এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : বিমল গুরুঙের নামে তোলাবাজি! গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙের নাম করে একটি কলেজ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধৃতদের নাম দীপেশ ত্রিক্ষত্রী ও তারা পারিয়ার। দু'জনেই কালিম্পঙের বাসিন্দা। বিমল গুরুঙের আপ্ত সহায়ক পরিচয় দিয়ে দাগাপুরের একটি বেসরকারি কলেজ থেকে ধৃতরা লক্ষাধিক টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপেশ ত্রিক্ষত্রী কিছুদিন আগে দাগাপুরের একটি বেসরকারি কলেজে ফোন করে। নিজেকে বিমল গুরুঙের আপ্ত সহায়ক পরিচয় দিয়ে জানায়, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পার্টি ফান্ডে এক লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা জমা করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেয় দীপেশ। কলেজ কর্তৃপক্ষও দীপেশের কথায় বিশ্বাস করে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকা জমা করে। এর কিছুদিন পর দীপেশ ফের ওই কলেজে ফোন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার কথা জানায়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে পরপর দুবার পাটি ফান্ডে টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ আসায় সন্দেহ হয় কলেজ আধিকারিকদের। গত ১২ জুলাই কলেজ কর্তৃপক্ষ শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় ঘটনাটি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
দীপেশের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তখনই পুলিশ জানতে পারে, বিমল গুরুঙের নাম করে তোলাবাজি করেছে দীপেশ। যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে বলেছিল, সেটি দীপেশের সঙ্গী তারা পারিয়ারের। তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করত দীপেশ। তোলাবাজির টাকার ভাগ পেত তারা। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে কালিম্পং থেকে দীপেশ ও তারাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেও তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপেশ ত্রিক্ষত্রীকে। সেই সময় মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙের নাম করে বহু জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিল দীপেশ। গ্রেফতারও হয়েছিল। কিছুদিন আগে সে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পায়। কিন্তু তার স্বভাব বদলায়নি। ফের একই কাজে নেমে পড়ে।
দীপেশের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তখনই পুলিশ জানতে পারে, বিমল গুরুঙের নাম করে তোলাবাজি করেছে দীপেশ। যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে বলেছিল, সেটি দীপেশের সঙ্গী তারা পারিয়ারের। তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করত দীপেশ। তোলাবাজির টাকার ভাগ পেত তারা। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে কালিম্পং থেকে দীপেশ ও তারাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেও তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপেশ ত্রিক্ষত্রীকে। সেই সময় মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙের নাম করে বহু জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিল দীপেশ। গ্রেফতারও হয়েছিল। কিছুদিন আগে সে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পায়। কিন্তু তার স্বভাব বদলায়নি। ফের একই কাজে নেমে পড়ে।