West Bengal News : বয়সের ভারে হারিয়েছেন চলাফেরার ক্ষমতা। শরীর জুড়ে ভনভন করছে মশা মাছি। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Raiganj Medical College and Hospital) ক্যাম্পাসের ভিতরে জল সরবরাহ বিভাগের যাওয়ার রাস্তার পাশে নোংরা আবর্জনার মাঝে পড়ে রয়েছেন এমনই অসহায় এক বৃদ্ধা। জীবনের অন্তিম লগ্নে পৌঁছে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। কিন্তু হাসপাতালের ভিতরে এভাবে তিনি পড়ে থাকলেও নজর নেই কারও। রোজ হাসপাতালে বহু মানুষ যাতায়াত করছেন।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী কিংবা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা এই পথ দিয়ে চলাফেরা করলেও ওই বৃদ্ধার প্রতি সহানুভূতিশীল হননি কেউই। স্বার্থপরতার এই চিত্রই যেন ফুটে উঠছে এই বৃদ্ধার করুন পরিনতির মধ্যে। কিন্তু অসহায় দুর্বল এই মানুষটি এখানে এলেন কি ভাবে? একা একা আসা তো সম্ভব নয়? এই নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন।
সংলগ্ন জল সরবরাহ দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, “৩ দিন আগে সম্ভবত বৃদ্ধার ছেলে তাকে এখানে ফেলে গিয়েছে। তারপর থেকে দিন রাত এখানেই পড়ে রয়েছেন তিনি। একাধিক বার হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে তাকে উদ্ধারের আবেদন জানালেও পুলিশ দায় ঝেড়েছে কাঁধ থেকে”। অন্যদিকে এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতালে যেখানে ধনী, দরিদ্র, সহায়, অসহায় নির্বিশেষে সকলের সেবা পাওয়ার কথা সেই স্থানে এমন অমানবিক চিত্র? অবিলম্বে এর সুরাহার দাবী জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি সুপার অভিক মাইতি বলেন, “কোনও NGO তাকে ভর্তি করলে তবেই তার চিকিৎসা শুরু হবে। নাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কখনও নিজে থেকে কাউকে ধরে এনে ভর্তি করে নিতে পারে না”।
কিন্তু এখানে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে মানবিকতা৷ একজন অসহায় মানুষকে উদ্ধার করে তার চিকিৎসা যেখানে অত্যন্ত জরুরী তখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি নিয়ম কানুন প্রক্রিয়া। যাকে ঘিরে স্তম্ভিত অনেকেই। সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, “আমি গত কয়েকদিন ধরে এই হাসপাতালে আসছি, আমার এক নিকটাত্মীয় ভর্তি আছেন এখানে।
আসার পথে ওই বৃদ্ধাকে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। সামনেই পুলিশ ফাঁড়ি, তাঁদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। অন্তত যদি হাসপাতালে ভর্তি করা যায়, তাহলে বৃদ্ধাকে এই অবস্থায় থাকতে হবে না”। যদিও দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন কেউই। ওই বৃদ্ধার ছেলেকেও বা কি করে খুঁজে পাওয়া যাবে, এখন সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী কিংবা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা এই পথ দিয়ে চলাফেরা করলেও ওই বৃদ্ধার প্রতি সহানুভূতিশীল হননি কেউই। স্বার্থপরতার এই চিত্রই যেন ফুটে উঠছে এই বৃদ্ধার করুন পরিনতির মধ্যে। কিন্তু অসহায় দুর্বল এই মানুষটি এখানে এলেন কি ভাবে? একা একা আসা তো সম্ভব নয়? এই নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন।
সংলগ্ন জল সরবরাহ দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, “৩ দিন আগে সম্ভবত বৃদ্ধার ছেলে তাকে এখানে ফেলে গিয়েছে। তারপর থেকে দিন রাত এখানেই পড়ে রয়েছেন তিনি। একাধিক বার হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে তাকে উদ্ধারের আবেদন জানালেও পুলিশ দায় ঝেড়েছে কাঁধ থেকে”। অন্যদিকে এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতালে যেখানে ধনী, দরিদ্র, সহায়, অসহায় নির্বিশেষে সকলের সেবা পাওয়ার কথা সেই স্থানে এমন অমানবিক চিত্র? অবিলম্বে এর সুরাহার দাবী জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি সুপার অভিক মাইতি বলেন, “কোনও NGO তাকে ভর্তি করলে তবেই তার চিকিৎসা শুরু হবে। নাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কখনও নিজে থেকে কাউকে ধরে এনে ভর্তি করে নিতে পারে না”।
কিন্তু এখানে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে মানবিকতা৷ একজন অসহায় মানুষকে উদ্ধার করে তার চিকিৎসা যেখানে অত্যন্ত জরুরী তখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি নিয়ম কানুন প্রক্রিয়া। যাকে ঘিরে স্তম্ভিত অনেকেই। সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, “আমি গত কয়েকদিন ধরে এই হাসপাতালে আসছি, আমার এক নিকটাত্মীয় ভর্তি আছেন এখানে।
আসার পথে ওই বৃদ্ধাকে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। সামনেই পুলিশ ফাঁড়ি, তাঁদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। অন্তত যদি হাসপাতালে ভর্তি করা যায়, তাহলে বৃদ্ধাকে এই অবস্থায় থাকতে হবে না”। যদিও দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন কেউই। ওই বৃদ্ধার ছেলেকেও বা কি করে খুঁজে পাওয়া যাবে, এখন সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।