এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতে ফের দুর্গাপুজো। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার নন্দকিশোরগছের অষ্টমঙ্গলি দুর্গাপুজাকে ঘিরে রীতিমত মেতে উঠেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে প্রাচীন জহড়া মেলা পুজোর উদ্দীপনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কয়েকগুণ।
জানা যায়, নন্দকিশোরগছের জহরা পাল নামে এক ব্যাক্তির হাত ধরেই অষ্টমঙ্গলি পুজোর সূচনা। এবছর এই পুজো ১৩৪ বছরে পা দিল। শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে শারদীয়া দুর্গাপুজোর মতোই অষ্টমঙ্গলিতে পূজিত হয় দশভূজা দেবী দুর্গা সহ লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতী। তবে এক চালার মধ্যে দুর্গা ও তাঁর সন্ততিদের সঙ্গে পূজিত হয় পাশাপাশি শিব, নারায়ণ, কামদেব সহ ২৮ রকমের দেবতা। দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার আটদিনের মাথায় এই পুজো শুরু হয়। সেজন্য এই পুজোর নাম অষ্টমঙ্গলি। অনেকে অষ্টমী দুর্গাপুজো হিসাবেও অভিহিত করেন। বৃহস্পতিবার এই অষ্টমঙ্গলির দুর্গা দেবীর পুজো শুরু হয়েছে। তবে জহড়া মেলা বসছে শুক্রবার থেকে। তিনদিন ধরে পুজো চলার পর নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। মেলাও চলবে তিনদিন ধরে।
এই মেলার বিশেষত্ব হল, এখানে বাগচারা নামে একটা ফল পাওয়া যায়। যে ফল আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। একসময় জহরা মেলাতে তাল পাতার ভেঁপু, মাটির খেলনা পুতুল এবং বিভিন্ন হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রি হত। এখন সে সবের তেমন কোনও চাহিদা না থাকলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ফিরেছে কিছুটা আধুনিকতা। বিশেষ করে ফাস্ট ফুড ও প্রসাধনী জিনিসের দোকানই বেশি। তবে রয়েছে নাগরদোলা সহ শিশুদের মনোরঞ্জনের একাধিক ব্যবস্থা।
কথিত আছে, জহরা পাল নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই অষ্টমঙ্গলি পুজো শুরু করেন। এই পুজোর সঙ্গে মেলারও আয়োজন করেছিলেন তিনি। তারপর জহরা পালের মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসীন্দারা বারোয়ারি পুজো হিসাবে এই পুজো করে চলেছেন। মেলাও বসে আগের মতোই। জহরা পালের নামেই এই মেলার নামকরণ করা হয় জহরা মেলা। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো এখনও প্রাচীন রীতি মেনেই চলে। সব ধর্মের মানুষ উপস্থিত হন এখানে। বাংলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও প্রতিবেশী দেশ নেপাল,বাংলাদেশের কয়েক লাখ লোকের সমাগম এই অষ্টমঙ্গলি পুজো ও জহড়া মেলায় আসেন। অসংখ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও হাজির হন। তাই এই মেলা হয়ে উঠেছে এক সম্প্রীতির মেলা।
দর্শনার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চোপড়া থানার IC হেমন্ত কুমার শর্মা, DSP (DEB) ধ্রুব প্রধান আজকে মেলা পরিদর্শন করেন। মেলা প্রাঙ্গণে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারই মেলার বিভিন্ন দোকানপাট সহ মন্দির পরিদর্শন করেছেন চোপড়া থানার আইসি সহ DSP (DEB) ধ্রুব প্রধান। সবমিলিয়ে, দুর্গাপুজোর পরেই অষ্টমঙ্গলি পুজো ঘিরে উৎসবের আমেজ চোপড়ার নন্দকিশোরগছে।
জানা যায়, নন্দকিশোরগছের জহরা পাল নামে এক ব্যাক্তির হাত ধরেই অষ্টমঙ্গলি পুজোর সূচনা। এবছর এই পুজো ১৩৪ বছরে পা দিল। শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে শারদীয়া দুর্গাপুজোর মতোই অষ্টমঙ্গলিতে পূজিত হয় দশভূজা দেবী দুর্গা সহ লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতী। তবে এক চালার মধ্যে দুর্গা ও তাঁর সন্ততিদের সঙ্গে পূজিত হয় পাশাপাশি শিব, নারায়ণ, কামদেব সহ ২৮ রকমের দেবতা।
এই মেলার বিশেষত্ব হল, এখানে বাগচারা নামে একটা ফল পাওয়া যায়। যে ফল আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। একসময় জহরা মেলাতে তাল পাতার ভেঁপু, মাটির খেলনা পুতুল এবং বিভিন্ন হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রি হত। এখন সে সবের তেমন কোনও চাহিদা না থাকলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ফিরেছে কিছুটা আধুনিকতা। বিশেষ করে ফাস্ট ফুড ও প্রসাধনী জিনিসের দোকানই বেশি। তবে রয়েছে নাগরদোলা সহ শিশুদের মনোরঞ্জনের একাধিক ব্যবস্থা।
কথিত আছে, জহরা পাল নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই অষ্টমঙ্গলি পুজো শুরু করেন। এই পুজোর সঙ্গে মেলারও আয়োজন করেছিলেন তিনি। তারপর জহরা পালের মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসীন্দারা বারোয়ারি পুজো হিসাবে এই পুজো করে চলেছেন। মেলাও বসে আগের মতোই। জহরা পালের নামেই এই মেলার নামকরণ করা হয় জহরা মেলা। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো এখনও প্রাচীন রীতি মেনেই চলে। সব ধর্মের মানুষ উপস্থিত হন এখানে। বাংলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও প্রতিবেশী দেশ নেপাল,বাংলাদেশের কয়েক লাখ লোকের সমাগম এই অষ্টমঙ্গলি পুজো ও জহড়া মেলায় আসেন। অসংখ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও হাজির হন। তাই এই মেলা হয়ে উঠেছে এক সম্প্রীতির মেলা।
দর্শনার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চোপড়া থানার IC হেমন্ত কুমার শর্মা, DSP (DEB) ধ্রুব প্রধান আজকে মেলা পরিদর্শন করেন। মেলা প্রাঙ্গণে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারই মেলার বিভিন্ন দোকানপাট সহ মন্দির পরিদর্শন করেছেন চোপড়া থানার আইসি সহ DSP (DEB) ধ্রুব প্রধান। সবমিলিয়ে, দুর্গাপুজোর পরেই অষ্টমঙ্গলি পুজো ঘিরে উৎসবের আমেজ চোপড়ার নন্দকিশোরগছে।