এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববাংলার 'ব' বিয়ে আপত্তি। কেন পুরনিগনে থাকবে 'ব'? তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। অভিযোগ করলেন, কেন পুরনিগমের মতো স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাকে সরকারি অফিস বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে? পুরনিগমকে রাজনৈতিক দলের অফিসেও পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'পুরনিগম একটি স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা। অথচ সেখানে ব লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিস বানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুরনিগমকে। শাসক দল রাজনৈতিক অফিসে পরিণত করেছে সেটিকে'। এদিকে প্রশাসক মণ্ডলী নিয়োগ নিয়েও তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে আসছেন প্রথম থেকে। এই প্রসঙ্গে অশোক বলেন, 'রাজ্যে সমস্ত জায়গায় পুরসভায় যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন তাঁদের প্রশাসক মণ্ডলীতে রাখা হয়েছে। অথচ শিলিগুড়িতে তা করা হয়নি। আমি নির্বাচনে হেরেছি। সে কারণে আমার প্রশাসক হওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমাদের প্রাক্তন মেয়র পারিষদদের নিয়ে প্রশাসক মণ্ডলী গঠন করা যেত'।
গত দু'মাসে বামেদের একের পর এক প্রাক্তন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অশোক ভট্টাচার্য। এমনকী পুরনিগমের কর্মীদেরও তৃণমূল করতে হবে বলে জোর করা হচ্ছে, শাসকদলের দিকে এমনভাবে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। তবে এসব শুধুই রাজনীতি ও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছে তৃণমূল। ৫ বছর পুরনিগমে বোর্ডে থেকে বামফ্রন্ট শহরের উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি বলে পাল্টা সরব হয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার।