West Bengal Local News: দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র জলপাইগুড়ির অম্বিকানগর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। উত্তেজিত জনতার আক্রমণে এক পুলিশকর্মা মাথা ফেটেছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সাত সকালে শিলিগুড়ির এনজেপি থানা (New Jalpaiguri Police Station Area) এলাকার অম্বিকানগর বাজার থেকে কিছুটা দূরে একটি বাইকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া ট্রাক। ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই বাইক চালকের। বাইকে থাকা আরও দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। এরপরই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে হয়ে হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে ট্রাক৷ এমনকী ঘাতক ট্রাকটিতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এনজেপি থানার পুলিশ। সেই সময় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। মাথা ফেটে যায় এক এএসআইয়ের৷ আরও এক সাব ইন্সপেক্টর জখম হন।
পরিস্থি্তি রণক্ষেত্রে হয়ে উঠতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠি চার্জ করে এনজেপি থানার পুলিশ। পরে দমকল গিয়ে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রাক ও বাইকটিকে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত দুই যুবককে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। আপাতত এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও থমথমে হয়ে রয়েছে৷ সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ অন্যদিকে জখম এএসআইকে এনজেপি রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সেখানে তার মাথায় ব্যাণ্ডেজ করে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷ পুলিশর উপর হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করতে পারে পুলিশ। এদিন ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের (Siliguri Police Commissionerate) ডিসিপি সদর জয় টুডু৷
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায় বলেন, 'সম্প্রতি এলাকায় ট্রাকের দৌরাত্ম্য খুব বেড়েছে৷ সিমেন্ট ও বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মালবাহী ট্রাকগুলি দ্রুতগতিতে যায়৷ মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে৷ এর আগেও দুর্ঘটনায় অনেকে জখম হয়েছে৷ অথচ ট্রাফিক পুলিশকে কোনোদিন এলাকায় দেখা যায়নি৷ পুলিশ পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না করলে দুর্ঘটনা ঘটত না। পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত'
পরিস্থি্তি রণক্ষেত্রে হয়ে উঠতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠি চার্জ করে এনজেপি থানার পুলিশ। পরে দমকল গিয়ে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রাক ও বাইকটিকে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত দুই যুবককে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। আপাতত এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও থমথমে হয়ে রয়েছে৷ সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ অন্যদিকে জখম এএসআইকে এনজেপি রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সেখানে তার মাথায় ব্যাণ্ডেজ করে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷ পুলিশর উপর হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করতে পারে পুলিশ। এদিন ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের (Siliguri Police Commissionerate) ডিসিপি সদর জয় টুডু৷
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায় বলেন, 'সম্প্রতি এলাকায় ট্রাকের দৌরাত্ম্য খুব বেড়েছে৷ সিমেন্ট ও বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মালবাহী ট্রাকগুলি দ্রুতগতিতে যায়৷ মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে৷ এর আগেও দুর্ঘটনায় অনেকে জখম হয়েছে৷ অথচ ট্রাফিক পুলিশকে কোনোদিন এলাকায় দেখা যায়নি৷ পুলিশ পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না করলে দুর্ঘটনা ঘটত না। পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত'