West Bengal News পাতকুয়োয় জল তুলতে গিয়ে বিপত্তি। কুয়ো ধসে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। মৃতার নাম ইন্দ্রাণী সিং গুঁঝা (৩২)। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা থানার (Jhalda Police Station) মাঘা গ্রামে। ঘটনার পরই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে উদ্ধার হয় ওই মহিলাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়ার ঝালদা থানা (Jhalda Police Station) এলাকার মাঘা গ্রামে কুয়োর পাড়ে তিন মহিলা বসে কেউ বাসন মাজার কাজ করছিলেন। কেউ শাক সবজি ধোয়ার কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই কুয়োয় ধ্বস নামে। দুই মহিলা একটি দূরে থাকায় কোনও মতে প্রাণে বেঁচে গেলেও মাটি চাপা পড়ে যান ইন্দ্রানী সিং গুঁঝা নামে এক মহিলা। এরপরেই খবর দেওয়া হয় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্য চালানোর পর সন্ধ্যার সময় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইন্দ্রানী দেবীর এক কন্যা ও তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে তারাও। স্থানীয় বাসিন্দা ফুলকুমারী সিং গুঁঝা বলেন, "চোখের সামনে তলিয়ে গেল বৌদি। কোনওভাবে ওঁকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন ওঁর চারটে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে। ওদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। একটা কিছু সুরাহা যদি ওদের করে দেয় সরকার, তাহলে ওরা বেঁচে যায়।" কান্নায় ভেঙে পড়েন ইন্দ্রানী দেবীর স্বামীও। স্বামী অমর সিং গুঁঝা বলেন, "আমি বাড়িতে ছিলাম না, চাষের কাজে গিয়েছিলাম। এসে শুনি এই অবস্থা। কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল। আমার সব শেষ হয়ে গেল।"
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়ির কিছু ধোয়াধুয়ির কাজ, বাসন মাজার কাজ করার জন্যেই মহিলারা ওই কুয়ো ব্যাবহার করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই কুয়ো জলের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বহুদিনের কুয়ো হওয়ায় প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থা হয়েছিল। সেই কারণেই কুয়োটি ধ্বসে যায় বলে ধারণা স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়ার ঝালদা থানা (Jhalda Police Station) এলাকার মাঘা গ্রামে কুয়োর পাড়ে তিন মহিলা বসে কেউ বাসন মাজার কাজ করছিলেন। কেউ শাক সবজি ধোয়ার কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই কুয়োয় ধ্বস নামে। দুই মহিলা একটি দূরে থাকায় কোনও মতে প্রাণে বেঁচে গেলেও মাটি চাপা পড়ে যান ইন্দ্রানী সিং গুঁঝা নামে এক মহিলা। এরপরেই খবর দেওয়া হয় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্য চালানোর পর সন্ধ্যার সময় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইন্দ্রানী দেবীর এক কন্যা ও তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে তারাও। স্থানীয় বাসিন্দা ফুলকুমারী সিং গুঁঝা বলেন, "চোখের সামনে তলিয়ে গেল বৌদি। কোনওভাবে ওঁকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন ওঁর চারটে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে। ওদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। একটা কিছু সুরাহা যদি ওদের করে দেয় সরকার, তাহলে ওরা বেঁচে যায়।" কান্নায় ভেঙে পড়েন ইন্দ্রানী দেবীর স্বামীও। স্বামী অমর সিং গুঁঝা বলেন, "আমি বাড়িতে ছিলাম না, চাষের কাজে গিয়েছিলাম। এসে শুনি এই অবস্থা। কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল। আমার সব শেষ হয়ে গেল।"
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়ির কিছু ধোয়াধুয়ির কাজ, বাসন মাজার কাজ করার জন্যেই মহিলারা ওই কুয়ো ব্যাবহার করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই কুয়ো জলের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বহুদিনের কুয়ো হওয়ায় প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থা হয়েছিল। সেই কারণেই কুয়োটি ধ্বসে যায় বলে ধারণা স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।