের পরিচয় হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর উইলিয়ামস তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়। সেই মতো পাশের হোটেলে ডাকে তরুণীকে। সেখানেই খুন হন সেরিস।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে ড্রাগ অ্যাডিক্ট ম্যাথিউ। যখন ড্রাগের জন্য টাকা জোগাড় করতে পারে না, তখনই প্যারানয়েড স্কিত্জোটফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এর আগেও ছোটখাটো নানা অপরাধমূলক কাজের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে সে।

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল