অ্যাপশহর

চাষে ক্ষতি, চড়া হচ্ছে সব্জির দাম

যতই ঘোরালো হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ৷

Ei Samay 28 Jul 2017, 10:23 am
এই সময়: যতই ঘোরালো হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ৷ দিন দুয়েক আগেও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছিলেন, এখনও কৃষি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি৷ কিন্ত্ত বীরভূম, হুগলি, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ইতিমধ্যেই জলের তলায়৷ যার জেরে ধান রোপণই যে ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, বিপুল পরিমাণ সব্জির মাঠও চলে গিয়েছে জলের তলায়৷ কলকাতার বাজারে ইতিমধ্যেই অনেকটাই বাড়তে শুরু করেছে বেগুন, বরবটি, টম্যাটো, পটল, ঝিঙে, শসা, কাঁচালঙ্কা, ক্যাপসিকাম-সহ অন্যান্য সব্জির দাম৷ প্রায় সব সব্জির দামই এক ধাক্কায় বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫-২০ টাকা৷
EiSamay.Com vegetable prices rise as the crops are affected by the flood in west bengal
চাষে ক্ষতি, চড়া হচ্ছে সব্জির দাম


রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা এবং কৃষি দন্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে ৫০ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমি৷ এখনও পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ একর ফসলের জমি জলমগ্ন হয়েছে৷ বাজারে তার আঁচ পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই৷ কলকাতায় এখন বেগুন ৪০-৫০ টাকা, টম্যাটো ১০০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পটল, ঝিঙে, শসা ৫০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৮০-১০০ টাকায় বিকোচ্ছে৷ অথচ মাসখানেক আগেও বেগুন, পটল, ঝিঙের দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি৷ বহু এলাকার সব্জি নষ্ট হওয়া ছাড়াও প্রবল বৃষ্টিতে আনাজ সরবরাহেও তৈরি হয়েছে বাধা৷

এই সময়টাই খরিফের ধান রোয়ার সময়৷ বন্যা পরিস্থিতিতে মার খাচ্ছে সে কাজও৷ বুধবার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জানান, বানভাসি ১২টি জেলায় বীজতলা বপন হয়েছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে৷ তার মধ্যে ২৫ ভাগ বীজতলাই জলের তলায়৷ আর রোপণ করা হয়েছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে৷ তার মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমি জলের তলায়৷ কৃষির ক্ষতির প্রতিনিয়ত হিসাব রাখা এবং প্রয়োজনীয় পরামার্শের জন্য খোলা হয়েছে পৃথক কন্ট্রোল রুমও৷

খরিফ মরসুমে ধান রোপণের উপযুক্ত সময় জুলাই পর্যন্ত৷ যদিও ১৫ অগস্ট পর্যন্ত ধান রোপণ করা হলে উত্পাদনে বিশেষ ফারাক হয় না বলেই মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা৷ সেই হিসাবে হাতে এখনও খানিকটা সময় রয়েছে ধানের চারা রোপণের৷ কিন্ত্ত, বর্ষার গোড়ার দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের অন্তত ছয় জেলায় কম বৃষ্টিপাতের কারণে বীজতলা তৈরি হলেও, মাঠে রোপণ করা যাচ্ছিল না ধানের চারা৷ আবার গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের ১২ জেলায় বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আপাতত ব্যাহত হচ্ছে সে কাজও৷ এই পরিস্থিতিতে জেলাগুলির ওপর নজর রাখা ছাড়াও, প্রয়োজনে বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি রাখছে রাজ্যের কৃষি দপ্তর৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল