এই সময়: অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের নামে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল ঘেঁষা হোটেল-রিসর্টের অস্তিত্বের উপরেই এ বার প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল। সরকারি-বেসরকারি যে সব হোটেল-রিসর্ট-রেস্তরাঁ রয়েছে জঙ্গলের এক কিলোমিটারের মধ্যে, আগামী দু'মাসের মধ্যে সেগুলি বন্ধ করে দিতে হবে বলে সোমবার জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে। বন্ধ করা না-হলে আদালতের নির্দেশে সেগুলি ভেঙে ফেলা হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ- উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীর ধারে বসানো পাথর ভাঙার যন্ত্রও দু'মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ২০১৫ সালে উত্তরবঙ্গের পরিবেশ নিধনের অভিযোগ তুলে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন। গত সাত বছরে পরিবেশ আদালত এই নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল। সুভাষের অভিযোগ, ওই সব নির্দেশ মানা হয়নি।
বনভূমি সংরক্ষণ আইন (Forest Conservation Act) অনুযায়ী, বক্সা ব্যঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) এলাকার মধ্যে কোনও বাণিজ্যিক কাজকর্ম করা যায় না। অথচ বাস্তবে দেখা গিয়েছে, ওই প্রকল্প এলাকায় এবং জঙ্গলের এক কিলোমিটারের মধ্যে ৩০টির বেশি হোটেল-রেস্তরাঁ এবং ক্যাম্প রয়েছে। এমনকী, সরকার ২০১৭ সালে বন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে সেখানে একটি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। আদালতে নথি জমা দিয়ে সুভাষ দত্ত জানান যে, সরকার ওই ক্যাম্পে পর্যটকদের ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে!
পরিবেশ আদালতের নির্দেশ- দু'মাসের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল ঘেঁষা ওই হোটেল-রিসর্টগুলি বন্ধের বিষয়টি দেখবেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (West Bengal Pollution Control Board) কর্তৃপক্ষ ও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক। তবে হোটেল-রিসর্টগুলি বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য সেগুলিকে প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই নির্দেশ না-মানা হলে সেগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে।
২০১৫ সালে সুভাষ দত্তর মামলায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী ও নদীর পাড় দখল করে নেওয়া, নদীতে জঞ্জাল ফেলা এবং নদীতে স্টোন ক্রাশার বসানো নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরিবেশ আইন অনুযায়ী, এই ধরনের যন্ত্র নদীর ২০০ মিটারের মধ্যে বসানো যায় না। কিন্তু সেই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।
বনভূমি সংরক্ষণ আইন (Forest Conservation Act) অনুযায়ী, বক্সা ব্যঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) এলাকার মধ্যে কোনও বাণিজ্যিক কাজকর্ম করা যায় না। অথচ বাস্তবে দেখা গিয়েছে, ওই প্রকল্প এলাকায় এবং জঙ্গলের এক কিলোমিটারের মধ্যে ৩০টির বেশি হোটেল-রেস্তরাঁ এবং ক্যাম্প রয়েছে। এমনকী, সরকার ২০১৭ সালে বন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে সেখানে একটি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। আদালতে নথি জমা দিয়ে সুভাষ দত্ত জানান যে, সরকার ওই ক্যাম্পে পর্যটকদের ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে!
পরিবেশ আদালতের নির্দেশ- দু'মাসের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল ঘেঁষা ওই হোটেল-রিসর্টগুলি বন্ধের বিষয়টি দেখবেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (West Bengal Pollution Control Board) কর্তৃপক্ষ ও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক। তবে হোটেল-রিসর্টগুলি বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য সেগুলিকে প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই নির্দেশ না-মানা হলে সেগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে।
২০১৫ সালে সুভাষ দত্তর মামলায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী ও নদীর পাড় দখল করে নেওয়া, নদীতে জঞ্জাল ফেলা এবং নদীতে স্টোন ক্রাশার বসানো নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরিবেশ আইন অনুযায়ী, এই ধরনের যন্ত্র নদীর ২০০ মিটারের মধ্যে বসানো যায় না। কিন্তু সেই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।