অ্যাপশহর

এবার শীতে ঘুরে আসুন বিশ্বের শীতলতম গ্রামে

শীতকালে বিশ্বের শীতলতম এই জনপদে প্রতিদিন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

EiSamay.Com 24 Oct 2016, 9:21 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের কামড় টের পাওয়া যায় বটে সাইবেরিয়ায়। তবে সেই অঞ্চলেও সবচেয়ে ঠান্ডা সহ্য করতে হয় কাদের? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিশ্বের শীতলতম গ্রামে পাড়ি দিলেন চিত্র সাংবাদিক অ্যামস চ্যাপ্‌ল।
EiSamay.Com experience the coldest inhabited place on earth
এবার শীতে ঘুরে আসুন বিশ্বের শীতলতম গ্রামে


হেমন্তের বাতাশে একটু শিরশিরানি ধরতেই শীত মোকাবিলার মহড়া শুরু করে দেন বঙ্গবাসী। কিন্তু তাঁরা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন না, কী প্রবল ঠান্ডা সহ্য করেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন সাইবেরিয়ার মানুষ। শীতের খবর নিতে সেখানকার তুন্দ্রা অঞ্চলের ওইমাইয়াকন গ্রামে পৌঁছলেন নিউ জিল্যান্ডের আলোকচিত্রী চ্যাপ্‌ল। তথ্য বলছে, শীতকালে বিশ্বের শীতলতম এই জনপদে প্রতিদিন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে এমন চরম আবহাওয়াও ৫০০ বাসিন্দার দৈনন্দিন জীবনযাপনে কোনও বাধা সৃষ্টি করতে পারে না।

সম্প্রতি ওয়েদার ডটকম পত্রিকায় এক সাক্ষাত্‍কারে চ্যাপ্‌ল নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তাঁর কথায়, 'হাল্কা ট্রাউজার্স পরে -৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমানের মধ্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিলাম। মনে হল, সঙ্গে সঙ্গে বরফ-ঠান্ডা আঙুল দিয়ে সাঁড়াশির মতো আমার পা দু'টো কে খামচে ধরেছে। মুখের লালা জমে সূচের মতো ধারালো হয়ে ঠোঁটে ফুটতে শুরু করল।'

এই দুঃসহ ঠান্ডা কী ভাবে সামলান স্থানীয় বাসিন্দারা? কেমন হয় হাড়-জমানো শীতের দিনগুলি? কোন কৌশলে স্বাভাবিক জীবনযাপন বজায় রাখা হয়? খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেল বেশ কিছু অদ্ভুত তথ্য।

শীতে বাড়ির মেঝে এতই ঠান্ডা হয়ে যায় যে তার ওপর জুতো-মোজা পরে হাঁটা ছাড়া গতি থাকে না। একই কারণে কোনও বাড়িতেই দেওয়াল ও মেঝের নীচে জলের পাইপ বসানো হয় না। বেশির ভাগ বাড়িতে শৌচাগারের অবস্থান বাগান বা উঠোনে।

কেউ মারা গেলে, মৃতদেহ কবর দিতে গেলেও বিস্তর ঝামেলা পোয়াতে হয়। মাটি খোঁড়ার আগে কাঠ জ্বেলে তা নরম করে নেওয়াই রীতি।

ওইমাইয়াকন গ্রামে সবচেযে বেশি ঠান্ডা পড়েছিল অবশ্য ১৯২৪ সালে। সে বছর তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছিল -৭১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

# The small village of Oymyakon is situated in the Siberian tundra.
# This is the coolest inhabited place on earth.
# Here temperatures regularly sink as low as -50C.
# Residents have to cope with the bitter conditions on a daily basis.

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল