Xi Jinping Successor: তৈরি নয় পরবর্তী জেনারেশন, শি জিনপিংয়ের পর কার 'চিন মিউজিক'-এ কাঁপবে বিশ্ব?
কেউ পরিচিত যুদ্ধবাজ নামে। কারও আবার বিরোধী কণ্ঠে প্রবল অ্যালার্জি। কারও ক্ষ্যাপামির জেরে ত্রস্ত বিশ্ব। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শাসক তাঁরা। একের পর এক সিদ্ধান্তে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এসেছে আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও। তাতে অবশ্য কুছ পরোয়া নহি। তাঁরা পরিচিত হার্ড টাস্ক মাস্টার হিসেবে। কিন্তু, তাঁদের অবর্তমানে দেশের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে উঠবে? কে পাবেন ক্ষমতা? এরকমই একাধিক বিশ্ব নিন্দিত শাসকদের উত্তরসূরির খোঁজ করল এই সময় ডিজিটাল। আজ তৃতীয় কিস্তি...
হাইলাইটস
- শি জিংপিংয়ের পর কার হাতে চিনের ক্ষমতা?
- উত্তরসূরীর নাম নিজেই ঘোষণা করবেন শি: সূত্র
- গণ অভ্যুত্থান হতে পারে চিনে, দাবি বিশেষজ্ঞদের
অভিষেক রায়চৌধুরী
দূর থেকে ফাঁকা আওয়াজ নয়। রীতিমতো ফোনে হুমকি। তাও আবার খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তাইওয়ান তাঁর চাই-ই চাই। তবে না ‘প্রস্থ ও দিঘে’ সমান হয় টানা। প্রতিষ্ঠা পায় ‘এক চিন নীতি’। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোর করে এই নীতি কার্যকর করলে রক্তে ভিজবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাটি। এহেন ‘নেকড়ে যুদ্ধের কূটনীতি’-তে বিশ্বাসী দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা কিন্তু নিজের দেশেই নিরঙ্কুশ নয়। নইলে বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় ট্যাঙ্ক নামবে কেন? তবে কি জোর করে সবার মুখ বন্ধের চেষ্টা? হতে পারে গণ-অভ্যুত্থান? নাকি সময়ের সঙ্গেই রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নেবেন তিনি? হাল ধরবে নতুন কেউ? যুদ্ধের উস্কানির আবহে এসব নিয়ে কাঁটাছেঁড়া ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকরা।
গত ১০ বছর ধরে দেশের যাবতীয় ক্ষমতার চাবিকাঠি রয়েছে শি জিনপিংয়ের হাতে। গবেষকদের দাবি, ‘শীতযুদ্ধ’ উত্তর বিশ্বে চিনকে শক্তিশালী করে তোলার নেপথ্য করিগর তিনিই। আর্থিক ও সামরিক — সমান তালে দু’দিকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন জিনপিং। অনেকের এমনও দাবি, ২১ শতকের বিশ্বে সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে, তবে সে হল চিন। কিন্তু, এর মাঝেই নিঃশব্দে অন্য বিপদ উঁকি দিতে শুরু করেছে ড্রাগনল্যান্ডে। শি-র মতো শক্তিশালী নেতা আর তৈরি করতে পারেনি তাঁর দল। সে ক্ষেত্রে জিনপিংয়ের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সম্প্রতি ‘কমিউনিস্ট পার্টিস বিগ বার্থ ডে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই নিয়ে মুখ খোলেন লন্ডনে কর্মরত এক অধ্যাপক। স্টিভ সাং নামে ওই গবেষকের দাবি, শক্তিশালী নেতা যে তৈরি হয়নি, দেরিতে হলেও এই সত্যটা বুঝেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। তাই নভেম্বরে ২০তম পার্টি কংগ্রেসে উত্তরসূরির নামে নিজেই ঘোষণা করবেন শি।” সেক্ষেত্রে হু চুনহুয়া নামে পলিটব্যুরোর সবচেয়ে তরুণ তাত্ত্বিক নেতার শিকে ছিঁড়তে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। এর পিছনে একাধিক যুক্তি রয়েছে লন্ডনের অধ্যাপকের। তাঁর কথায়, “দলের মধ্যে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ উঠে আসুক, এমনটা চান না শি। কপি বুক পলিটিশিয়ানই বেশি পছন্দ তাঁর। আবার পার্টি চায়, উত্তরসূরিকে নিজের হাতে গড়ে পিটে নিক শি। বুঝিয়ে দিক প্রশাসনের মারপ্যাঁচ। বা দুনিয়াদারির দাবার চাল। যাতে তিনি সরলেও বিশ্বে অটুট থাকে চিনা আগ্রাসন।”
বেজিংয়ে কর্মরত ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-র সাংবাদিক মেলিন্ডা লুইয়ের অবশ্য দাবি, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়তে হতে পারে চিনকে। সেক্ষেত্রে গোটা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে গিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি। লুইয়ের কথায়, “হংকং ও তাইওয়ানকে জোর করে দখল করতে চাইছেন শি। তার জন্য সেনার পিছনে জলের মতো খরচ হচ্ছে টাকা। পাশাপাশি ঋণের জালে জড়িয়ে একাধিক দেশকে কব্জা করতে গিয়েও অর্থনীতিকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে চিনা জনগণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিতে হয়েছে বেজিংকে। আর এরই প্রতিবাদে শ্যানডং প্রদেশে রাস্তা নামে মানুষ।” এই বিক্ষোভ ঠেকাতেই ৩৩ বছর পর পিএলএ-কে ট্যাঙ্ক নামাতে হয়েছে রাস্তায়। “জনগণের কণ্ঠস্বরকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শি। তাই গণতন্ত্র তাঁর না-পসন্দ। পৃথিবীর ইতিহাস বলছে, এধরনের শাসনের পতন হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানেই। চিনের ক্ষেত্রেও তেমন হতে বেশি দেরি নেই।” জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদসংস্থার প্রতিনিধি। তেমনটা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পোয়া বারো হবে ভারতেরও। পাশাপাশি নতুন করে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখবে অতীশ দীপঙ্করের পা পরা বৌদ্ধ ধর্মের চারণভূমি ‘পৃথিবীর ছাদ’-ও।
‘নিন্দুক’-দের এসব জল্পনায় অবশ্য কান দিচ্ছে না চিন। সরকারি শ্যেন দৃষ্টি এড়িয়ে খুব কম খবরই বহির্বিশ্বকে জানতে দেয় বেজিং। জিনপিংয়ের গোঁড়া সমর্থকদের দাবি, আস্তিনে লুকানো তাস এখনও বেরই করেননি শি। শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া পার্টির পতন তো আর সহজ নয়। কে বলতে পারে, পলিটব্যুরোর তালিমে হয়তো নেতৃত্বের যোগ্য হয়ে উঠছেন প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়ং। চোখের সামনে অথচ সবার অলক্ষ্যে...
দূর থেকে ফাঁকা আওয়াজ নয়। রীতিমতো ফোনে হুমকি। তাও আবার খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। তাইওয়ান তাঁর চাই-ই চাই। তবে না ‘প্রস্থ ও দিঘে’ সমান হয় টানা। প্রতিষ্ঠা পায় ‘এক চিন নীতি’। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোর করে এই নীতি কার্যকর করলে রক্তে ভিজবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাটি। এহেন ‘নেকড়ে যুদ্ধের কূটনীতি’-তে বিশ্বাসী দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা কিন্তু নিজের দেশেই নিরঙ্কুশ নয়। নইলে বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় ট্যাঙ্ক নামবে কেন? তবে কি জোর করে সবার মুখ বন্ধের চেষ্টা? হতে পারে গণ-অভ্যুত্থান? নাকি সময়ের সঙ্গেই রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নেবেন তিনি? হাল ধরবে নতুন কেউ? যুদ্ধের উস্কানির আবহে এসব নিয়ে কাঁটাছেঁড়া ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকরা।
গত ১০ বছর ধরে দেশের যাবতীয় ক্ষমতার চাবিকাঠি রয়েছে শি জিনপিংয়ের হাতে। গবেষকদের দাবি, ‘শীতযুদ্ধ’ উত্তর বিশ্বে চিনকে শক্তিশালী করে তোলার নেপথ্য করিগর তিনিই। আর্থিক ও সামরিক — সমান তালে দু’দিকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন জিনপিং। অনেকের এমনও দাবি, ২১ শতকের বিশ্বে সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে, তবে সে হল চিন। কিন্তু, এর মাঝেই নিঃশব্দে অন্য বিপদ উঁকি দিতে শুরু করেছে ড্রাগনল্যান্ডে। শি-র মতো শক্তিশালী নেতা আর তৈরি করতে পারেনি তাঁর দল। সে ক্ষেত্রে জিনপিংয়ের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সম্প্রতি ‘কমিউনিস্ট পার্টিস বিগ বার্থ ডে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই নিয়ে মুখ খোলেন লন্ডনে কর্মরত এক অধ্যাপক। স্টিভ সাং নামে ওই গবেষকের দাবি, শক্তিশালী নেতা যে তৈরি হয়নি, দেরিতে হলেও এই সত্যটা বুঝেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। তাই নভেম্বরে ২০তম পার্টি কংগ্রেসে উত্তরসূরির নামে নিজেই ঘোষণা করবেন শি।” সেক্ষেত্রে হু চুনহুয়া নামে পলিটব্যুরোর সবচেয়ে তরুণ তাত্ত্বিক নেতার শিকে ছিঁড়তে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। এর পিছনে একাধিক যুক্তি রয়েছে লন্ডনের অধ্যাপকের। তাঁর কথায়, “দলের মধ্যে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ উঠে আসুক, এমনটা চান না শি। কপি বুক পলিটিশিয়ানই বেশি পছন্দ তাঁর। আবার পার্টি চায়, উত্তরসূরিকে নিজের হাতে গড়ে পিটে নিক শি। বুঝিয়ে দিক প্রশাসনের মারপ্যাঁচ। বা দুনিয়াদারির দাবার চাল। যাতে তিনি সরলেও বিশ্বে অটুট থাকে চিনা আগ্রাসন।”
বেজিংয়ে কর্মরত ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-র সাংবাদিক মেলিন্ডা লুইয়ের অবশ্য দাবি, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়তে হতে পারে চিনকে। সেক্ষেত্রে গোটা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে গিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি। লুইয়ের কথায়, “হংকং ও তাইওয়ানকে জোর করে দখল করতে চাইছেন শি। তার জন্য সেনার পিছনে জলের মতো খরচ হচ্ছে টাকা। পাশাপাশি ঋণের জালে জড়িয়ে একাধিক দেশকে কব্জা করতে গিয়েও অর্থনীতিকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে চিনা জনগণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিতে হয়েছে বেজিংকে। আর এরই প্রতিবাদে শ্যানডং প্রদেশে রাস্তা নামে মানুষ।” এই বিক্ষোভ ঠেকাতেই ৩৩ বছর পর পিএলএ-কে ট্যাঙ্ক নামাতে হয়েছে রাস্তায়। “জনগণের কণ্ঠস্বরকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শি। তাই গণতন্ত্র তাঁর না-পসন্দ। পৃথিবীর ইতিহাস বলছে, এধরনের শাসনের পতন হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানেই। চিনের ক্ষেত্রেও তেমন হতে বেশি দেরি নেই।” জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদসংস্থার প্রতিনিধি। তেমনটা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পোয়া বারো হবে ভারতেরও। পাশাপাশি নতুন করে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখবে অতীশ দীপঙ্করের পা পরা বৌদ্ধ ধর্মের চারণভূমি ‘পৃথিবীর ছাদ’-ও।
‘নিন্দুক’-দের এসব জল্পনায় অবশ্য কান দিচ্ছে না চিন। সরকারি শ্যেন দৃষ্টি এড়িয়ে খুব কম খবরই বহির্বিশ্বকে জানতে দেয় বেজিং। জিনপিংয়ের গোঁড়া সমর্থকদের দাবি, আস্তিনে লুকানো তাস এখনও বেরই করেননি শি। শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া পার্টির পতন তো আর সহজ নয়। কে বলতে পারে, পলিটব্যুরোর তালিমে হয়তো নেতৃত্বের যোগ্য হয়ে উঠছেন প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়ং। চোখের সামনে অথচ সবার অলক্ষ্যে...