অ্যাপশহর

১০ জানুয়ারি সারা রাজ্যে খেল উত্‍সব

খেল দিবসে রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় খেলার আয়োজন করবে পুলিশ৷

EiSamay.Com 22 Dec 2016, 2:02 pm
খেল দিবসে রাজ্যের পাড়ায় পাড়ায় খেলার আয়োজন করবে পুলিশ৷ রাজ্যের প্রায় পাঁচশো থানার পুলিশের উদ্দেশে এমনই নির্দেশ ডিজি সুরজিত্ কর পুরকায়স্থ৷ এ জন্য থানাপিছু এক লক্ষ টাকা করে বরাদ্দও করেছে রাজ্য সরকার৷ থানাগুলির দায়িত্ব হবে , পাড়ার সব ক্লাব , স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে ১০ জানুয়ারি খেল দিবসের দিন বিভিন্নরকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা৷ তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব ক্লাবকে সামিল করতে হবে৷ সেজন্য এখন থেকেই থানাগুলিকে প্রস্ত্ততি নেওয়ার নির্দেশ গিয়েছে নবান্ন থেকে৷
EiSamay.Com sports festival in all over state
১০ জানুয়ারি সারা রাজ্যে খেল উত্‍সব


১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে তিন দিনের বিবেক চেতনা দিবস গত কয়েক বছর ধরেই পালন করে আসছে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর ঘোষণা করেন , বিবেকানন্দের জন্মদিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে ১০ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে হবে খেল দিবস৷ সেই খেল দিবসের আয়োজনেরই ভার পড়েছে পুলিশের উপর৷ নবান্ন সূত্রের খবর , এজন্য সব মিলিয়ে ৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র দন্তর মারফত ওই বরাদ্দ থানাগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ শীর্ষ পুলিশকর্তাদের বৈঠকে ডিজি বলেছেন , মুখ্যমন্ত্রী চান এই প্রকল্প সফলভাবে রূপায়ণ করা হোক৷ তাই থানাগুলি যাতে সঠিকভাবে এই প্রকল্প রূপায়ণ করে , জেলার পুলিশ আধিকারিকদের তা দেখতেও বলা হয়েছে৷

তৃণমূল জমানায় ক্লাবগুলিকে দান -খয়রাতি নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা৷ নবান্ন সূত্রের খবর , গত বছর রাজ্যের প্রায় সাত হাজার ক্লাবে ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়তে ১০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ তারমধ্যে সাড়ে তিন হাজার পুরোনো ক্লাবকে এক লক্ষ এবং সাড়ে তিন হাজার নতুন ক্লাবকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল৷ এ বার অবশ্য খেল দিবসের আয়োজনের জন্য ক্লাবগুলির হাতে টাকা দেওয়া হচ্ছে না৷ সে দায়িত্ব পালন করতে হবে পুলিশকে৷ স্বরাষ্ট্র দন্তরের এক কর্তা জানান , গত বছর বিক্ষিন্তভাবে বিভিন্ন জেলায় কিছু থানা খেলার আয়োজন করেছিল৷ এ বার ঠিক হয়েছে , সবরকম প্রস্ত্ততি নিয়ে ১০ জানুয়ারিই একসঙ্গে সব থানা এলাকায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে৷ এমনিতেই ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের উত্সবের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে ব্যস্ত থাকতে হবে৷ পাশাপাশি রুটিন আইন -শৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতি ও অপরাধের তদন্তও রয়েছে৷

এর সঙ্গে ক্লাব -স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সবাইকে জড়ো করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় থানার আধিকারিকরা৷ জেলা পুলিশের একটি থানার এক অফিসারের ব্যাখ্যা , ‘এর উপর দুশ্চিন্তার আরও কারণ আছে৷ কোনও ক্লাব বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাদ পড়ে গেলে রক্ষে নেই ! সঙ্গে সঙ্গে কোপ পড়বে সেই থানার পুলিশের উপরই৷ ’রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান , ক্লাবগুলিকে শাসক দলের আরও কাছে টানার পাশাপাশি পুলিশের জনসংযোগ বাড়ানোও এই প্রকল্পের লক্ষ৷ তবে শুধু মমতা নন , প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানাতেই এমন ভাবনার সূত্রপাত৷ কলকাতা পুলিশ বেশ কয়েক বছর ধরে পাড়া ফুটবল বা গোলজ -এর মতো প্রকল্প চালাচ্ছে৷ রাজ্য পুলিশেও বিক্ষিন্তভাবে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়৷ সেটাকেই আরও বড় আকারে সংগঠিতভাবে করতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেজন্যই পুলিশের জন্য আলাদা করে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে৷ খেলতে -খেলাতে এখন ঘুম ছুটছে পুলিশের৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল