অ্যাপশহর

এবার ব্রুসেলোসিস, মারাত্মক সংক্রমণে চিনে বন্ধ্যা হওয়ার সম্ভাবনায় অগুনতি মানুষ! জানুন...

চিনের উহান প্রদেশ থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা প্যানডেমিক। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন মারণ সংক্রমণে। এরই মধ্যে ফের আতঙ্কের খবর পাওয়া গেল চিন থেকে। সামনে এল মারণ ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কথা!

EiSamay.Com 18 Sep 2020, 3:44 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার পর ফের এক মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে চিনে। ইতোমধ্যে উত্তর পশ্চিম চিনের প্রায় ৩ হাজার মানুষের শরীরে পাওয়া গিয়েছে মারণ ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ। জানা গিয়েছে গত বছর একটি বায়োফার্মা সংস্থায় লিকেজ হওয়ার প্রভাবই দেখা দিচ্ছে এভাবে। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে গানসু প্রদেশের রাজধানী (Gansu) লানজৌ-তে (Lanzhou) প্রায় ৩২৪৫ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে এই মারণ ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে আনপ্যাচুরাইজিড দুধ বা গবাদি পশুর থেকেই এই রোগ ছড়ায়। আবার কখনও কখনও নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করতে পারে এই ব্যাক্টেরিয়া, যা হয়েছে লানজৌ-র ক্ষেত্রে।
EiSamay.Com brucellosis outbreak in china how deadly is the bacterial infection
এবার ব্রুসেলোসিস!


আরও পড়ুন: চিকেন উইংসে করোনা! চিন থেকে ফের আতঙ্কের খবর

প্রশাসনিক তদন্তে জানা গিয়েছে Zhongmu Lanzhou বায়োলজিকাল ফার্মা ফ্যাকট্রি পশুদের জন্যে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis Vaccine) ভ্যাকসিন তৈরি করছিল। অসাবধাণতাবশত সেই ব্রুসেলার এরোসোলাইজড ভার্সন গত বছর গ্রীষ্মে বাতাসে মিশে যায়। এর পরেই হাওয়া বাহিত হয়ে আসপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ব্যাক্টেরিয়া। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই জুনোসিস রোগের মারাত্মার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে মানব শরীরে। দেখা দিতে পারে যকৃত্‍ ও প্লীহার ইনফ্লেমেশন, শ্বাসকষ্ট, প্রজনন সিস্টেমের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি। পুরুষদের মধ্যে দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব।

কী এই ব্রুসেলোসিস? লক্ষণ কী কী?

ব্রুসেলা গোত্রের ব্যাক্টেরিয়া থেকে হওয়া মারণ সংক্রমণ। এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের পাশাপাশি ভেড়া, গোরু, ছাগল, শুয়োর এবং কুকুরদেরও হতে পারে।

লক্ষণ

জ্বর—যা যাওয়াআসা করবে।

মাথা যন্ত্রণা

পেটে যন্ত্রণা

গাঁটে, মাংসপেশি এবং কোমরে যন্ত্রণা

সব সময়ে ক্লান্তিভাব

হঠাত্‍ হঠাত্‍ কাঁপুনি দিয়ে ঠান্ডা লাগা

প্রচণ্ড ঘাম

ওজন কমে যাওয়া

খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া

এই সবের মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকতে পারে।


রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

শরীরের বহু অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে এই রোগ। হার্ট, লিভার, সেনট্রেল নার্ভাস সিস্টেম, রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম সবকিছুর উপরেই মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই রোগের অন্যতম জটিলতা ইনফ্লেমড টেস্টিকলস। যার ফলে পুরুষদের মধ্যে দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব। এছাড়াও হতে পারে আর্থ্রাইটিস, এন্ডোকার্ডিটিস, এনকেফেলাইটিস, মেনিনজাইটিস। ব্রুসেলোসিস-এ (brucellosis) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে ২ শতাংশ।

চিকিত্‍সা ও নিরাপত্তা

এই রোগের চিকিত্‍সায় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকস দেওয়া হয়। দেওয়া যেতে পারে রিফ্যামপিন বা ডক্সিসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ। সংক্রমণের ধরনের উপর নির্ভর করে কত দ্রুত রোগী সেরে উঠবেন। কেউ কেউ সেরে উঠতে পারেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবারা কারও ক্ষেত্রে লেগে যেতে পারে কয়েক মাস।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

পরের খবর