প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল চিনে থামছে না বিক্ষোভ। পুলিশ নামিয়ে, ব্যাপক ধর-পাকড় চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আন্দোলন। এই অবস্থায় বয়স্কদের জন্য গণহারে ভ্যাকসিনেশন শুরু করার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে ‘জিরো কোভিড নীতি’-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যে সহ্য করা হবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। জিনপিংয়ের এহেন পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো ‘গাজর আর লাঠি’ নীতি নিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। স্বাধীনতার পর এই নীতি প্রয়োগ করেই দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন সর্দার প্যাটেল। অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যের ভারত ভুক্তির ক্ষেত্রে আলোচনার পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আবার হায়দরাবাদের ক্ষেত্রে ‘অপারেশন পোলো’-র মতো সেনা অভিযান চালাতে হয়েছিল তাঁকে। প্যাটেলের মতোই একদিকে ভ্যাকসিনেশন এবং অন্যদিকে বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভ থামানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং।
গত বৃহস্পতিবার থেকে চিনের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে। প্রথমে সাংহাইতে শুরু হয় লকডাউন বিরোধী আন্দোলন। পরে তা বেজিং-সহ একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই ‘হয় স্বাধীনতা, নয় মৃত্যু!’ এই স্লোগানকে সামনে রেখেই রাজপথের দখল নিয়েছে পড়ুয়ারা। বুকে লাগানো রয়েছে ‘শি জিনপিং নিপাত যাক’ (Xi Jinping Must Resign) প্ল্যাকার্ড। এদিকে, আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে চিনের কমিউনিস্ট পার্টিও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আন্দোলন নিয়ে কড়া সেন্সরশিপ চালু করা হয়েছে দেশজুড়ে। এই আন্দোলন নিয়ে পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করছেন শি জিনপিং।
চিনের এই লকডাউন বিরোধী আন্দোলনের (China Covid Protest) প্রথম সারিতে দেখা যাচ্ছে মূলত তরুণ প্রজন্মকেই। জোরাল কন্ঠে তাঁদের দাবি, 'হয় স্বাধীনতা, নয় মৃত্যু'। ইতিমধ্যেই এই প্রতিবাদ আন্দোলনের ভিডিয়োগুলি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও কোনও কোনও মহলের দাবি, আন্দোলনকে দমাতে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োগুলি সার্চ করলে সামনে আসছে পর্ন ছবি। অন্য একটি সূত্র মারফত দাবি, এই আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে শি জিনপিং সরকার গুলি চালিয়েছিল। তাতে ১০ জন তরুণ আন্দোলনকারীর মৃত্যুও হয়েছে। যদিও এই নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।
চিনা মিডিয়া সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ১৬টি শহরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার সহ একাধিক দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে চিনের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে। প্রথমে সাংহাইতে শুরু হয় লকডাউন বিরোধী আন্দোলন। পরে তা বেজিং-সহ একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই ‘হয় স্বাধীনতা, নয় মৃত্যু!’ এই স্লোগানকে সামনে রেখেই রাজপথের দখল নিয়েছে পড়ুয়ারা। বুকে লাগানো রয়েছে ‘শি জিনপিং নিপাত যাক’ (Xi Jinping Must Resign) প্ল্যাকার্ড। এদিকে, আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে চিনের কমিউনিস্ট পার্টিও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আন্দোলন নিয়ে কড়া সেন্সরশিপ চালু করা হয়েছে দেশজুড়ে। এই আন্দোলন নিয়ে পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করছেন শি জিনপিং।
চিনের এই লকডাউন বিরোধী আন্দোলনের (China Covid Protest) প্রথম সারিতে দেখা যাচ্ছে মূলত তরুণ প্রজন্মকেই। জোরাল কন্ঠে তাঁদের দাবি, 'হয় স্বাধীনতা, নয় মৃত্যু'। ইতিমধ্যেই এই প্রতিবাদ আন্দোলনের ভিডিয়োগুলি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও কোনও কোনও মহলের দাবি, আন্দোলনকে দমাতে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োগুলি সার্চ করলে সামনে আসছে পর্ন ছবি। অন্য একটি সূত্র মারফত দাবি, এই আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে শি জিনপিং সরকার গুলি চালিয়েছিল। তাতে ১০ জন তরুণ আন্দোলনকারীর মৃত্যুও হয়েছে। যদিও এই নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।
চিনা মিডিয়া সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ১৬টি শহরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার সহ একাধিক দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা।