এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন একেবারে মধুরেণ সমাপয়েৎ!ভালোবাসার রঙ হয় না। কথাতেও আছে ভালোবাসা অন্ধও হয়। দু'জনে চোখে দেখতে পান না। প্রিয় মানুষটিকেও তাঁরা দেখেননি। কিন্তু, তাতে কী! দু'জনের মনের মিলে ভালোবাসা যেন পূর্ণতা পেল। দু'জনের চার হাত এক হল। বুধবার রাতে গাঁটছড়া বাঁধলেন জোৎস্না দাস ও বাপি চট্টোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগরে একটি দৃষ্টিহীনদের স্কুলে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান হয়৷ তবে প্রেম থেকে ছাদনাতলায় পৌঁছোতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে দু'জনকে। আর্থিক অনটনের জেরে তাঁদের বিয়ে আটকে ছিল। অবশেষে শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, বিধাননগরের অনেক মানুষ ও সংগঠন এগিয়ে আসে। এরপরই অনুষ্ঠান করে দু'জনের বিয়ে হল। জোৎস্না ছোটবেলায় থেকেই বিধাননগরের স্কুলে পড়াশোনা করত। বাবা-মা মারা গিয়েছে বহু বছর আগে। কিছুদিন আগে পড়াশোনার সূত্রে দিল্লিতে এক কলেজে ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন জোৎস্না। সেখানেই পরিচয় হয় বাপি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরিচয় পর্ব থেকে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান। তারপর দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু।
দিল্লি থেকে শিলিগুড়ির বিধাননগরে এসে জোৎস্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বাপি৷ রাজি হন পাত্রীও। কিন্তু, সাত পাকে ঘোরায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সমস্যা। দু'জনে ঠিক করেছিলেন মন্দিরে বিয়ে সারবেন। কিন্তু, সেই খরচও কোথাও পাবেন,তা বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। এরপর সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের আবেদন বার্তা দেখে এগিয়ে আসে বিভিন্ন সংস্থা ও নানা মহলের মানুষ। আর্থিক সাহায্যও করা হয়। আর তারপরই মঙ্গলবার বাজনা বাজিয়ে, প্যাণ্ডেল সাজিয়ে ছাদনাতলায় সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দৃষ্টিহীন জোৎস্না ও বাপি। স্কুলের অন্যান্য আবাসিকেরাও আনন্দে মাতেন৷ মেনুতেও ছিল নানা পদ। মাছ-মাংসও রাখা হয়। এদিকে নব দম্পতিকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই এসেছিলেন। বিয়ের পর দম্পতিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলকে।
দিল্লি থেকে শিলিগুড়ির বিধাননগরে এসে জোৎস্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বাপি৷ রাজি হন পাত্রীও। কিন্তু, সাত পাকে ঘোরায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সমস্যা। দু'জনে ঠিক করেছিলেন মন্দিরে বিয়ে সারবেন। কিন্তু, সেই খরচও কোথাও পাবেন,তা বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। এরপর সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের আবেদন বার্তা দেখে এগিয়ে আসে বিভিন্ন সংস্থা ও নানা মহলের মানুষ। আর্থিক সাহায্যও করা হয়। আর তারপরই মঙ্গলবার বাজনা বাজিয়ে, প্যাণ্ডেল সাজিয়ে ছাদনাতলায় সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দৃষ্টিহীন জোৎস্না ও বাপি। স্কুলের অন্যান্য আবাসিকেরাও আনন্দে মাতেন৷ মেনুতেও ছিল নানা পদ। মাছ-মাংসও রাখা হয়। এদিকে নব দম্পতিকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই এসেছিলেন। বিয়ের পর দম্পতিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলকে।