অ্যাপশহর

আজ বৈঠকে বসছেন মোদী এবং জিনপিং

ডোকলাম সীমান্তে দীর্ঘ ৭০ দিনের অবস্থান , উত্তরাখণ্ডে সেনা ঢোকানোর হুঙ্কার এ সব এখন অতীত৷ ব্রিকসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট জাই জিনপিং৷

EiSamay.Com 5 Sep 2017, 9:07 am
বেজিং : ডোকলাম সীমান্তে দীর্ঘ ৭০ দিনের অবস্থান , উত্তরাখণ্ডে সেনা ঢোকানোর হুঙ্কার এ সব এখন অতীত৷ ব্রিকসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট জাই জিনপিং৷ আর হাসিমুখে এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এটাই বাস্তব৷ আর সে পথে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে মঙ্গলবার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলছেন মোদী -জিনপিং৷ তাতে ডোকলাম প্রসঙ্গ আসবে কি না , তা স্পষ্ট নয় , কিন্ত্ত এত দিনের অস্বস্তি কাটিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধান যে মুখোমুখি হচ্ছেন , এটাই কূটনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা৷ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক এ দিন বলেন , ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট জাই জিনপিং কাল জিয়ামেনে দুপুর সাড়ে ১২টায় (ভারতীয় সময় সকাল ১০টায় ) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন৷ ’ ব্রিকস বৈঠকের শুরু থেকেই জিনপিং ও মোদীর পৃথক বৈঠকের ইঙ্গিত দিচ্ছিল চিন৷ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেছিলেন , ‘আমার বিশ্বাস , সহকর্মীরা নিশ্চয়ই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের আয়োজন করবে৷ ’
EiSamay.Com brics meet under shadow of doklam pm modi pitches for strong people to people exchanges between nations
আজ বৈঠকে বসছেন মোদী এবং জিনপিং


কিন্ত্ত বৈঠকের সূচি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি৷ অবশেষে ভারতের তরফেই মিলল খবর৷ ভারত -চিন ও ভুটানের সীমান্তবর্তী এলাকায় চিনের রাস্তা তৈরি নিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত , তার জল গড়িয়েছে বহুদূর৷ প্রায় ৭০ দিন দু’দেশের সেনা সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল৷ তার মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়িও চলে৷ এই পরিস্থিতিতে মোদীর ব্রিকস সফর নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত ব্রিকস সফরের ক’দিন আগেই ভারতের তরফে জানানো হয় , সীমান্ত সমস্যা মিটেছে৷ দু’দেশই ডোকলাম থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে৷ চিন অবশ্য দাবি করে , ভারত সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা ডোকলামে টহলদারি জারি রাখবে৷ রাস্তা তৈরি বন্ধ রাখার কোনও ইঙ্গিতও দেয়নি চিন৷ এই পরিস্থিতিতে মোদীর ব্রিকস বৈঠকে ডোকলাম প্রসঙ্গ উঠবে , এমন জল্পনাই চলছে৷ দু’দিনের আলোচনায় সরাসরি ডোকলাম প্রসঙ্গ না উঠলেও ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ এড়িয়ে শান্তি ও উন্নয়নমূলক আলোচনার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং৷ সেটিকে প্রকারান্তরে ভারতের প্রতি আলোচনার বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আর বিতর্কিত বিষয়গুলিতে কূটনৈতিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন জিনপিং৷ ভারত শুরু থেকেই দাবি করে এসেছে , কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়েই ডোকলাম সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়েছে৷ জিনপিংয়ের এই মন্তব্যকে সেই দাবিরই প্রতিধ্বনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

ব্রিকসের যৌথ বিবৃতিতে প্রথম বার পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম রেখে চিন পাকিস্তানের ব্যাপারে তাদের অবস্থান কিছুটা বদলেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গটি এ দিনের বৈঠকে উত্থাপন করতে পারেন মোদী৷ আর চিনের ভেটোতেই পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি ) ভারতের অন্তর্ভূক্তি আটকে রয়েছে৷ মোদী সে ব্যাপারে জিনপিংয়ের অবস্থান বদলাতে পারেন কি না , সেটাই দেখার৷

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল