অ্যাপশহর

জ্বালানি শেষ হওয়াতেই দুর্ঘটনা ব্রাজিলের দল নিয়ে ওড়া প্লেনে

জ্বালানি না থাকাতেই ব্রাজিলের একটি ফুটবল দলের ২২ খেলোয়াড়-সহ যাত্রীদের নিয়ে কলম্বিয়ার মেডেলিনে ভেঙে পড়েছিল লা-মিয়া ফ্লাইট ২৯৩৩, এই সন্দেহ ক্রমশই জোরালো হচ্ছে৷ ভেঙে পড়ার আগে শেষ বার যখন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন ওই বিমানের পাইলট, তখন তিনি বিমানের পুরো বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা বলেছিলেন৷ সেই সঙ্গে জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কথাও৷ কোন কারণটি দুর্ঘটনার পিছনে মূল ভূমিকা নিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্তকারীরাও একমত ছিলেন না৷

EiSamay.Com 2 Dec 2016, 12:29 pm
মেডেলিন : জ্বালানি না থাকাতেই ব্রাজিলের একটি ফুটবল দলের ২২ খেলোয়াড়-সহ যাত্রীদের নিয়ে কলম্বিয়ার মেডেলিনে ভেঙে পড়েছিল লা-মিয়া ফ্লাইট ২৯৩৩, এই সন্দেহ ক্রমশই জোরালো হচ্ছে৷ ভেঙে পড়ার আগে শেষ বার যখন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন ওই বিমানের পাইলট, তখন তিনি বিমানের পুরো বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা বলেছিলেন৷ সেই সঙ্গে জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কথাও৷ কোন কারণটি দুর্ঘটনার পিছনে মূল ভূমিকা নিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্তকারীরাও একমত ছিলেন না৷ কিন্ত্ত তাঁদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানাচ্ছে , জ্বালানি না থাকাটাকেই এখন প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে৷ বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্যও সেটাই দায়ী বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ উড়ান চলাকালীন বিমানে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা চালু রাখা যায় দু’ভাবে৷ হয় বিমানের ইঞ্জিন চলার সময়েই বিদ্যুত্‍ তৈরি হয়, অথবা বিমানে থাকা একটি অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট থেকে৷
EiSamay.Com colombia plane ran out of fuel pilot said before crash
জ্বালানি শেষ হওয়াতেই দুর্ঘটনা ব্রাজিলের দল নিয়ে ওড়া প্লেনে


কিন্ত্ত জ্বালানি যদি না থাকে, তা হলে এর কোনওটিই কাজ করবে না৷ যে কারণে বিমানের যন্ত্রপাতি থেকে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে৷ সোমবার ভেঙে পড়া বিমানটির ক্ষেত্রেও সম্ভবত তা-ই হয়েছিল৷ কলম্বিয়ার অসামরিক বিমান পরিবহণ দন্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভেঙে পড়া বিমানটির সমস্ত অংশ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পর তাঁরা মনে করছেন, মাটিতে আছড়ে পড়ার মুহূর্তে বিমানটিতে কোনও জ্বালানিই ছিল না৷ যদিও তা খুব একটা স্বাভাবিক নয়৷ ওই বিমানের জন্য যে রুটম্যাপ করা হয়েছিল, সেখানে প্রয়োজনে জ্বালানি ভরার জন্য কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় রিফুয়েলিং স্টপ নেওয়ার কথা বলা ছিল৷ কিন্ত্ত বিমানটি সেখানে না থেমেই উড়ে যায়৷ যথেষ্ট জ্বালানি যে নেই, কেন পাইলট তার আগাম আঁচ পেলেন না, সে প্রশ্ন উঠছে৷ তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী , আপত্কালীন পরিস্থিতিতে অন্তত ৩০ মিনিট উড়তে পারার মতো জ্বালানি যে কোনও বিমানে থাকার কথা৷ কিন্ত্ত দুর্ঘটনায় পড়া এই বিমানটির ক্ষেত্রে সেই ‘ইমার্জেন্সি রিজার্ভ’-ও ছিল না৷ কী ভাবে তা সম্ভব হল, তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে সেটাও৷

ইতিমধ্যে সোমবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী অন্য একটি বিমানের পাইলট৷ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর বয়ানটি প্রকাশ করেছে কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যম৷ যে সময় লা -মিয়া বিমানটি ভেঙে পড়ছে , আকাশ থেকেই সেই দৃশ্য দেখতে পান অ্যাভিয়াঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের কো-পাইলট জুয়ান সেবাস্টিয়ান উপেগুই৷ তিনি জানিয়েছেন , দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি তাঁদের বিমানের ঠিক পাশ দিয়েই হুশ করে নীচে নেমে গিয়েছিল৷ এমনকি ককপিট থেকে ওই বিমানের আলোগুলিও তাঁরা অনেকক্ষণ পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিলেন৷ ভেঙে পড়া বিমানের পাইলট এটিসি -কে যে শেষ বার্তা পাটিয়েছিলেন , সেটিও ধরা পড়ে তাঁদের বিমানের বেতার সঙ্কেতে৷ কিন্ত্ত তাঁর যতদূর মনে আছে , এটিসি -কে পাঠানো বার্তায় জ্বালানি না থাকার কথা বললেও অন্য বিমানের ক্রু সদস্যরা ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেননি৷ যা কিছুটা অস্বাভাবিক লেগেছিল তাঁদের কাছে৷ --- সংবাদসংস্থা৷

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল