সামরিক শাসিত মায়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু কিকে চারটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল। শাস্তি হিসেবে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল তাঁকে। সোমবার এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এক সংবাদসংস্থা। মায়ানমারের ৭৭ বছর বয়সী নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে সামরিক সরকার দুর্নীতি থেকে শুরু করে নির্বাচনে জালিয়াতিসহ অন্তত ১৮টি অপরাধের অভিযোগ এনেছে। সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বমোট ১৯০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সু কি-র। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সামরিকার সরকারের অভিযোগগুলি নস্যাৎ করেছেন অং সান সু কি। সেই সঙ্গে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে এনেছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগও।
সূত্রের খবর, সু কি (৭৭) মায়ানমারের ডাও খিন ফাউন্ডেশনের তহবিল অপব্যবহার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সংস্থাটি তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, সেই সংস্থার তহবিল তিনি বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও সরকারি মালিকানাধীন জমি লিজ দেওয়ার জন্যও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বর্তমানে জেলেই রয়েছেন মায়ানমারে নেত্রী। একাধিক দু্র্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মায়ানমারের রাজধানী নেপিতাও-এর একটি কারাগার এখন তাঁর বর্তমান ঠিকানা। ২০২১ সালে অং সান সু কি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ব্যাপক অস্থিরতার সৃষ্টি হয় মায়ানমারে। দেশের সাধারণ নির্বাচনে সু কির দল এনএলডি জয় পাওয়া সত্বেও, সেনা সেই সরকারকে উৎখাত করে। সেই সঙ্গে সু কির বিরুদ্ধে সেনা-সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলো জালিয়াতির অভিযোগ করে।
ইতিমধ্যে মায়ানমারে বর্তমান সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ক্ষমতা দখলের পর সামরিকবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের অভিযোগ। সেই সঙ্গে বিনা কারণে বহু মানুষকে কারাবন্দি করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছে তারা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বর্তমান মায়ানমারের সামরিক সরকারের উপর জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। সেইসঙ্গে সু কির বিচারকে প্রহসনমূলক বলে দাবি করা হয়েছে। সু কির রাজনৈতির দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্যই মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের আধিকারিক ফিল রবার্টসন। মামলার রায়কে প্রহসন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও সু কিকে নতুন করে ফের ছয় বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন টুন। সু কির মামলা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার অন্তর্গত বলে আগে দাবি করেছিলেন ওই সরকারি মুখপাত্র। সেই সঙ্গে মামলায় বিদেশি শক্তি যেভাবে নাক গলাচ্ছে, তা মায়ানমারের বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ বলে ওই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সু কি (৭৭) মায়ানমারের ডাও খিন ফাউন্ডেশনের তহবিল অপব্যবহার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সংস্থাটি তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, সেই সংস্থার তহবিল তিনি বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও সরকারি মালিকানাধীন জমি লিজ দেওয়ার জন্যও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বর্তমানে জেলেই রয়েছেন মায়ানমারে নেত্রী। একাধিক দু্র্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মায়ানমারের রাজধানী নেপিতাও-এর একটি কারাগার এখন তাঁর বর্তমান ঠিকানা। ২০২১ সালে অং সান সু কি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ব্যাপক অস্থিরতার সৃষ্টি হয় মায়ানমারে। দেশের সাধারণ নির্বাচনে সু কির দল এনএলডি জয় পাওয়া সত্বেও, সেনা সেই সরকারকে উৎখাত করে। সেই সঙ্গে সু কির বিরুদ্ধে সেনা-সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলো জালিয়াতির অভিযোগ করে।
ইতিমধ্যে মায়ানমারে বর্তমান সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ক্ষমতা দখলের পর সামরিকবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের অভিযোগ। সেই সঙ্গে বিনা কারণে বহু মানুষকে কারাবন্দি করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মায়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছে তারা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বর্তমান মায়ানমারের সামরিক সরকারের উপর জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। সেইসঙ্গে সু কির বিচারকে প্রহসনমূলক বলে দাবি করা হয়েছে। সু কির রাজনৈতির দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্যই মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের আধিকারিক ফিল রবার্টসন। মামলার রায়কে প্রহসন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও সু কিকে নতুন করে ফের ছয় বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন টুন। সু কির মামলা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার অন্তর্গত বলে আগে দাবি করেছিলেন ওই সরকারি মুখপাত্র। সেই সঙ্গে মামলায় বিদেশি শক্তি যেভাবে নাক গলাচ্ছে, তা মায়ানমারের বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ বলে ওই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।