গণবিক্ষোভের খবর সংগ্রহে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া BBC-র সাংবাদিক এড লরেন্সকে নিয়ে আজব যুক্তি দিল চিন। ওই ঘটনায় ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক, উলটে ব্রিটিশ সাংবাদিকের ঘাড়েই দোষ চাপাল বেজিং। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রক। “গ্রেফতারির সময় একবারের জন্যেই নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেননি ওই ব্যক্তি। যেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেখানে আলাদা করে কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।” বিবৃতিতে বলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ ঐতিহ্যশালী ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা BBC। প্রকাশ্যে সংস্থার তরফে নতুন করে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া না হলেও এই ইস্যুতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
সোমবার BBC সাংবাদিককে গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজুড়ে চিনের বিরুদ্ধে ওঠে নিন্দার ঝড়। এই ঘটনায় বেজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে দূতাবাস। চাপ বাড়তেই বাধ্য হয়ে এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। কিন্তু সেই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একাংশ। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টও করেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক BBC-র এক সাংবাদিকের কথায়, “এডকে গ্রেফতারির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। খবর সংগ্রহের সময় এড কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন না। রাস্তার একপাশে ছিলেন তিনি। তা হলে হঠাৎ করে তাঁকে গ্রেফতার করা হল কেন?”
এর পাশাপাশি আরও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন ওই সাংবাদিক। “যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে, গ্রেফতারির সময় নিজের পরিচয় দেননি এড, তাহলেও চিনের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেফতারির পর এডকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নিশ্চয়ই নিজের পরিচয় গোপন করেননি তিনি। তাহলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হল কেন?” জবাব চেয়েছেন এডের ওই সহকর্মী।
সম্প্রতি কোভিড সংক্রমণ ফের অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় চিনজুড়ে কঠোরভাবে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর সেই ‘জিরো কোভিড’ নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন হাজার হাজার সাধারণ। সাংহাইতে গণবিক্ষোভের খবর সংগ্রহে গিয়েছিলেন BBC-র সাংবাদিক এড লরেন্স। কিন্তু রবিবার রাতে তাঁকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে এডকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টা পর ওই ব্রিটিশ সাংবাদিককে ছেড়ে দেয় চিনা পুলিশ।
সোমবার BBC সাংবাদিককে গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজুড়ে চিনের বিরুদ্ধে ওঠে নিন্দার ঝড়। এই ঘটনায় বেজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে দূতাবাস। চাপ বাড়তেই বাধ্য হয়ে এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। কিন্তু সেই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একাংশ। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টও করেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক BBC-র এক সাংবাদিকের কথায়, “এডকে গ্রেফতারির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। খবর সংগ্রহের সময় এড কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন না। রাস্তার একপাশে ছিলেন তিনি। তা হলে হঠাৎ করে তাঁকে গ্রেফতার করা হল কেন?”
এর পাশাপাশি আরও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন ওই সাংবাদিক। “যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে, গ্রেফতারির সময় নিজের পরিচয় দেননি এড, তাহলেও চিনের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেফতারির পর এডকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নিশ্চয়ই নিজের পরিচয় গোপন করেননি তিনি। তাহলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হল কেন?” জবাব চেয়েছেন এডের ওই সহকর্মী।
সম্প্রতি কোভিড সংক্রমণ ফের অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় চিনজুড়ে কঠোরভাবে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর সেই ‘জিরো কোভিড’ নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন হাজার হাজার সাধারণ। সাংহাইতে গণবিক্ষোভের খবর সংগ্রহে গিয়েছিলেন BBC-র সাংবাদিক এড লরেন্স। কিন্তু রবিবার রাতে তাঁকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে এডকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টা পর ওই ব্রিটিশ সাংবাদিককে ছেড়ে দেয় চিনা পুলিশ।