অ্যাপশহর

বিষ ইনজেকশনে জীবন শেষ বন্দির

১৯৯৩ সালে জ্যাকসনভিলে ডেবরা রিজ নামে এক তরুণীকে শ্বাসরোধ করে এবং ব্যাটের আঘাতে খুনের দায়ে সেই ১৯৯৫ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছিল লেডেল লি -র (৫১ )৷

EiSamay.Com 22 Apr 2017, 1:31 pm
এই সময় : সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল স্থানীয় আদালত৷ কিন্ত্ত আরকানসাস সুপ্রিম কোর্ট সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াতে আর রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর বিষ ইনজেকশনে শেষ করে ফেলা হল এক বন্দির জীবন৷ ২০০৫ -এর এক যুগ পর আরকানসাসে ফিরল বিচারবিভাগীয় হত্যার বিষাদ৷
EiSamay.Com arkansas puts ledell lee to death in its first execution since 2005
বিষ ইনজেকশনে জীবন শেষ বন্দির


১৯৯৩ সালে জ্যাকসনভিলে ডেবরা রিজ নামে এক তরুণীকে শ্বাসরোধ করে এবং ব্যাটের আঘাতে খুনের দায়ে সেই ১৯৯৫ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছিল লেডেল লি -র (৫১ )৷ টানা ২২ বছর ধরে মৃত্যুর দিন গুনতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে৷ যা ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অপরিসীম নির্যাতনের সামিল৷ এই ‘অপেক্ষা ’ মৃত্যুদণ্ডের চেয়েও অনেক বড় শাস্তি বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা৷ উপরন্ত্ত , লি বরাবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন৷ নির্দোষ প্রমাণে ডিএনএ পরীক্ষারও আর্জি জানিয়েছিলেন৷

আরকানসাস সরকার অবশ্য ১৭ থেকে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে যে ৮ বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল , তার মধ্যে লি -র নামও রাখা হয়৷ তাঁর পরিজন , আইনজীবী , অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা আদালতে লাগাতার চেষ্টা চালিয়েছেন , যাতে লি তো বটেই , ৮ বন্দিরই জীবন রক্ষা পায়৷ মার্কিন ফেডারেল কোর্ট ক’দিন আগেই ব্রুস ওয়ার্ড এবং জন ডেভিসের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷ বস্ত্তত , তাঁদের মৃত্যু পরোয়ানার মেয়াদ ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে৷ স্টেসি জনসন এবং জেসন ম্যকঘি -র মৃত্যুদণ্ডাদেশেও স্থগিতাদেশ বজায় রয়েছে৷ কিন্ত্ত লি এবং জ্যাক হ্যারল্ড জোনস , মার্সেল ডব্লু উইলিয়ামস ও কেনেথ উইলিয়ামসের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ আর বাড়াতে রাজি হয়নি আদালত৷ ইতিমধ্যেই নিহত লি , সোমবার অন্য দু’জনের জীবন -হননেরও নির্ঘণ্ট তৈরি হয়েছে৷ তবে লি -র মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ তোলা হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে , ন ’জন বিচারকের মধ্যে চার জনই ছিলেন স্থগিতের পক্ষেই৷

অ্যামনেস্টি এক বিবৃতিতে লি -র মৃত্যুদণ্ডের দিনটিকে আরকানসাস তথা বিশ্বমানবতার পক্ষে অত্যন্ত লজ্জার দিন বলে বর্ণনা করেছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে , ‘সরকার বিচার -প্রক্রিয়া নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে এমন তাড়াহুড়ো করছে যেন মানুষের জীবন কোনও মেয়াদ -নির্দিষ্ট পণ্য৷ ’ বস্ত্তত , বিষ ইনজেকশনের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে , তাই ১১ দিনে ৮ বন্দির জীবন -হননের এক নির্মম খেলায় মেতেছে আরকানসাস৷ বিশ্বজুড়েই যার বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠেছে৷ বন্দিদের জীবনরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সই-সংগ্রহ হয়েছে৷ মানবাধিকার কর্মীরা হাল ছাড়ছেন না , বাকিদের জীবনরক্ষায় লড়াই চালানোর প্রস্ত্ততি নিয়েছেন৷ আবারও ফেডারেল কোর্টে আপিল , আরকানসাসের গভর্নরের কাছে দাবিপত্র পেশের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

পরের খবর

Worldসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল