সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়
সুন্দরবন পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমকে গোটানোর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে বেঁকে বসলেন খোদ সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা৷ নিগম বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন নবান্নে৷ মন্ত্রীর এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন সুন্দরবনের শাসকদলের সাংসদ ও বিধায়করা৷ তাঁদের মতে, অবস্থানগত কারণ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য এই অঞ্চলে বছরে ছ’মাসের বেশি কাজ করা যায় না৷ অক্টোবরের শেষ সন্তাহ থেকে কাজ শুরু করে এপ্রিল -মে -র মধ্যে শেষ করতে হয়৷ বাকি সময় দ্বীপের বিভিন্ন ভবিষ্যত্ প্রকল্পের নকশা তৈরি ও টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে নিগম৷
তাই সুন্দরবনের দ্রুত উন্নয়নের জন্য নিগমকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৯টি ব্লকের ১০২টি দ্বীপ নিয়ে সুন্দরবন৷ ৫৪টি দ্বীপে জনবসতি রয়েছে৷ জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ৷ বাকি সংরক্ষিত বনাঞ্চল৷ এই এলাকা জুড়ে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বিকাশের সম্ভবনা রয়েছে৷ যে কাজে সুন্দরবন উন্নয়ন নিগমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী নিগমের বিলোপ চান না৷ চলতি বছরের গোড়াতেই প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা বিভিন্ন সরকারি দন্তরের অধীনে থাকা রুগ্ণ , অপ্রয়োজনীয় নিগমগুলিকে গুটিয়ে নেওয়া বা একাধিক নিগমকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পরিষ্কার জানিয়েছিলেন , সংস্কারের নামে কোনও নিগমের কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবে না৷ তালিকায় ছিল সুন্দরবন পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমও৷ সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে নিগমকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এর জন্য অর্থ দন্তরের উদ্যোগে সচিব পর্যায়ের প্রস্ত্ততি বৈঠকও হয়৷
এতে কর্তারা চটে যেতে পারেন , এই ভয়ে প্রশাসনিক প্রস্ত্ততি বৈঠকে সুন্দরবন উন্নয়ন দন্তরের তত্কালীন সচিব এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ তিনি দন্তরের মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানাননি বলে অভিযোগ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দন্তরেরই একাংশ সিদ্ধান্ত পুর্নর্বিবেচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল , যে যুক্তিতে বিভিন্ন নিগম গুটিয়ে ফেলা বা একত্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , তা এই সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ ব্যাখ্যা , সুন্দরবন পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম কোম্পানি আইন অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের ২৪ জানুয়ারি তৈরি হয়৷ সুন্দরবন ছাড়াও অন্যত্র নিগম এক সময় কাজ করত৷ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর , বীরভূমে বেশ কয়েকটি আইটিআই তৈরির বরাত পায় নিগম৷ যদিও গত বছর অর্থ দন্তর এক নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেয় , নিগম সুন্দরবনের ১৯টি ব্লকের বাইরে কোনও কাজ করতে পারবে না৷ সুন্দরবন উন্নয়ন দন্তর ডিরেক্টরেটের অংশ হিসেবেই নিগম কাজ করে৷ নিগমের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই৷ সরাসরি ট্রেজারি থেকে খরচ হয়৷ তাই এই দুই সংস্থাকে একত্র করা যাবে না৷
দ্বিতীয়ত , নিগম একটি লাভজনক সংস্থা৷ গত বছর এই সংস্থা ২ কোটি ৮১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা লাভ করেছে৷ ২০১১ -১২ থেকে এ পর্যন্ত কোনও লোকসান করেনি৷ তাই নিগমকে রুগ্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না৷ এ ছাড়া নিগমের অধিকাংশ পদ শূন্য৷ তাই কোনও দায়বদ্ধতা নেই৷ শুধু রয়েছেন চুক্তিতে নিযুক্ত ১৩ জন কর্মী৷ এঁদের মধ্যে চার জন ডেটা এন্ট্রি অফিসার , দু’জন ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাকাউন্টসের কয়েকজন কর্মী৷ উচ্চ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা রয়েছেন , তাঁরা একই সঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাচ্ছেন৷ মন্টুরাম পাখিরা বলেন , ‘আইনমাফিক নিগমকে গোটানোর কাজ শুরু হলেও তা আটকানোর চেষ্টা চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিগম বন্ধ হলে একজন কর্মীরও চাকরি যাবে না৷ তবে এই নিগম গুটিয়ে ফেললে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করা অন্তত আটজন কর্মীর চাকরি যাবে৷ তাঁরা যে পদে কাজ করেন , সেই পদে পর্ষদে বা দন্তরে নিয়োগের সুযোগ নেই৷ ’
দপ্তরে বর্তমান প্রধান সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনও আলাদা করে নিগমকে বাঁচাতে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিবকেও৷
সুন্দরবন পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমকে গোটানোর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে বেঁকে বসলেন খোদ সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা৷ নিগম বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন নবান্নে৷ মন্ত্রীর এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন সুন্দরবনের শাসকদলের সাংসদ ও বিধায়করা৷ তাঁদের মতে, অবস্থানগত কারণ ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য এই অঞ্চলে বছরে ছ’মাসের বেশি কাজ করা যায় না৷ অক্টোবরের শেষ সন্তাহ থেকে কাজ শুরু করে এপ্রিল -মে -র মধ্যে শেষ করতে হয়৷ বাকি সময় দ্বীপের বিভিন্ন ভবিষ্যত্ প্রকল্পের নকশা তৈরি ও টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে নিগম৷
তাই সুন্দরবনের দ্রুত উন্নয়নের জন্য নিগমকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৯টি ব্লকের ১০২টি দ্বীপ নিয়ে সুন্দরবন৷ ৫৪টি দ্বীপে জনবসতি রয়েছে৷ জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ৷ বাকি সংরক্ষিত বনাঞ্চল৷ এই এলাকা জুড়ে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বিকাশের সম্ভবনা রয়েছে৷ যে কাজে সুন্দরবন উন্নয়ন নিগমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী নিগমের বিলোপ চান না৷ চলতি বছরের গোড়াতেই প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা বিভিন্ন সরকারি দন্তরের অধীনে থাকা রুগ্ণ , অপ্রয়োজনীয় নিগমগুলিকে গুটিয়ে নেওয়া বা একাধিক নিগমকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পরিষ্কার জানিয়েছিলেন , সংস্কারের নামে কোনও নিগমের কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবে না৷ তালিকায় ছিল সুন্দরবন পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমও৷ সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে নিগমকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এর জন্য অর্থ দন্তরের উদ্যোগে সচিব পর্যায়ের প্রস্ত্ততি বৈঠকও হয়৷
এতে কর্তারা চটে যেতে পারেন , এই ভয়ে প্রশাসনিক প্রস্ত্ততি বৈঠকে সুন্দরবন উন্নয়ন দন্তরের তত্কালীন সচিব এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ তিনি দন্তরের মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানাননি বলে অভিযোগ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দন্তরেরই একাংশ সিদ্ধান্ত পুর্নর্বিবেচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল , যে যুক্তিতে বিভিন্ন নিগম গুটিয়ে ফেলা বা একত্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , তা এই সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ ব্যাখ্যা , সুন্দরবন পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম কোম্পানি আইন অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের ২৪ জানুয়ারি তৈরি হয়৷ সুন্দরবন ছাড়াও অন্যত্র নিগম এক সময় কাজ করত৷ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর , বীরভূমে বেশ কয়েকটি আইটিআই তৈরির বরাত পায় নিগম৷ যদিও গত বছর অর্থ দন্তর এক নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেয় , নিগম সুন্দরবনের ১৯টি ব্লকের বাইরে কোনও কাজ করতে পারবে না৷ সুন্দরবন উন্নয়ন দন্তর ডিরেক্টরেটের অংশ হিসেবেই নিগম কাজ করে৷ নিগমের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই৷ সরাসরি ট্রেজারি থেকে খরচ হয়৷ তাই এই দুই সংস্থাকে একত্র করা যাবে না৷
দ্বিতীয়ত , নিগম একটি লাভজনক সংস্থা৷ গত বছর এই সংস্থা ২ কোটি ৮১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা লাভ করেছে৷ ২০১১ -১২ থেকে এ পর্যন্ত কোনও লোকসান করেনি৷ তাই নিগমকে রুগ্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না৷ এ ছাড়া নিগমের অধিকাংশ পদ শূন্য৷ তাই কোনও দায়বদ্ধতা নেই৷ শুধু রয়েছেন চুক্তিতে নিযুক্ত ১৩ জন কর্মী৷ এঁদের মধ্যে চার জন ডেটা এন্ট্রি অফিসার , দু’জন ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাকাউন্টসের কয়েকজন কর্মী৷ উচ্চ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা রয়েছেন , তাঁরা একই সঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাচ্ছেন৷ মন্টুরাম পাখিরা বলেন , ‘আইনমাফিক নিগমকে গোটানোর কাজ শুরু হলেও তা আটকানোর চেষ্টা চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিগম বন্ধ হলে একজন কর্মীরও চাকরি যাবে না৷ তবে এই নিগম গুটিয়ে ফেললে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করা অন্তত আটজন কর্মীর চাকরি যাবে৷ তাঁরা যে পদে কাজ করেন , সেই পদে পর্ষদে বা দন্তরে নিয়োগের সুযোগ নেই৷ ’
দপ্তরে বর্তমান প্রধান সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনও আলাদা করে নিগমকে বাঁচাতে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিবকেও৷