অ্যাপশহর

'মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনবেন না? ' স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরানোয় তীব্র ধমক নার্সিংহোমকে

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নেওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কড়া ভাষায় ধমক দিলেন শিলিগুড়িতে(Siliguri) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার(Ranjan Sarkar)।

Lipi 28 May 2021, 12:38 am

হাইলাইটস

  • স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে হবে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিচ্ছিল না শিলিগুড়ির এক হাসপাতাল।
  • খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলেন শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার।
EiSamay.Com siliguri news
ফাইল ফটো
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে হবে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিচ্ছিল না শিলিগুড়ির এক হাসপাতাল। খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলেন শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার।
করোনার সময়ে শিলিগুড়ির বেশকিছু নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে কিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে চাইছে না, উঠছিল এমনই অভিযোগ। কার্ডের কথা শুনলেই বেড নেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দাবি রোগীর পরিবারের। অধিকাংশ নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়া হলেও সেই সংক্রান্ত কোনও বোর্ড সেখানে লাগানো থাকে না। এর পেছনে উদ্দেশ্য থাকে, যাতে রোগীরা ভাবেন সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়া হয় না। আর এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠা শুরু হতেই বিভিন্ন নার্সিংহোমে যাওয়া শুরু করেছেন পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা।

কোভিড রিপোর্ট না থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি নিতে হবে রোগীকে, নির্দেশিকা কেন্দ্রের
বুধবার শিলিগুড়ির প্রধাননগরে একটি নার্সিংহোমে হাজির হন রঞ্জন সরকার। তার কাছে অভিযোগ এসেছিল সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়া হচ্ছে না। সেখানে যেতেই ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মীদের পেতেই জিজ্ঞেস করেন স্বাস্থ্য সাথীর বিষয়টি। তিনি জানতে পারেন, এই নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবার দেওয়া হয় না রোগীদের। এরপরই কর্তৃপক্ষকে ডেকে কড়া বার্তা নিয়ে রঞ্জন সরকার বলেন, 'স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কেন নিচ্ছেন না? স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে রোগীদের ফেরানো যাবে না। আর কতদিন এমন হবে? মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনবেন না? আমরা বারবার অনুরোধ করছি। কেন এতো অবহেলা হচ্ছে? ' এদিকে কার্যত ধমক খেয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করে, কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়া হবে। বোর্ডও লাগানো হবে।

করোনায় হারিয়েছেন ছেলেকে, বিনামূল্যে অক্সিজেন-অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা প্রদান বাবার
এদিন নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে রঞ্জন সরকার বলেন, 'কোথাও কোনও অবহেলা মানা হবে না। যেখানে অভিযোগ উঠছে সেখানে প্রশাসক মণ্ডলীর তরফে যাওয়া হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য রোগীদের যাতে বেশি ভাড়া গুনতে না হয়, সেদিকেও দেওয়া হবে বিশেষ নজর।

পরের খবর