অ্যাপশহর

রামপুরহাটে বোমা মেরে তৃণমূলকর্মীকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

বাবুলের পরিবার এলাকায় কংগ্রেসি বলে চিহ্নিত ছিল। তাঁর বাবা হানিফ খান দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। পরে সপরিবার তৃণমূলে যোগ দেন। এ নিয়ে দলে দ্বন্দ্বও শুরু হয়। ফলে খুনের পিছনে বিপক্ষ গোষ্ঠী কামা শেখের হাত রয়েছে বলে পরিবারের দাবি।

EiSamay.Com 3 Nov 2019, 4:14 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার ভরদুপুরে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে নিহত হলেন বীরভূমের এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের কাছে। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম মোশারফ হোসেন ওরফে বাবুল খান (৫০)। বাড়ি একই থানার দখলবাটি গ্রামে।
EiSamay.Com 794780-death


বাবুলের পরিবার এলাকায় কংগ্রেসি বলে চিহ্নিত ছিল। তাঁর বাবা হানিফ খান দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। পরে সপরিবার তৃণমূলে যোগ দেন। এ নিয়ে দলে দ্বন্দ্বও শুরু হয়। ফলে খুনের পিছনে বিপক্ষ গোষ্ঠী কামা শেখের হাত রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে কামার এক ভাই খুন হয়। তার পরের বছর খুন হয় কামার খুড়তুতো ভাই। দু'টি খুনের পিছনেই বাবুলের নাম জড়িয়েছিল।

২০০২ সালে ওই গ্রামেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও বাবুলের যোগ পেয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু বিষয় নিয়েই বাবুলের সঙ্গে গ্রামে অশান্তি চলছিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির দ্বন্দ্ব বাধে। সে সময় কামা বিজেপির পক্ষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অশান্তি মেটাতে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে বাবুল। সেই থেকেই আক্রোশ আরও বাড়ে।

বাবুলের ভাই আশরাফ খান বলেন, 'ঈদের সময় দাদাকে মারার চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু দাদা সতর্ক হয়ে যাওয়ায়, সেসময় কিছু করতে পারেনি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, পঞ্চায়েতের টাকা-পয়সা নিয়েও একটি গন্ডগোল চলছিল। শনিবার সকালে রামপুরহাট থেকে বাড়ি ফিরছিল বাবুল। সে সময় তাকে বোমা ছোড়া হয়। দু'টি বোমা মাথায় লাগে। মাথার ঘিলু বেরিয়ে যায়।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন বলেন, 'বাবুল আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সকালে বাজার করে মোটরবাইক নিয়ে দুনিগ্রাম রোড হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে বোমা মারে। ওদের পরিবার যার নাম করছে, সেই কামাও আমাদের দলের কর্মী। তবে লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলার মধ্যস্থ করেছিল বাবুল। যার জন্য বিজেপির কয়েকজন জেলে রয়েছে। আমরা পুলিশকে সব দিক তদন্ত করে দেখতে বলেছি।'

বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, 'আমাদের ছ'জন কর্মীকে খুন হয়েছে। এই খুনের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। ওরা নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে খুনোখুনি করে মরছে। আমরা খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।' জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, 'খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।'

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল