অমিত কাজের ভারে নাকাল বঙ্গ বিজেপিই
লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি৷
EiSamay.Com 29 Apr 2017, 10:29 am
মণিপুষ্পক সেনগুপ্ত
লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি৷ কিন্তু তিনি কলকাতা ছাড়ার পরের দিনই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন, দিল্লির কর্তা যা ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়ে গিয়েছেন তা কার্যত এভারেস্ট ছোঁয়ার সামিল! তিন দিনের বাংলা সফর সেরে বৃহস্পতিবার বিকালে কলকাতা ছাড়ার আগে অমিত শাহ বাংলার নেতাদের বলে গিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ৭৭ হাজার বুথেই যেতে হবে দলীয় পদাধিকারীদের৷ যেভাবে তিনি গিয়েছেন কয়েকটি বুথে৷ দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে তিনি হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে বুথে বুথে জনসংযোগ করতে হয়৷ কিন্ত্ত জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া ‘হাই-প্রোফাইল’ অমিত যতটা সহজে মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সাধারণ বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে ফল-মিষ্টি খেয়ে এসেছেন, জেলাস্তরের কোনও বিজেপি নেতার পক্ষে সেই কাজ মোটেই ততটা সহজ হবে না৷ কেননা, সেক্ষেত্রে প্রতিপদে বিজেপি নেতাদের পড়তে হবে শাসকদলের প্রতিরোধের মুখে৷ বিজেপির অন্দরমহলের পরিসংখ্যান বলছে , বাংলার ৭৭ হাজার বুথের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার বুথে এখনও বুথ কমিটিই নেই বিজেপির৷ অনেক বুথে আবার নাম-কা-ওয়াস্তে কমিটি থাকলেও সদস্যরা এখনও বিজেপিতে সক্রিয় কি না, তার কোনও হদিস নেই জেলা পার্টির কাছে৷
রাজ্য বিজেপি নেতারা তথ্য-পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখেছেন গোটা বাংলায় অন্তত হাজের দুয়েক বুথ রয়েছে, যেখানে গত বিধানসভায় একটিও ভোট পড়েনি বিজেপির ঝুলিতে৷ হাজার পাঁচেক বুথ রয়েছে, যেখানে পাঁচটির বেশি ভোট পাননি বিজেপি প্রার্থীরা৷ এমনকী, কয়েকশো এমন বুথের খবরও আছে, যেখানে পদ্ম পতাকাই ওড়েনি কোনওদিন৷ অমিত শাহের নির্দেশ মানতে গেলে সেইসব বুথেই ছুটতে হবে বিজেপি নেতাদের৷ এবং এই সব বুথের সিংহভাগই যে তৃণমূলের গড় তা-ও জানা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের৷ রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায় , ‘দলের জেলার কোনও নেতা তৃণমূল অধ্যুষিত বুথের কোনও বাড়িতে গিয়ে চা খেলে পরের দিন তাঁর বাড়িতে অনিবার্য ভাবে তৃণমূল হামলা চালাবে অথবা সামাজিক ভাবে বয়কট করবে৷ অমিত শাহ অবশ্য সব বুথেই যাওয়ার কথা বলেছেন৷ কিন্ত্ত আমরা প্রাথমিক ভাবে হাজার চল্লিশ বুথ টার্গেট করেছি৷ ’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিন্হা আবার তৃণমূলের আক্রমণের মধ্যেই বিজেপির বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন৷ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল প্রভাবিত কোনও বুথে গেলে তৃণমূল যদি আমাদের দলের নিচুস্তরেরনেতাদের উপর হামলা চালায় , সেটা মোকাবিলা করতে হবে৷ ঘরে বসে রাজনীতি হয় না৷ ’ রাজ্য বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘মণ্ডলের নেতারা বুথে বুথে যাবেন৷ একজন বিজেপি সমর্থক পেলেও তার বাড়ি যাব৷ কিছু বুথ বাদ যেতে পারে , কিন্ত্ত যত বেশি সম্ভব বুথে আমরা যাব৷ ’অমিত শাহের তৈরি করে দেওয়া রোডম্যাপ অনুযায়ী , ২০১৪ লোকসভা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে ২০১৬ বিধানসভা ভোটের তুলনা করতে হবে বুথ ধরে ধরে৷ এখন দেখার , শেষ পর্যন্ত বাংলার কতগুলি বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসতে পারেন বঙ্গ বিজেপির নেতা -নেত্রীরা৷
লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি৷ কিন্তু তিনি কলকাতা ছাড়ার পরের দিনই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন, দিল্লির কর্তা যা ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়ে গিয়েছেন তা কার্যত এভারেস্ট ছোঁয়ার সামিল! তিন দিনের বাংলা সফর সেরে বৃহস্পতিবার বিকালে কলকাতা ছাড়ার আগে অমিত শাহ বাংলার নেতাদের বলে গিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ৭৭ হাজার বুথেই যেতে হবে দলীয় পদাধিকারীদের৷ যেভাবে তিনি গিয়েছেন কয়েকটি বুথে৷ দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে তিনি হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে বুথে বুথে জনসংযোগ করতে হয়৷ কিন্ত্ত জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া ‘হাই-প্রোফাইল’ অমিত যতটা সহজে মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সাধারণ বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে ফল-মিষ্টি খেয়ে এসেছেন, জেলাস্তরের কোনও বিজেপি নেতার পক্ষে সেই কাজ মোটেই ততটা সহজ হবে না৷ কেননা, সেক্ষেত্রে প্রতিপদে বিজেপি নেতাদের পড়তে হবে শাসকদলের প্রতিরোধের মুখে৷ বিজেপির অন্দরমহলের পরিসংখ্যান বলছে , বাংলার ৭৭ হাজার বুথের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার বুথে এখনও বুথ কমিটিই নেই বিজেপির৷ অনেক বুথে আবার নাম-কা-ওয়াস্তে কমিটি থাকলেও সদস্যরা এখনও বিজেপিতে সক্রিয় কি না, তার কোনও হদিস নেই জেলা পার্টির কাছে৷
রাজ্য বিজেপি নেতারা তথ্য-পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখেছেন গোটা বাংলায় অন্তত হাজের দুয়েক বুথ রয়েছে, যেখানে গত বিধানসভায় একটিও ভোট পড়েনি বিজেপির ঝুলিতে৷ হাজার পাঁচেক বুথ রয়েছে, যেখানে পাঁচটির বেশি ভোট পাননি বিজেপি প্রার্থীরা৷ এমনকী, কয়েকশো এমন বুথের খবরও আছে, যেখানে পদ্ম পতাকাই ওড়েনি কোনওদিন৷ অমিত শাহের নির্দেশ মানতে গেলে সেইসব বুথেই ছুটতে হবে বিজেপি নেতাদের৷ এবং এই সব বুথের সিংহভাগই যে তৃণমূলের গড় তা-ও জানা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের৷ রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায় , ‘দলের জেলার কোনও নেতা তৃণমূল অধ্যুষিত বুথের কোনও বাড়িতে গিয়ে চা খেলে পরের দিন তাঁর বাড়িতে অনিবার্য ভাবে তৃণমূল হামলা চালাবে অথবা সামাজিক ভাবে বয়কট করবে৷ অমিত শাহ অবশ্য সব বুথেই যাওয়ার কথা বলেছেন৷ কিন্ত্ত আমরা প্রাথমিক ভাবে হাজার চল্লিশ বুথ টার্গেট করেছি৷ ’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিন্হা আবার তৃণমূলের আক্রমণের মধ্যেই বিজেপির বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন৷ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল প্রভাবিত কোনও বুথে গেলে তৃণমূল যদি আমাদের দলের নিচুস্তরেরনেতাদের উপর হামলা চালায় , সেটা মোকাবিলা করতে হবে৷ ঘরে বসে রাজনীতি হয় না৷ ’ রাজ্য বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘মণ্ডলের নেতারা বুথে বুথে যাবেন৷ একজন বিজেপি সমর্থক পেলেও তার বাড়ি যাব৷ কিছু বুথ বাদ যেতে পারে , কিন্ত্ত যত বেশি সম্ভব বুথে আমরা যাব৷ ’অমিত শাহের তৈরি করে দেওয়া রোডম্যাপ অনুযায়ী , ২০১৪ লোকসভা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে ২০১৬ বিধানসভা ভোটের তুলনা করতে হবে বুথ ধরে ধরে৷ এখন দেখার , শেষ পর্যন্ত বাংলার কতগুলি বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসতে পারেন বঙ্গ বিজেপির নেতা -নেত্রীরা৷