অ্যাপশহর

জিনপিং-কে কটাক্ষের ফল হাতেনাতে! ১৮ বছরের জেল হল চিনা ধনকুবেরের...

রাজার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি যে করা যাবে না তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল চিন। কমিউনিস্ট পার্টি এবং দেশ নায়কের বিরুদ্ধে ক্রমাগত তির্যক মন্তব্যের ফল পেলেন চিনের ধনকুবের রেন জিকিয়াং। জানুন বিস্তারিত...

EiSamay.Com 23 Sep 2020, 4:02 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের রিয়াল এস্টেট টাইকুন Big Cannon নামে খ্যাত ব্যবসায়ী রেন জিকিয়াং-এর (Ren Zhiqiang) কারাদণ্ড। কী ছিল তাঁর অপরাধ? চিরকালই তিনি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ঘোর বিরোধী ছিলেন। কটাক্ষ করতে কখনও পিছ-পা হতেন না। কিন্তু প্রবল অর্থবলে এবং রাজনৈতিক কানেকশন থাকায় চিরকালই তিনি থেকে গিয়েছিলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার রেন জিকিয়াং-কে ১৮ বছরের কারাদণ্ডে সাজা শোনাল বেজিংয়ের এক আদালত। রায়দানের সময়ে বিচারপতি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, জনগণের টাকা তছরুপ করা, ক্ষমতার অপব্যবহার করার মতো অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যার জেরে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। তবে তাঁর সমর্থকদের দাবি, এই সব কোনও অভিযোগই নয়। রেনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির কাজের সমালোচনা করা এবং দেশ নায়ক শি জিনপিং-কে ক্লাউন বলার জন্যে। বেজিংয়ের এক প্রখ্যাত সমাজতত্ত্ববীদ গুয়ো ইউহুয়া টেলিফনিক সাক্ষাত্‍কারে জানিয়েছেন, ‘এটা ভীষণই স্পষ্ট যে রেন তাঁর বক্তব্যের জন্যে সাজা পাচ্ছেন।’ তাঁর এই সাজা কমানো না হলে ৬৯ বছরের রেন জিকিয়াং-কে জীবনের বাকি সময়টা কাটাতে হবে জেলেই।
EiSamay.Com china’s ‘big cannon’ ren zhiqiang jailed for 18 years for calling xi jinping a clown
১৮ বছরের জেল হল চিনা ধনকুবেরের...


আদালতের রায়ের কপিতে বলা হয়েছে তাঁর জন্যে চিনের সরকারি সংস্থাগুলিকে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছে। সেখানে এও বলা হয়, রেন জিকিয়াং নিজে তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং আদালতের রায় মেনে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভারত, চিন কেউই আর নতুন করে সেনা বাড়াবে না লাদাখে, সিদ্ধান্ত বৈঠকে

ভারতের টহলদারি আগেই রুখেছিল চিন! পাহাড় দখলে অবশ্য চেকমেট

অন্যদিকে, লাদাখ নিয়ে ক্রমশ সম্পর্ক আরও তিক্ত হচ্ছে ভারত-চিনের। পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত সীমানায় দু-দেশের কেউই এর মধ্যে আর নতুন করে সেনা পাঠাবে না। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দু-দেশের সেনাবাহিনীর সিনিয়র কম্যান্ডারদের মধ্যে ১৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠকে দু-পক্ষই এ বিষয়ে সহমত হয়েছে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি ও বেজিঙের তরফে যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আপাতত লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখায় আর অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাবে না ভারত এবং চিন। সেইসঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে, সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝি কমাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও বাড়াবে দু'পক্ষ। যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমস্যা সমাধানে দু-দেশের প্রতিনিধিরাই নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। সমস্যার গভীরে গিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও, বর্তমানে মোতায়েন থাকা দু-দেশের সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত সোমবারের বৈঠকে হয়নি।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল