Siliguri : পাহাড়ে গাড়ি চালকদের জুলুম, হয়রানির মুখে অনেক পর্যটকই
NJP থেকে পাহাড়ে যেতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। আর সমস্যার মূলে হল গাড়ি ভাড়া। করোনা আবহে দু বছর পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার পর এখন লাগামছাড়া ভাড়া চাইছে গাড়ি চালকরা। দরাদরি করলে স্পষ্টভাবে না করে দিচ্ছে। অন্যদিকে আগে থেকে গাড়ি বুক করে রাখলেও সে গাড়ির পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এর জেড়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে রীতিমতো বিপাকে পড়ছেন পর্যটকরা।
Ei Samay 25 May 2022, 3:54 pm
হাইলাইটস
- এনজেপি থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া আচমকা বেড়ে গিয়েছে অনেকটা।
- অভিযোগ, দাবিমতো টাকা না পেলে চালকরা সটান না করে দিচ্ছেন।
- আবার আগেভাগে গাড়ি বুক করে এলেও, তা স্টেশনে আসছে না।
এই সময় : গরমে শান্তি পেতে উত্তরে পা বাড়িয়ে গাড়ি নিয়ে নতুন 'অশান্তি'র মুখে পর্যটকরা। সমস্যার শুরু হচ্ছে একেবারে নিউ জলপাইগুড়িতেই। এনজেপি থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া আচমকা বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। কোনও দরাদরিতেই কাজ হচ্ছে না। অভিযোগ, দাবিমতো টাকা না পেলে চালকরা সটান না করে দিচ্ছেন। এতে প্রবল বিপাকে পড়ছেন পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন যাঁরা। আবার আগেভাগে গাড়ি বুক করে এলেও, তা স্টেশনে আসছে না। ফলে, অত্যন্ত চড়া টাকা দিয়ে পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে।
শেয়ারে শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ভাড়া এখন আড়াইশো টাকা ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ গাড়ির ভাড়া ছয় থেকে আট হাজার টাকা! সিকিমে যেতে গাড়ি রিজার্ভ করতে সাত থেকে ন'হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এই বাড়তি ভাড়ার কোনও যুক্তি দেখানো হচ্ছে না। পর্যটকদের অভিযোগ, এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সিকিমে।
মঙ্গলবারই এমন হেনস্থার শিকার হল টালিগঞ্জ থেকে সিকিমে (Sikkim) বেড়াতে যাওয়া দু'টি পরিবার। কলকাতার একটি পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা গাড়ি থেকে হোটেল, সমস্ত বুকিং করেছেন। দার্জিলিং মেলে এনজেপি নামার পরে দেখতে পান, নির্ধারিত গাড়ি পৌঁছয়নি। পর্যটন সংস্থাটিও অসহায়। শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী সংস্থা ও পুলিশের সহায়তায় ট্রেন থেকে নামার অন্তত তিন ঘণ্টা পরে একটি গাড়ি পেয়ে সিকিমে পৌঁছন। গাড়ির ভাড়া অবশ্য ওই পর্যটন সংস্থা দিয়েছে।
নাকাল পর্যটক দলের সদস্য দেবশ্রী দাস বলেন, ''আগাম বুক করে আসার পরেও কেন হেনস্থার মুখে পড়তে হবে? দু'রাত্রি, তিন দিনের জন্য হোটেল ও গাড়ি ভাড়া বাবদ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেন এমন হলো?'' পর্যটকদের হেনস্থায় বিব্রত কলকাতার পর্যটন সংস্থার কর্ণধার শ্যামল চট্টোপাধ্যায়ও-''দু'মাস আগে আমি পর্যটন দলটির জন্য হোটেল এবং গাড়ি ঠিক করি। গাড়ি ভাড়া ঠিক হয়েছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। এখন সাড়ে সাত হাজার টাকা চাইছে। শিলিগুড়ির পর্যটন সংস্থার কর্তাদের সাহায্য নিয়ে আমায় অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হলো। এ ভাবে কি ব্যবসা করা যায়?''
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট (Himalayan Hospitality & Tourism Development Network) নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ''গত দু'বছর করোনার জেরে পর্যটন ব্যবসা লাটে উঠেছিল। এ বার সবে পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়েছে। তখনই কিছু অসাধু গাড়ি চালক যা খুশি ভাড়া চাইছেন। চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।'' নেটওয়ার্কের অভিমত, ভাড়া নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের নীরবতাই এ জন্য দায়ী। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের (Department of Tourism, Government of West Bengal) উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ বলেন, ''গাড়ি ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি চালকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। চালকদের বক্তব্য দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।''
শেয়ারে শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ভাড়া এখন আড়াইশো টাকা ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ গাড়ির ভাড়া ছয় থেকে আট হাজার টাকা! সিকিমে যেতে গাড়ি রিজার্ভ করতে সাত থেকে ন'হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এই বাড়তি ভাড়ার কোনও যুক্তি দেখানো হচ্ছে না। পর্যটকদের অভিযোগ, এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সিকিমে।
মঙ্গলবারই এমন হেনস্থার শিকার হল টালিগঞ্জ থেকে সিকিমে (Sikkim) বেড়াতে যাওয়া দু'টি পরিবার। কলকাতার একটি পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা গাড়ি থেকে হোটেল, সমস্ত বুকিং করেছেন। দার্জিলিং মেলে এনজেপি নামার পরে দেখতে পান, নির্ধারিত গাড়ি পৌঁছয়নি। পর্যটন সংস্থাটিও অসহায়। শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী সংস্থা ও পুলিশের সহায়তায় ট্রেন থেকে নামার অন্তত তিন ঘণ্টা পরে একটি গাড়ি পেয়ে সিকিমে পৌঁছন। গাড়ির ভাড়া অবশ্য ওই পর্যটন সংস্থা দিয়েছে।
নাকাল পর্যটক দলের সদস্য দেবশ্রী দাস বলেন, ''আগাম বুক করে আসার পরেও কেন হেনস্থার মুখে পড়তে হবে? দু'রাত্রি, তিন দিনের জন্য হোটেল ও গাড়ি ভাড়া বাবদ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেন এমন হলো?'' পর্যটকদের হেনস্থায় বিব্রত কলকাতার পর্যটন সংস্থার কর্ণধার শ্যামল চট্টোপাধ্যায়ও-''দু'মাস আগে আমি পর্যটন দলটির জন্য হোটেল এবং গাড়ি ঠিক করি। গাড়ি ভাড়া ঠিক হয়েছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। এখন সাড়ে সাত হাজার টাকা চাইছে। শিলিগুড়ির পর্যটন সংস্থার কর্তাদের সাহায্য নিয়ে আমায় অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হলো। এ ভাবে কি ব্যবসা করা যায়?''
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট (Himalayan Hospitality & Tourism Development Network) নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ''গত দু'বছর করোনার জেরে পর্যটন ব্যবসা লাটে উঠেছিল। এ বার সবে পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়েছে। তখনই কিছু অসাধু গাড়ি চালক যা খুশি ভাড়া চাইছেন। চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।'' নেটওয়ার্কের অভিমত, ভাড়া নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের নীরবতাই এ জন্য দায়ী। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের (Department of Tourism, Government of West Bengal) উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ বলেন, ''গাড়ি ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি চালকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। চালকদের বক্তব্য দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।''